করোনা ভাইরাস : ফেঁসে যাচ্ছেন ১১ সরকারি কর্মকর্তা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে নির্দেশনা থাকার পরেও এই ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর কর্মস্থলে অনুপস্থিতির কথা জানিয়ে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে গত ৭ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছিলেন।
এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিবকে চিঠি পাঠায়।
বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তারের কারণে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় দুই দফায় এই ছুটি বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়।
নভেল করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ইতালিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরা প্রবাসীদের একটি বড় সংখ্যা মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার চারটি এলাকার হওয়ায় ওই এলাকা শুরুতেই অবরুদ্ধ করা হয়।
শিবচরের চার এলাকা ঘিরে বিশেষ ব্যবস্থা
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার রোধকল্পে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময় জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু নির্দেশনা অমান্য করে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় কর্মরত ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
“তাদেরকে উপজেলা কন্ট্রোলরুমে ও ইউনিয়ন ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাদের অনুপস্থিতির কারণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ কার্যক্রমসহ শিবচর উপজেলার অন্যান্য সরকারি কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন বিঘ্নিত হচ্ছে। এ সকল অনুপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।”
এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অবহিত করতেও চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
শিবচর উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইকবাল হোসেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার শ্যামল কৃষ্ণ মালাকার, উপজেলা সমবায় অফিসার মো. জহিরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. হারুন-অর-রশিদ, সাব-রেজিস্ট্রার মো. আ. মতিন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার সত্য রঞ্জণ, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রফিকুল ইসলাম কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন।
এছাড়া শিবচর উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী এ কে এম আসাদ, উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. মোশারফ হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক এমারত হোসেন ও সহকারী হিসাবরক্ষক অসীম বালাও কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন।
- সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর, যে প্রজ্ঞাপন জারি করল অর্থ মন্ত্রণালয়
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটুনি দিয়ে থানায় সোপর্দ করল ছাত্রদল
- হঠাৎ পাল্টে গেলো পেঁয়াজের বাজার
- কমলো সয়াবিন তেলের দাম, যা তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- এবার যে ভবিষ্যদ্বাণী স্বর্ণের দাম নিয়ে
- যাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব, জানুন ইসলামী বিধান অনুযায়ী
- আরও কমলো ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম
- শিক্ষকদের বেতন স্কেল নিয়ে সুখবর
- নুসরাত-অপু-নিপুণ-জায়েদ—হত্যাচেষ্টা মামলায় যুক্ত ১৭ শোবিজ তারকা
- সৌদি সরকারের জরুরি নির্দেশনা
- চিকিৎসা শেষে দেশে আসছেন খালেদা জিয়া, রাজনীতি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
- সৌদি থেকে নিঃস্ব হয়ে ফিরেছেন শতাধিক প্রবাসী
- শক্তিশালী কালবৈশাখীতে কয়েকটি উপজেলার বাড়িঘর-ফসল তছনছ
- অভিষেকে বাজিমাত, মাসাকেসার ঘূর্ণিতে কাঁপলো টাইগাররা
- দেশের ৯ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা