রোববার দুপুরে মোহাম্মদ নাসিমের ধানমণ্ডির বাসভবনে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। নাসিম বলেন, মুজিববর্ষের শুরুতে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির এই বিজয় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই বিজয় গণতন্ত্রের বিজয়। এই বিজয় স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির বিজয়।

এ সময় সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হয়েছে বলেও দাবি করেন সাবেক এই মন্ত্রী। তিনি বলেন, নির্বাচনে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে।

বিএনপির নির্বাচনবিরোধী চরিত্রের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, তারা ভোটারদের মাঝে ভীতি সৃষ্টি করেছিল।

বিএনপির ডাকা হরতাল প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির ডাকা আনাকাঙ্ক্ষিত হরতাল জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। ঢাকায় কোনো হরতাল হচ্ছে না। হরতালের নামে বিএনপি প্রহসনের নাটক করছে।

১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, বিএনপির নেতারা অনেক হুংকার আর আওয়াজ দিলেও তাদের মাঠে পাওয়া যায়নি। তারা হুংকার দিলেও সময় মতো তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, আমরা বিস্মিত হয়েছি, ভোটের লড়াইয়ে বিএনপির ডাকসাইটে নেতাদের মাঠে পাওয়া যায়নি। বিএনপির দুই প্রার্থী একাই লড়ে গেছেন। বিএনপি মাসজুড়ে ইভিএমবিরোধী প্রচারণা চালানোয় জনগণ বিভ্রান্ত হয়েছেন বলেও দাবি করেন নাসিম।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টি জেপি মহাসচিব শেখ সহিদুল ইসলাম, গণআজাদী লীগের সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের যুগ্ম-আহ্বায়ক আসীত বরণ রায় প্রমুখ।