দেশে ত্রাণ চোরদের মোবাইল কোর্টে সাজা দিতে আইনি নোটিশ

আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন আইন সচিব বরাবরে ই-মেইল করে এ নোটিশ পাঠান। নোটিশে বলা হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোটিশে অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান লিংকন বলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী হিসেবে বর্তমান দুর্যোগময় সময়ে বৃহত্তর জনস্বার্থে এই লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করছি।
ক. যেহেতু করোনাভাইরাস সারাবিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে যার ব্যাপকতা আমার প্রিয় স্বদেশকে দারুণভাবে আক্রান্ত করেছে এবং এর প্রভাবে জনজীবন স্থবির হয়ে গেছে এবং রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সর্বস্ব নিয়োগ করে এই যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য প্রচেষ্টা আব্যাহত রেখেছে।
খ. যেহেতু করোনা দুর্যোগকালীন করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ করার জন্য মানুষকে ঘরে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ পালন করতে তাদের এক প্রকার ঘরে আবদ্ধ করে রাখা হচ্ছে।
গ. সঙ্গত কারণে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে এবং দিন আনা, দিন খাওয়া মানুষগুলো সাধারণত অসহায় মানুষগুলো দারুণভাবে সরকারের বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
ঘ. আমাদের সরকার সাধারণ মানুষের এই দুর্দশা লাঘবের জন্য এই দুর্যোগকালীন তাদের খাদ্যসহায়তাসহ নগদ অর্থসহ সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে।
ঙ. কিন্তু আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ করছি, উক্ত দুর্যোগকালীন সময়ে যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে সেই ত্রাণ বিতরণে নানা অনিয়ম পরিলক্ষিত হচ্ছে, এমনকি যে চাল গরিব-দুঃখী মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য সরকার থেকে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে সেখানেও বিভিন্ন ব্যক্তি তাদের এই চালগুলো চুরি করার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটাচ্ছে; যা সরকারের উচ্চ মহল থেকে বারবার সতর্ক করার পরও এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কোনোভাবেই নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না।
চ. যেহেতু আমরা একটি দুর্যোগকাল অতিক্রম করছি এবং ত্রাণ বিতরণে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে স্বচ্ছতার নির্দেশ দেওয়া হলেও কেউ কেউ সেটা মানছেন না, যার ফলে ওই সমস্ত দুষ্কৃতকারী ব্যক্তিকে কঠিন শাস্তির আওতায় আনা আবশ্যক হয়ে পড়েছে।
ছ. একমাত্র কঠোর শাস্তি নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে এই ধরনের দুষ্কৃতকারীদের হাত থেকে সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষা করা এবং দুর্যোগকালে সম্পদের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে অসহায় মানুষকে কিছুটা স্বস্তি প্রদান করা সম্ভব।
জ. বিদ্যমান মোবাইল কোড আইনের ৬ এবং ৮ ধারা সংশোধনপূর্বক মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে দুষ্কৃতকারীদের অর্থাৎ দুর্যোগকালীন সময়ে যারা চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সরকারের রিলিফ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা একান্ত আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটুনি দিয়ে থানায় সোপর্দ করল ছাত্রদল
- হঠাৎ পাল্টে গেলো পেঁয়াজের বাজার
- কমলো সয়াবিন তেলের দাম, যা তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- যাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব, জানুন ইসলামী বিধান অনুযায়ী
- নুসরাত-অপু-নিপুণ-জায়েদ—হত্যাচেষ্টা মামলায় যুক্ত ১৭ শোবিজ তারকা
- সৌদি সরকারের জরুরি নির্দেশনা
- চিকিৎসা শেষে দেশে আসছেন খালেদা জিয়া, রাজনীতি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
- সৌদি থেকে নিঃস্ব হয়ে ফিরেছেন শতাধিক প্রবাসী
- অভিষেকে বাজিমাত, মাসাকেসার ঘূর্ণিতে কাঁপলো টাইগাররা
- ৮ অঞ্চলে আজ সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
- সহজ শর্তে সর্বোচ্চ যত টাকা ঋণ পাওয়ার সুযোগ প্রবাসীদের
- পাকিস্তানের এক সিদ্ধান্তেই চরম ক্ষতির মুখে ভারত
- বেড়েছে সিঙ্গাপুরের ডলার রেট, জেনেনিন আজকের রেট
- মিরাজের ব্যাটে জ্বলছে টাইগাররা, লিড ১২৬
- বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের সূচি ঘোষণা পাকিস্তানের