করোনায় আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে চিকিৎসক আক্রান্ত ও মৃত্যু

মানসম্মত পিপিই এবং মাস্ক ব্যবহার না করায় চট্টগ্রামে চিকিৎসকদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। এতে চিকিৎসকরা আতঙ্কগ্রস্ত। এতে চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিপর্যয়ের শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। । সবশেষ
গত ২৫ মে জাফর হোসেন রুমির মৃত্যু দিয়ে চিকিৎসকদের মৃত্যুর যে মিছিল শুরু হয়েছে সেই তালিকায় বুধবার রাতে সবশেষ সংযোজন হয়েছেন শহিদুল আনোয়ার নামে আরেক চিকিৎসক। অবশ্য তার কয়েক ঘণ্টা আগে মারা গেছেন ডাক্তার সামিরুল হক বাবু নামে আরো একজন চিকিৎসক। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত ৭ হাজার ২২০ জনের মধ্যে চিকিৎসক রয়েছেন ২৬৪ জন।
স্বাচিপের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ন ম মিনহাজুর রহমান বলেন, হাসপাতালে যেসব ডাক্তার আক্রান্ত হচ্ছেন তারা খুব খারাপ স্ট্রেইনের করেনাভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই কারণে মৃত্যুর হার অনেক বেশি।
এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হওয়া ১০ চিকিৎসকের মধ্যে দু’জন ছিলেন সরকারিভাবে দায়িত্বরত। আর বাকি ৮ জন বিভিন্ন স্থানে প্রাইভেট চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন।
এক্ষেত্রে সরকারিভাবে মানসম্মত পিপিই এবং মাস্ক সরবরাহ করা হচ্ছে বলে দাবি সিভিল সার্জনের। তবে বিভিন্ন সংস্থা থেকে উপহার পাওয়া সাধারণ মানের পিপিই’র কারণে চিকিৎসকরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ তার।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, পিপিই এবং সুরক্ষা সামগ্রীগুলো কীভাবে ব্যবহার করতে হয় এবং সেগুলো কীভাবে খুলতে হয় সেটি যথাযথভাবে মানতে হবে।
বর্তমানে করোনা রোগীর তুলনায় বিশেষায়িত হাসপাতালের পাশাপাশি চিকিৎসকের মারাত্মক সংকট রয়েছে। যে কারণে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের টানা দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। সে সাথে পিপিই পরিধান এবং খুলে রাখার পর্যাপ্ত জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। এতেও চিকিৎসকরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে সাধারণ চিকিৎসকরাও এখন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের উপ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, বেডের তুলনায় অনেক বেশি রোগী। সেই তুলনায় চিকিৎসক অনেক কম। এছাড়া সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
চট্টগ্রাম বিএমএ'র সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী বলেন, চিকিৎসকরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যাচ্ছেন। তাদের চোখের সামনে যখন একজন সহকর্মী মারা যাচ্ছেন তখন তাদের মধ্যে একটা মানসিক চাপ সৃষ্টি হয় এবং কিছুটা আতঙ্কগ্রস্তও হচ্ছেন।
বিএমএ'র তালিকা অনুযায়ী চট্টগ্রামে মোট চিকিৎসক রয়েছেন ৪ হাজার ৩৪৯ জন। উপজেলা পর্যায়ে ১৮ জন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
করোনা মহামারীর এই যুদ্ধে সম্মুখে থেকে লড়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। আবার আক্রান্তের দিক থেকেও তারা রয়েছেন এগিয়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকিৎসকদের আক্রান্তের হার কমিয়ে আনতে হবে। নাহলে বিপর্যয় নেমে আসবে চিকিৎসা ব্যবস্থায়।
- মারা গেলেন হাসনাত আবদুল্লাহ, জানা গেলো খবরের আসল সত্যতা
- খালেদা জিয়াকে নিয়ে যা বললেন সারজিস আলম
- আচমকা পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিজের জবাব দিলেন ট্রাম্প
- এইমাত্র ভিসা নিয়ে যে ঘোষণা দিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- সাকিব-শিশিরের বিবাহ বিচ্ছেদ, অবশেষে জানা গেলো আসল সত্য
- হতবাক ক্রিকেটবিশ্ব : 0 রানে ১০ উইকেট, ১০টিই বোল্ড
- ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করল সরকার
- হাসিনার নতুন কৌশলে ফের বিপাকে নেতাকর্মীরা
- আজকের মালয়েশিয়ান রিংগিত রেট (৬ মে ২০২৫)
- 'অপারেশন সিন্দুর'-এর পর বন্ধ হয়ে যাবে আইপিএল
- আচমকা পাকিস্তানে ভারতের ক্ষে,প,ণা,স্ত্র হা ম লা , সবশেষ যা জানা গেল
- শতাধিক নেতাকর্মীসহ অন্য দলে যোগ দিলেন বিএনপির সাবেক এমপি
- আজ ১৮, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার মূল্য তালিকা
- ব্যালন ডি’অর ২০২৫ এর শীর্ষ ১০ ফুটবলার এর তালিকা প্রকাশ
- পানি ছিটিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঠান্ডা করলো সিটি কর্পোরেশন