অবিশ্বাস্যভাবে বিদ্যুৎ গতির গোলে আবারও আলোচনায় এমবাপে
দলকে ৩-০ গোলের জয় এনে দিতে এমবাপে আসলে করেছেন জোড়া গোল। অন্য গোলটি করেছেন পাবলো সারাবিয়া। তবে নিজের দুই গোলের মধ্যে এমবাপের প্রথম গোলটি ছিল অবিশ্বাস্য এক গতি-ঝড়ের ফসল। পিএসজির ফরাসি তরুণ গতি-ঝড় তুলে বিশ্ববাসী তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন প্রায়ই। এই তো ক’দিন আগেই অবিশ্বাস্য এক গতি-ঝড় গোলে অবাক করে দেন ফুটবলপ্রেমীদের। নিজেদের বক্সের ভেতর থেকে দৌড়ে গিয়ে গোলটি করেন তিনি। তবে দর্শনীয়তায় কালকের গোলটিও ছিল একই রকম বিস্ময়কর।
মাঠের ঠিক মাঝবৃত্তে বল পান এমবাপে। ২২ বছর বয়সী তরুণ বল দখলের লড়াইয়ে সেখানেই প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়কে হারিয়ে উসাইন বোল্টের গতিতে দৌড় শুরু করেন। তার সেই গতি-ঝড় সামাল দেওয়ার ক্ষমতা ব্রেস্তের ডিফেন্ডারদের হয়নি। মুহূর্তেই সামনে, ডানে, বামে থাকা ব্রেস্তের তিনজন ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে ফরাসি বিস্ময়বালক বিস্ময়কর ভাবে পৌঁছে যান ব্রেস্তের বক্সের কাছে। এরপর বক্সের ঠিক বাইরে থেকে এমবাপের ঠাণ্ডা মাথায় বুলেট গতির শট, গোলপোস্টের বাম পাশের কর্নার ঘেষে ঢুকে যায় জালে। ব্রেস্তের গোলরক্ষকের অসহায় দর্শক হয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না!
ম্যাচের ৯ মিনিটেই এমবাপের এই গতি-ঝড় যেন স্বাগতিক ব্রেস্তেকে মানসিকভাবে আরও বিধ্বস্ত করে ফেলে! লড়াই করার মনোবলটুকু যেন হারিয়ে ফেলে ব্রেস্ত! ম্যাচের বাকি সময়ে সত্যিকার অর্থেই পিএসজির উপর চোখ রাঙাতে পারেনি ব্রেস্ত। সেই সুযোগে পিএসজি আদায় করে নিয়েছে আরও দুটো গোল। ৪৪ মিনিটে দলের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্প্যানিশ তারকা সারাবিয়া। ৭৩ মিনিটে এমবাপে পেয়ে যান নিজের দ্বিতীয় গোল।
পিএসজির সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার এই ম্যাচেও খেলেননি। তার অনুপস্থিতিতে আরও একবার ঝলসে উঠলেন এমবাপে। আর কালকের আগুনে পারফরম্যান্সের মাধ্যমে অন্য রকম একটা রবও উঠে গেছে, নেইমার না থাকলেই বেশি ভালো খেলেন এমবাপে!