বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী ফিফা রেফারি হলেন জয়া চাকমা
এরপর অপেক্ষা ছিল ফিফার অনুমোদনের। আর সেটিও পেয়ে গেছেন জয়া চাকমা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে এক মেইল বার্তায় ফিফা সেটি নিশ্চিত করেছে। তবে বয়স কম হওয়ায় সালমাকে আরও কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। ফিফা রেফারি হতে হলে ন্যূনতম বয়স হতে হয় ২৩ বছর, তার বয়স ২৩-এর কম।
দক্ষিণ এশিয়ায় চারজন নারী ফিফা রেফারির দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যে দুজন ভারতের আর একজন করে আছেন নেপাল ও ভুটানের। এবার ফিফার পঞ্চম নারী রেফারি হয়ে গেলেন জয়া চাকমা।
২০২০ সালের জন্য বাংলাদেশের প্রথম নারী রেফারি হতে পেরে খুব খুশি ‘পাহাড়ি কন্যা’। বলেন, এই খবরটির অপেক্ষায় ছিলাম। ফিফা থেকে অনুমোদনের খবর পেয়ে আমার অনেক ভালো লাগছে। এই অনুভুতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।
আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে জয়াকে নতুন করে পরীক্ষা দিতে হবে ২০২১ সালের জন্য। জয়া তাকাচ্ছেন আরও সামনে। বলেন, আমি চাই এই অর্জন ধরে রাখতে। যেন আমার দেখাদেখি অন্য মেয়েরাও উঠে আসে। এতে করে বাংলাদেশের ফুটবলও এগিয়ে যাবে মনে করি।
রাঙামাটির মেয়ে জয়া টানা চার বছর বয়সভিত্তিক ফুটবলের পাশাপাশি জাতীয় দলেও খেলেছেন। এছাড়া, ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিজেএমসির হয়ে ঘরোয়া ফুটবলে খেলেছেন। এই সময় রেফারিংয়ের পাশাপাশি নাম লেখান কোচিংয়েও। এএফসির বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতা ছাড়াও ঘরোয়া ফুটবলে ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে তার। কোচিং কোর্সও করেছেন। এএফসি ‘বি’ লাইসেন্স করে এখন বিকেএসপির মেয়েদের কোচ জয়া।
সেখানেও সাফল্য পেয়েছেন। তার কোচিংয়েই গত নভেম্বরে ভারতে সুব্রত মুখার্জি আন্তর্জাতিক ফুটবলে শিরোপা জিতেছে বিকেএসপির মেয়েরা।জয়া এককথায় অলরাউন্ডার। খেলার সঙ্গে লেখাপড়াও চালিয়ে গেছেন পুরোদস্তুর। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে করেছেন মাস্টার্স। ডিপ্লোমা আছে স্পোর্টস সায়েন্সের ওপরও। এবার তার সঙ্গে যোগ হতে চলেছে ফিফা রেফারির তকমা।