মেসিদের ফাঁসাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হলেন বার্তামেউ
এবার সেই বার্তামেউকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে বার্তোমেউর বোর্ডে বার্সেলোনার মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করা অস্কার গ্রাউ ও সে বোর্ডেই আইনি সেবার দায়িত্বে থাকা রোমান গোমেজ পন্তিকে।
বার্তামেউ যখন ক্লাবের সভাপতি, তখনই তিনি সোশ্যাল সাইটে মেসি-পিকেদের দুর্নাম রটানোর জন্য একটি সংস্থাকে গোপনে নিয়োগ দেন। ক্লাবের সভাপতি তারই ক্লাবের সাবেক ও বর্তমান তারকাদের নিয়ে দুর্নাম ছড়াতে বাইরের একটা প্রতিষ্ঠানকে টাকা দিয়েছেন- যা অকল্পনীয় ব্যাপার!
সেই কম্পানির নাম ‘আই থ্রি’। খেলোয়াড় এবং তাদের স্ত্রী-বান্ধবীদের সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে গিয়েও বাজে মন্তব্য করতো কম্পানির লোকেরা। এ কাজের জন্য বার্সার বোর্ডের অন্য অনেককে ফাঁকি দিয়ে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার পাউন্ডের গোপন চুক্তি করেন বার্তোমেউ।
কিন্তু গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই গোপন চুক্তির কথা ফাঁস হলে ক্লাবের আটজন সদস্য পুলিশের কাছে বার্তোমেউর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এই কলঙ্কের কথা জানতে পেরে বার্তোমেউর অধীন বোর্ডের ছয়জন পরিচালক একসঙ্গে তখন বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেন।
বার্তোমেউ অবশ্য তখন সরেননি। কিন্তু বার্সেলোনার সদস্যরা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের আয়োজন করলে গত ২৭ অক্টোবর সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। তার বদলে ক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পান কার্লেস তুসকেতস। অবশেষে বার্তামেউকে গ্রেপ্তার হতে হলো।