করোনা মহামারি, ঘোষণা যেকোনো সময়

করোনাভাইরাস তথা কোভিড-১৯ রোগ সামাজিক পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে, যাকে বলা হচ্ছে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন। স্বাস্থ্য অধিফতরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত বুলেটিনেও এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সংক্রামক রোগের বিস্তৃতির এর পরের ধাপটিই হলো মহামারি, যা কোনো অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকে না।
মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সে পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বলেই একে মহামারি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললেও তারা স্পষ্ট কোনো উত্তর দেননি। তবে একাধিক কর্মকর্তা এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন, করোনাভাইরাসকে মহামারি ঘোষণা দেওয়ার সব প্রক্রিয়া শেষ। মন্ত্রণালয় সব নথি তৈরি করেছে। দুয়েকদিনের মধ্যেই এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসতে পারে।
রোগ সংক্রমণের চার ধাপ
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চারটি পর্যায়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে থাকে—
স্তর-১: নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো থেকে আগতদের মধ্যে কারও নমুনায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া;
স্তর-২: বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে বা নির্দিষ্ট কোনো এলাকাতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া;
স্তর-৩: নির্দিষ্ট এলাকা থেকে বৃহত্তর এলাকায় সামাজিক সংক্রমণ; এবং
স্তর-৪: মহামারি, কোনো সুনির্দিষ্ট এলাকার মাঝে এই ভাইরাসের সংক্রমণ সীমাবদ্ধ না থাকা।
নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় স্তর অর্থাৎ সামাজিক সংক্রমণে পৌঁছে গেছে আরও দুয়েকদিন আগেই। সোমবার (১৩ এপ্রিল) নিয়মিত বুলেটিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও এ কথা স্বীকার করে নেন। সূত্র বলছে, বিশ্বব্যাপী ধ্বংসলীলা চালানো রোগটি এবার চতুর্থ ধাপে পৌঁছে যাচ্ছে বলেই সরকার একে মহামারি ঘোষণা করতে যাচ্ছে।
মহামারি ঘোষণা এলে সুবিধা কী?
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে থাকার একটা পর্যায়ে এসে সরকার বছর দুয়েক আগে পাস করা ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮’ আইনের প্রয়োগ করতে শুরু করে। তবে করোনাভাইরাসকে মহামারি ঘোষণা করা হলে সেটি মূলত সরকারকে জরুরিভিত্তিতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে বলে জানিছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক বেনজির আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, মহামারি বলতে যে বিষয়টিকে বোঝানো হচ্ছে, সেটা হয়তো হতে পারে যে স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি করা। সেটা করতে পারলে সরকার তখন রোগ নিয়ন্ত্রণে দ্রুতগতিতে কাজ করার সুযোগ পাবে। এরকম অবস্থায় অনেক আইন শিথিল রেখে জরুরিভিত্তিতে কাজ করা যায়। এটাকে অনেকটা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মতো। যুদ্ধের সময় যেমন অনেক নিয়ম শিথিল হয়ে যায়, তেমন অবস্থা বলা যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ দিয়ে বেনজির আহমেদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা জারির ফলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কিন্তু পঞ্চাশের দশকের কোরিয়া যুদ্ধের আইনও প্রয়োগ করতে পারছেন। সেই আইন প্রয়োগ করে জেনারেল মোটরসকে বাধ্য করেছেন মোটরগাড়ি বাদ দিয়ে ভেন্টিলেটর উৎপাদন করতে। বাংলাদেশেও চাইলে একই কাজ করতে পারবে।
- ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ও ছুটি ঘোষণা করলো সৌদি-আরব আমিরাত
- দেশের বাজারে কমলো ডিজেল ও পেট্রল তেলের দাম
- বাংলাদেশের জয়ের দিনের সিরিজ সেরা ও ম্যাচ সেরা হলেন যে ক্রিকেটার
- বাড়লো আজকের সৌদি রিয়াল রেট (৩০ এপ্রিল ২০২৫)
- ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা বললেন ড. ইউনুস
- এবার বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা নিয়ে বড় সুখবর
- চিকিৎসা শেষে দেশে আসছেন খালেদা জিয়া, রাজনীতি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
- ৮ অঞ্চলে আজ সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
- বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের সূচি ঘোষণা পাকিস্তানের
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (১ মে ২০২৫)
- মিরাজের ব্যাটে জ্বলছে টাইগাররা, লিড ১২৬
- কুয়েত প্রবাসীদের জন্য ঈদের ছুটি ঘোষণা করলো কুয়েত সরকার
- বেড়েছে সিঙ্গাপুরের ডলার রেট, জেনেনিন আজকের রেট
- দেশের সকল নাগরিকদের জন্য বড় সুখবর
- দিনের শুরুতে বার্সেলোনার ম্যাচসহ টিভিতে আজকের খেলা