যে কারনে সৌদি থেকে সরে যাচ্ছে আমেরিকা

বিশেষ করে, সম্প্রতি সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় হামলা ও অন্যান্য স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষাপটে দেশটিতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য অত্যাধুনিক ব্যবস্থা মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ তেলক্ষেত্রে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করছে সৌদি আরব ও তার মিত্ররা। যদিও তেহরান সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এসপার সৌদি আরবের প্রিন্স সুলতান বিমানঘাঁটিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন, যেখানে ইরানের হুমকি মোকাবেলায় মোতায়েন রয়েছে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্যাট্রিয়ট
তবে মার্কিন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চলতি বছরের শুরুতে ইরানি জেনারেল কাসেম সোলায়মানির মৃত্যু এবং গত কয়েক মাসে মরণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে বিপর্যস্ত ইরান। ফলে মধ্যপ্রাচ্য তথা উপসাগরীয় অঞ্চলে ইরানের সামরিক প্রভাব অনেকটাই খর্ব হয়েছে। এ অবস্থায় সৌদি আরবে মোতায়েন মার্কিন সামরিক সরঞ্জামাদি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
ইতোমধ্যে ওই অঞ্চল থেকে মার্কিন বিমানবাহিনীর দুটি ফাইটার জেট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে খবর দিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো।
তবে সৌদি আরব থেকে আমেরিকার এই সরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ইরানের প্রভাবের কথা বলা হলেও অনেকেই আরেকটি বিষয় সামনে এনেছেন। আর তা হলো- সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে সৌদি আরব বেশি বেশি তেল উত্তোলন করে, যা তেলের বাজার পড়ে যেতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
এতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মার্কিন কোম্পানিগুলো। এ নিয়ে মার্কিন সিনেটররা একাধিকবার সৌদি আরবকে সতর্কও করেছেন। তারা বলেন, সৌদি আরব এই প্রতিযোগিতা থেকে সরে না আসলে দেশটিকে দেওয়া মার্কিন নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার চিন্তা করা হতে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স সম্প্রতি জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে বলেছেন, ওপেকভুক্ত দেশগুলো যদি তেলের উৎপাদন না কমায়, তাহলে সৌদি আরব থেকে আমেরিকান সেনাদের প্রত্যাহার ঠেকানো তার জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে। তার কয়েকদিন পরই এমন খবর দিলো মার্কিন গণমাধ্যম।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন বলছে, মার্কিন নীতি নির্ধারকরা মনে করছেন, উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে সামরিক উপস্থিতি হ্রাস করে বরং চীনের প্রভাব রোখার দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত এবং এ জন্য এশিয়া অঞ্চলে নিজেদের অবস্থান শক্ত করা দরকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের তেল স্থাপনার নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত মার্কিন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণান্ত্রের চারটি বহর সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি এসব বহরে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের অন্যত্র নিয়োগ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দুটি ফাইটার জেট ওই অঞ্চল ছেড়েছে। সেইসঙ্গে আরব উপসাগরে থাকা মার্কিন নৌবাহিনীর উপস্থিতিও হ্রাস করতে বলা হয়েছে।
তবে সর্বশেষ এই খবরের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত সৌদি আরবের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
- এবার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন যত টাকা বেতন বাড়লো সরকারি চাকরিজীবীদের
- আ.লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে সরকারের বিবৃতি
- সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর
- ওমানে কার্যকর হলো নতুন আইন
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (৯ মে ২০২৫)
- বিয়ের আসরে বরকে যৌতুকে দেওয়া হলো ১৬ কোটি টাকা, ২১০ বিঘা জমি ও পেট্রল পাম্প
- স্বর্ণের ভরি আজ হঠাৎ কত হলো জানেন
- ভারতের ড্রোন হামলায় কাঁপছে স্টেডিয়াম, অনিশ্চিত পিএসএল ম্যাচ
- ৬,৬,৬,৬,৬,৪, ইংল্যান্ডে ঝড়ো ইনিংস খেললেন সাব্বির রহমান
- জুমার নামাজের পর বড় কর্মসূচির ঘোষণা দিলেন হাসনাত
- হাসনাতের ঘোষণার পর শুরু হলো শাহবাগে
- ইংল্যান্ডে চলে গেলেন সাব্বির রহমান
- পাকিস্থানে হামলা, বড় বিপদ থেকে বাঁচলেন রিশাদ ও নাহিদ
- স্বর্ণের দাম কমেছে, এখনই কিনুন
- যে কারনে বন্ধ হয়ে গেলো আইপিএল