ফিরে এসে তারা পেলেন ভিন্ন এক পৃথিবী

তখনো পর্যন্ত কোভিড-নাইনটিন বলে কোন কিছুর অস্তিত্বই ছিল না। আরেক মার্কিন নভোচারী অ্যান্ড্রু মর্গান আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে অবস্থান করছিলেন তারও আগে জুলাই মাস থেকে। মহাকাশে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে এরা তিনজন শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন। স্ক্রাইপোচকা এবং মিজ মায়ার সেখানে ছিলেন ২০৫ দিন। আর মর্গান মহাকাশে কাটান ২৭২ দিন।
মহাকাশে থাকা অবস্থায় এক ভিডিও কলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন জেসিকা মায়ার। তিনি বলেন, নীচের পৃথিবীতে এরকম কিছু একটা যে ঘটছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে সেটা একটা পরাবাস্তব ব্যাপার বলে মনে হয়। কারণ এখান থেকে পৃথিবীটা আগের মতোই অপূর্ব লাগে। কাজেই আমরা পৃথিবী ছেড়ে আসার পর সেখানে যে এত পরিবর্তন ঘটে গেছে সেটা বিশ্বাস করা কঠিন।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের অফিশিয়াল টুইটার একাউন্ট থেকে অনেকগুলো টুইটে বর্ণনা করা হয়েছে কিভাবে শুক্রবার এই তিন নভোচারী পৃথিবীতে ফিরে আসেন। যে সয়ুজ মহাকাশযানে তারা ফিরে আসছিলেন, সেটি তিনটি মডিউলে বিভক্ত হয়ে যায়। এরপর সেগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। কাজাখাস্তানে তাদের ক্যাপসুলগুলো সফলভাবে অবতরণ করে।
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এই অবতরণের একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। এতে দেখা যায় মাস্ক পরা রেসকিউ টিমের সদস্যরা এই নভোচারীদের কাছে যাচ্ছেন। ফিরে আসা নভোচারীরা যেন করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শিকার না হন, সেজন্যে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল। যে সার্চ পার্টির সদস্যদের পাঠানো হয়েছিল নভোচারীদের সন্ধানে, তাদের করোনা ভাইরাসের টেস্ট করা হয় তার আগে। কঠোর কোয়ারেনটিনেও রাখা হয় দীর্ঘ সময়। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সার্চ টিমের সদস্যরা নভোচারীদের উদ্ধার করে সবচেয়ে কাছের বিমানবন্দরে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদের বিমানে করে যার যার দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু কাজাখাস্তানে এখন ক’রোনা ভা’ইরাসের কারণে জরুরী অবস্থা জারি আছে। বেশিরভাগ বিমানবন্দর এখন বন্ধ।
ফিরে আসা তিন নভোচারীর জায়গায় যে তিনজন নতুন নভোচারী পাঠানো হয়েছে তাদের বেলায়ও মাত্রাতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হয় যেন ক’রোনাভা’ইরাস মহাকাশে ছড়িয়ে না পড়ে। এদের দুজন রুশ এবং একজন আমেরিকান।গত ৯ এপ্রিল এদের আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পাঠানো হয়। এর আগে তাদের দেড় মাস কঠোর কো’য়ারেনটিনে রাখা হয়েছিল।
সাধারণত যখন মহাকাশ থেকে নভোচারীরা ফিরে আসেন, তখন তাদের কয়েক সপ্তাহ সময় ধরে একটি পুনর্বাসন কর্মসূচীর ভেতর দিয়ে যেতে হয়। যেহেতু মহাকাশে তার ‘জিরো গ্রাভিটিতে’ অভ্যস্ত হয়ে যান, পৃথিবীতে ফিরে আবার গ্রাভিটি বা মহাকর্ষ বলে অভ্যস্ত হতে তাদের দেহের একটু সময় লাগে।
কিন্তু এবার ফিরে আসা তিন নভোচারীর বেলায় ডাক্তারদের বাড়তি একটা দায়িত্ব পড়েছে। সেটি হলো, এদের ক’রোনা ভা’ইরাস থেকে রক্ষা করা। পৃথিবীতে ফিরে আসার আগে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে এক ভিডিও কলে জেসিকা মায়ার বলছিলেন, সাত মাস পর পৃথিবীতে ফিরে এলেও পরিবার বা বন্ধুদের কাউকে যে আলিঙ্গন করতে পারবো না, সেটা খুব কঠিন হবে।
ক’রোনা ভা’ইরাস ম’হামা’রীর পর পৃথিবীতে ফিরে এসেই হয়তো এখন বেশি নিঃসঙ্গ বোধ করবো। তিনি আরো বলেন, এখানে আমরা কত নতুন কিছুর অনুসন্ধান নিয়ে ব্যস্ত। কাজেই মহাকাশ কেন্দ্রেও অতটা নিঃসঙ্গ বোধ করি না। আমার তো মনে হয় এখানকার চেয়ে পৃথিবীতেই আমি বেশি নিঃসঙ্গ বোধ করবো।
- মারা গেলেন হাসনাত আবদুল্লাহ, জানা গেলো খবরের আসল সত্যতা
- খালেদা জিয়াকে নিয়ে যা বললেন সারজিস আলম
- আচমকা পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিজের জবাব দিলেন ট্রাম্প
- এইমাত্র ভিসা নিয়ে যে ঘোষণা দিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- সাকিব-শিশিরের বিবাহ বিচ্ছেদ, অবশেষে জানা গেলো আসল সত্য
- হতবাক ক্রিকেটবিশ্ব : 0 রানে ১০ উইকেট, ১০টিই বোল্ড
- ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করল সরকার
- হাসিনার নতুন কৌশলে ফের বিপাকে নেতাকর্মীরা
- আজকের মালয়েশিয়ান রিংগিত রেট (৬ মে ২০২৫)
- 'অপারেশন সিন্দুর'-এর পর বন্ধ হয়ে যাবে আইপিএল
- আচমকা পাকিস্তানে ভারতের ক্ষে,প,ণা,স্ত্র হা ম লা , সবশেষ যা জানা গেল
- শতাধিক নেতাকর্মীসহ অন্য দলে যোগ দিলেন বিএনপির সাবেক এমপি
- আজ ১৮, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার মূল্য তালিকা
- ব্যালন ডি’অর ২০২৫ এর শীর্ষ ১০ ফুটবলার এর তালিকা প্রকাশ
- পানি ছিটিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঠান্ডা করলো সিটি কর্পোরেশন