বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করা চীনের একটি সামরিক জীবাণু অস্ত্র গবেষণাগার থেকে ছড়িয়েছে বলে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে। তবে এই অভিযোগ নাকচ করেছে বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা।

এ সব ব্যাপারে আজ ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার বিশ্ব সাস্থ্য জানিয়েছে, হাতে আসা সমস্ত প্রমাণাদি বিশ্লেষণ করে তারা জানতে পেরেছে, জৈব গবেষণাগার নয় বাদুড়ের মাধ্যমেই এর উৎপত্তি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের জাতিসংঘের এই অঙ্গ সংস্থার এক মুখপাত্র আজ এই তথ্য জানিয়েছেন।

এ দিকে চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল করোনাভাইরাস হলো তাদের তৈরি জীবাণু অস্ত্র। অস্ত্রের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য সাধারণের মধ্যে জীবাণু ছেড়ে দিয়েছে চীন কর্তৃপক্ষ। এরপরেই এটি গোটা বিশ্বে ছড়িয়েছে। চীনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে শামিল হয়েছিলেন খোদ আমেরিকা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম।

তিনি গেল সপ্তাহেই বলেছিলেন, চীনের মধ্যাঞ্চলের হুবেই প্রদেশের সরকারি গবেষোগার থেকে এই ভাইরাসের উৎপত্তি কিনা তা খতিয়ে দেখছে তার প্রশাসন। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেইজিং সরকার।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ফেডেলা শায়েব জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘প্রাপ্ত সকল প্রমাণাদি অনুযায়ী ভাইরাসটি প্রাণী থেকেই মানুষে ছড়িয়েছে। এটি কোন গবেষণাগারে তৈরি হয়নি। সম্ভবত এই ভাইরাস বাদুড় থেকেই বিস্তার লাভ করেছে। তবে প্রাণী থেকে কীভাবে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।'

এর আগে করোনাভাইরাস চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির গবেষণাগারে তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করেন অনেকে। বিশ্বে জীবাণু অস্ত্র ছড়িয়ে মানুষকে আক্রান্ত করার অভিযোগ পুরোনো। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮০-৮১ সাল পর্যন্ত কিউবায় ডেঙ্গুজ্বরে কয়েক লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। এ সময় কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো ডেঙ্গুজ্বরকে যুক্তরাষ্ট্রের জীবাণু আক্রমণ বলে অভিযোগ করেছিলেন।