মালয়েশিয়া প্রবাসীদের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা

সব প্রত্যাশা পূরণ হয়তো সম্ভব না, কিন্তু মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস পরিবার বিগত ৬ বছর প্রবাসীদের প্রত্যাশা পূরণে ছিলেন স্বচেষ্ট। বিদায়ী হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কেন্দ্রে অবস্থিত দেশটিতে বাংলাদেশের দূত হিসেবে ২০১৫ সালে হাইকমিশনারের দায়িত্বে আসেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে মাস্টার্স এবং বেলজিয়ামের ইউনির্ভাসিটি লিব্রে ডি ব্রুসেলস থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিষয়ে দ্বিতীয়বার মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন এবং এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান।তিনি মালয়েশিয়ায় আসার পর দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নিয়ে যান অনন্য উচ্চতায়।
দেশের ভাবমূর্তি উন্নয়ন, অভিবাসী শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণসহ নানা বিষয়ে কাজ করেছেন তিনি। পাশাপাশি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রবাসীরা ‘তাদের কর্ম, শিষ্টাচার, মেধা ও প্রজ্ঞা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন বাংলাদেশিরা। বিগত ৬ বছরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কগুলো গভীর থেকে গভীরতর হয়েছে। দূতাবাস সূত্রে জানা যায়, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে হাইকমিশনার বেশ কিছু কাজ করেছেন। যেমন: ডিজিটাল পাসপোর্ট সেবা: ডাক যোগে পাসপোর্ট আবেদন গ্রহন, এরপর অনলাইনে ডেলিভারি স্লিপ জানা এবং অনলাইনে এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে নির্ধারিত দিনে পাসপোর্ট বিতরণ।ফলে দালালদের কাছে যেতে হচ্ছে না। কিন্তু ক্ষেপে গেছে কিছু দালাল !
চালিয়ে যাচ্ছে অপপ্রচার। চলমান করোনা কালীন সময়ে মালয়েশিয়া থেকে চাকরি হারিয়ে কাউকে দেশে ফেরত যেতে দেন নি। কোম্পানি পরিবর্তন করার সুযোগ এনে দিয়েছেন যা কখনোই ছিল না। হাইকমিশনার মহ.শহীদুল ইসলামের অনুরোধের প্রেক্ষিতে মালয়েশিয়া সরকার সকল অবৈধদের বৈধতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এমনকি যারা ক্যাম্পে বা জেলে আছে তাদেরকেও বৈধতা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সরাসরি কোম্পানিতে লোক নিয়োগ যা আগে ছিল এজেন্ট, দেশ থেকে লোক এনে জিম্মি করে রাখত , ইচ্ছামত কাজ দিত। সেটা তিনি বন্ধ করেছেন তাই কোন আদম বেপারী এই বিষয়টি পছন্দ করেনি। কর্মীদের জন্য সুরক্ষা দিয়ে নিয়োগ চুক্তি করেছেন যেটাতে কর্মী ও কোম্পানি সই করে কোন এজেন্ট বা দালাল নয়। ব্যাংক একাউন্টে বেতন দেওয়ার ব্যাবস্থা করেছেন, যাতে এজেন্ট বা দালাল বেতন থেকে টাকা কেটে নিতে না পারে। নিরাপদ আবাসন এর ব্যাবস্থা করেছেন সরাসরি কোম্পানির অধীনে।
যা আগে ছিল এজেন্টের অধীনে ফলে এজেন্ট অনেক টাকা কেটে নিত। মালয়েশিয়া সরকারের নিকট বাংলাদেশের লোক পাঠানোর কোন আইনি স্বীকৃতি ছিল না, হাইকমিশনার শহীদুল ইসলাম এসে সে স্বীকৃতি আদায় করেছেন এবং বাংলাদেশকে মালয়েশিয়া লেবার সোর্স কান্ট্রির স্বীকৃতি দেয়। ২০০৬/৭ সালে এজেন্টরা অনেক বেশি লোক এনে রাস্তাঘাটে ছেড়ে দিয়েছিল, কোন থাকা খাওয়া কাজের ব্যাবস্থা ছিল না। বর্তমান সরকারের সময় ২০১৭ সালে লোক এসেছে সরাসরি কোম্পানির অধীনে ফলে সে রকম বাজে অবস্থা আর হয় নাই ফলে বাংলাদেশি এজেন্টরা খুব ক্ষিপ্ত ।
শহীদুল ইসলাম মালয়েশিয়াা সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশী কর্মীদের যেন পেনশন দেওয়া হয় যাতে কাজ শেষ করে দেশে ফেরত গেলে আজীবন পেনশন পায়। মালয়েশিয়া সরকার রাজি হয়ে তা বাস্তবায়ন শুরু করেছে। কর্মীদের সেভিংস এর জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন, যেন কাজ শেষে দেশে ফেরার সময় খালি হতে না ফিরে যেতে হয়। এসব কাজ আগে এজেন্টরা করত । এখন করতে পারে না তাই তারা খুব ক্ষিপ্ত।
২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া পণ্য রপ্তানি ছিল ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিগত ৬ বছরে বেড়ে হয়েছে ২৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার । করোনা না হলে তিনশর কাছাকাছি হত। সর্বশেষ, পাসপোর্ট সেবা দেওয়ার জন্য আলাদা ভবন নিয়েছেন যেখানে ৮ শ লোক বসতে পারে , এসি রোমে। যা মালয়েশিয়ার দূতাবাসের ইতিহাসে এই প্রথম । তার সময়ে মালয়েশিয়া সরকার রি-হায়ারিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে তিন লাখের বেশি বাংলাদেশী অবৈধ লোক বৈধতা পায়।
( এত গুলো লোক দেশে ফিরে গেলে কি হত!) কিছু লোক অবৈধ ছিল কিন্তু জেল জরিমানার কারণে দেশে ফিরে যেতে পারছিল না । সরকারকে বলে তাদের নাম মাত্র জরিমানা দিয়ে দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাবস্থা করে দিয়েছিলেন। যার নাম দেয়া ছিল ব্যাকফর গুড কর্মসূচী। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মালয়েশিয়া সরকারকে বাংলাদেশের পক্ষে থাকা, জাতিসংঘে কথা বলা এবং কক্সবাজার ফিল্ড হাসপাতাল পরিচালনা করার মত কাজ করে নিতে পেরেছেন এই হাইকমিশনার শহীদুল ইসলাম।
সর্বশেষ : যারা ছুটিতে দেশে গিয়ে আটকে আছে, অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে,তাদেরকে মালয়েশিয়া ফেরত আসা এবং কাজে যোগ দেবার বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকারকে রাজি করিয়েছেন এবং তারা সকলেই ফিরতে পারবে। তবে মহামারী করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকার সিদ্ধান্ত দিতে সময় নিয়েছে। পাভেল সারওয়ার একজন তথ্য প্রযুক্তি উদ্যোক্তা। দীর্ঘদিন থেকে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশকে ব্রান্ডিং করে চলেছেন ম্ব-মহিমায়।
২৩ অক্টোবর তার সামাজিক মাধ্যম ফেইবুক ষ্ট্যাটাসে একজন মানবিক হাইকমিশনারকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে লিখেছেন, বিদেশের মাটিতে এক টুকরো বাংলাদেশ হচ্ছে আমাদের হাইকমিশন। আর মিশনের মান্যবর হাই কমিশনার হচ্ছেন আমাদের অভিভাবক। মালয়েশিয়াতে আমরা প্রবাসীরা পেয়েছিলাম মান্যবর হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম স্যারের মত একজন মানবিক হাইকমিশনার।
স্যারের সাথে দেখা করতে হাইকমিশনে গিয়েছিলাম, ২৩ অক্টোবর স্যারের সম্ভবত শেষ কর্যাদিবস ছিল মালয়েশিয়াতে। আমি যত বার স্যারে কাছে গিয়েছি ততবারই দেশের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কিছু করার জন্য অনুপ্রেরনা নিয়ে এসেছি। আজও তার ব্যতিক্রম হয় নি।
স্যার আজও আমার মাথায় হাত রেখে দোয়া আর অনুপ্রেরণা দিয়ে দিলেন। স্যার আমাদের রেখে চলে যাচ্ছেন, এটা ভেবেই আমার চোখ বার বার ভিজে যাচ্ছে। স্যারের সংস্পর্শে যাওয়ার সুযোগ হয় হাইকমিশনের ওয়েব সাইট নির্মানের সুত্র ধরে। স্যারের সাথে দেখা না হলে বাংলাদেশ হাইকমিশন নিয়ে অন্য প্রবাসীদের মত হয়ত আমারও অনেক ভুল ধারনা থেকে যেত। স্যার যেমন একজন প্রাজ্ঞ ডিপ্লোমেট ঠিক তেমনি স্যার আইটিতেও এতো ভাল জ্ঞান রাখেন তা আমার ধারনাই ছিলনা।
স্যার সারাক্ষন বলতেন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হাইকমিশনের সেবা কে আরও কিভাবে সহজ ও গতিশীল করা যায়। করোনার লকডাউনে আমি দেশে ছিলাম, স্যার আমাকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দিয়ে নির্দেশ দিলেন পাসপোর্ট রি-ইস্যুর এপয়েন্টমেন্ট কিভাবে আরও সহজ করা যায় তার জন্য একটা অনলাইন এপয়েন্টমেন্ট সিস্টেম তৈরি করতে।
স্যার এতো সুন্দরভাবে আমাদের বিষয়টা বুঝিয়ে দিলেন যে, কাজটা করা আমাদের জন্য সহজ হয়ে গেল। আমি গতবছর জাতিসংঘের সাধারন অধিবেশনে যোগদান করে মালয়েশিয়া ফিরে স্যারের সাথে যখন দেখা করতে গেলাম তখন আমার শরীর ভাল ছিলনা।
ডাক্তার আমার কিডনি অপারেশন করার পরামর্শ দিলেন। আমি কিডনি এই ব্যাথায় স্যারের কক্ষে বসতে পারছিলাম না, তাই বার বার দাড়াতে হচ্ছিল। স্যার বিষয়টা খেয়াল করলেন,স্যারও দাঁড়িয়ে গেলেন- আর বললেন তোমার ব্যাথাটাতো নিতে পারব না, তাই তোমার সাথে আমিও কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি। স্যারের মানবিক ব্যবহার দেখে আমার চোখে পানি চলে এসেছিল সেদিন
স্যারে কাছে যতবার গিয়েছি স্যার সব সময় প্রবাসে কিভাবে আমাদের লাল সবুজের পতকাকে সম্মানের সাথে আরও উপরে তুলে ধরা যায় তা নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতেন। আমরা গর্বিত ও ধন্য আপনার মত একজন মান্যবর হাইকমিশনার পেয়েছিলাম। স্যার আপনি আমার মত লাখো প্রবসীর মাঝে অনুপ্রেরনীয় অভিবাবক হয়ে থাকবেন।
আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘায়ূ দান করুন। হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, মানবিক হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলামের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন ওমানে নিযুক্ত আরেক মানবিক হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ার। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে কর্মস্থলে যোগ দিচ্ছেন তিনি। এ দিকে মালয়েশিয়ায় ঠিক কতো বাংলাদেশি রয়েছেন তার কোন নির্দিষ্ট পরিসংখ্যানও নেই দূতাবাসের কাছে। তবে অনুমান করা যায়- বৈধ,
অবৈধ মিলে এ সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়াবে। শ্রমিকদের পাশাপাশি বর্তমানে মালয়েশিয়ায় সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলতে শিক্ষক,হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক, আইটি কোম্পানিগুলোতে কম্পিউটার প্রকৌশলীও রয়েছে অনেক।
মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কেমন হাইকমিশন প্রত্যাশা করেন আপনারা? জবাবে তারা বলেন, প্রবাসে হাইকমিশনার আমাদের অভিভাবক। বিপদে-আপদে সবাই তার ওপরই ভরসা করবে।
মালয়েশিয়ায় সবচেয়ে বড় শ্রেণীটি শ্রমিকের। তাই সবারই চাওয়া হাইকমিশনার এবং তার অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হবেন শ্রমিকবান্ধব। প্রবাসীদের প্রত্যাশা-নতুন নিযুক্ত হাইকমিশনার হবেন বিদায়ী হাইকমিশনার মহ.শহীদুল ইসলামের চেয়ে আরোও বন্ধুসুলভ।
প্রবাসীদের সঙ্গে মিশবেন, সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নেবেন, নিজেদের সংস্কৃতি বিকাশে উদ্যোগ নেবেন। শ্রমিকরা যেন হাইকমিশনে গিয়ে সহজে সেবা পায়, মাসের পর মাস পাসপোর্টের জন্যে অপেক্ষা করতে না হয়, সে বিষয়ে প্রদক্ষেপ নিতে হবে।
কারণ শ্রমিকরা মালিকের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে যান এম্বেসিতে। সেদিনের ওভারটাইমের বেতন মার যায় তাদের। স্বল্প শিক্ষিত শ্রমিকদের জন্যে সেবার মান বাড়াতে হবে কর্মচারীদের। ধমক না দিয়ে বুঝিয়ে বলতে হবে তাদের।
তারা যেন এম্বেসিকে ভয় না পেয়ে বরং সেখানে সেবা নিতে পছন্দ করেন। একাধিক সূত্র জানায়,মালয়েশিয়ায় নেই বাংলাদেশিদের একটি একতাবদ্ধ কমিউনিটি। কারণ শক্তিশালী সংস্কৃতির বিকাশ সেখানে হয়নি।
প্রবাসীদের বিশ্বাস, নতুন হাইকমিশনার বিষয়টিতে দৃষ্টি রাখবেন। কোম্পানির দুর্নীতির কারণে বা মালিকের অনিয়মের কারণে অনেক সময় বিপদে পড়তে হয় প্রবাসীদের। শ্রমিকরা অসহায় হয়ে পড়ে অনেক সময়।
পুলিশি ঝামেলায় পড়তে হয়। এমন বিপদে হাইকমিশনকেই বাড়াতে হবে সাহায্যের হাত। এ ছাড়া মালয়েশিয়ার বিভিন্ন জেলখানায় বিভিন্ন অপরাধে সব সময়ই আটক থাকে বাংলাদেশি শ্রমিক ও ঘুরতে আসা অনেক পর্যটক। সাজা শেষে টিকিট বা শনাক্তের অভাবে মাসের পর মাস জেলেই কাটিয়ে দিচ্ছে অসহায় প্রবাসী বাংলাদেশীরা ।
এসব বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে যুক্তিসঙ্গত আলোচনার মাধ্যমে সুরাহায় আরোও মনোযোগ দিতে হবে নতুন হাইকমিশনারকে।
- বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ! এক রাতেই বদলে গেল সৌদির ভিসা নীতিমালা
- চরম দু:সংবাদ : সৌদির কালো তালিকায় বাংলাদেশি
- ১ বা ৩ কোটিতে নয় আকাশ ছোয়া মুল্যে আইপিএলে দল পেলেন মুস্তাফিজ
- মুস্তাফিজের পর দল পেলো সাকিব
- ভিসা নিয়ে বাংলাদেশকে সুখবর পাঠালো যে দুই দেশ
- ৬ জয় ও ৩ ড্রয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিল পাল্টে দিলো ব্রাজিল
- সুখবর প্রবাসীদের জন্য : নতুন ভিসা চালু করল আমিরাত
- প্রকাশিত হলো আইপিএলের নতুন সময়সূচি ও ফাইনাল ম্যাচের সময়
- ১০ বলে ২৭ রান , ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশের নাটক
- আবারও পাল্টে গেলো সোনার দাম
- বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ আটকে রাখলেন সৌদি মালিক
- বড় সুখবর পেঁয়াজের বাজারে
- আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ঘোষণায় ভারতের মাথায় হাত
- প্রবাসীদের জন্য দারুন সুখবর ঘোষণা
- সাম্যকে নিয়ে যে স্ট্যাটাস দিলেন উপদেষ্টা আসিফ