আজ থেকে রাস্তায় নামছেন মমতা

ভারতীয় সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ হওয়ার সময় থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তীব্র প্রতিবাদ করে আসছেন। বিলটি আইন হিসেবে মান্যতা পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিবাদ তীব্রতর হয়। তিনি সব অনুষ্ঠানেই বক্তব্য পেশ করার সময় ক্যাব এবং এনআরসি–র বিরোধিতা করছেন। তাঁর বক্তব্য স্পষ্ট। এনআরসি এবং নাগরিকত্ব নিয়ে নতুন আইন রাজ্যে কিছুতেই চালু হবে না। আজ তিনি পথে নেমে প্রতিবাদ জানাবেন। হাঁটবেন মিছিলে।
আজ ১৬ ডিসেম্বর সোমবার বেলা ১টায় ময়দানে আম্বেদকর ও গান্ধীজির মূর্তিতে মালা দিয়ে মিছিল শুরু করবেন মমতা। এই কর্মসূচির জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। হয়েছে প্রচার। ক’দিন ধরে জেলায় এবং কলকাতায় তৃণমূল নেতা, কর্মী, সমর্থকরা মিছিল করেছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেছেন। আজ মমতার মিছিল ময়দান থেকে ধর্মতলা, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ হয়ে যাবে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সামনে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য পেশ করবেন। তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও যুব সভাপতি এই কর্মসূচির মূল দায়িত্বে। অন্য নেতারা তো রয়েছেনই।
সমর্থকদের ব্যানার, প্ল্যাকার্ডে এনআরসি ও ক্যাবের বিরুদ্ধে স্লোগান লিখে আনতে বলা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর এবং নেতারা এই প্রতিবাদ মিছিলে প্রচুর মানু্ষকে জমায়েত করতে প্রস্তুত হয়েছেন। তৃণমূল যুব কংগ্রেস, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও প্রচুর লোক মিছিলে যোগ দেবেন।
গতকাল রবিবার গোটা বাংলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীরা এনআরসি ও ক্যাবের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মিছিল করেন। দমদমে ব্রাত্য বসু, লেক টাউনে সুজিত বসু, বিরাটিতে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে মিছিল হয়। হুগলিতেও এলাকার বিধায়করা মিছিল বের করেন।
এদিকে মিছিলে ব্রাত্য বলেন, ‘বিজেপি বাংলাকে সাম্প্রদায়িকতার আঁতুড়ঘর করতে চাইছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছি। আমাদের একটাই প্রশ্ন, বৈধ নাগরিকদের কেন আবার নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে? আমাদের প্রতিবাদ এখানেই।’
সুজিত বসু বলেন, ‘আমাদের নেত্রী প্রথম থেকেই এনআরসি ও ক্যাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। সোমবার তিনি মিছিল ডেকেছেন। আমরা সকলেই মিছিলে যাব।’
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিরাটিতে এদিনের মিছিলে বহু মহিলা এসেছিলেন। ঠিক হয়েছে, সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত এই তিনদিন নেত্রী যখন মিছিল করবেন, পাশাপাশি সব জেলায় মিছিল হবে।
আগামীকাল মঙ্গলবার মমতা মিছিল করবেন যাদবপুরের ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে। মিছিল শেষ হবে ভবানীপুরে যদুবাবুর বাজারের সামনে। মুখ্যমন্ত্রী দলমত নির্বিশেষে সকলকে এই পদযাত্রায় শামিল হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর মিছিল হাওড়া ময়দান থেকে। যাবে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত। মিছিল শুরু দুপুর ১টায়। হাওড়ার সব বিধায়ক, কাউন্সিলর ও দলের সর্বস্তরের নেতা–কর্মীরা থাকবেন। ধর্মতলায় থাকবেন সাংসদ, বিধায়ক ও কাউন্সিলররা।
এদিকে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্টজনেরা তিনদিনই মিছিলে হাঁটবেন বলে। মিছিলের সময় সাধারণ মানুষের অসুবিধা যাতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটুনি দিয়ে থানায় সোপর্দ করল ছাত্রদল
- যাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব, জানুন ইসলামী বিধান অনুযায়ী
- নুসরাত-অপু-নিপুণ-জায়েদ—হত্যাচেষ্টা মামলায় যুক্ত ১৭ শোবিজ তারকা
- চিকিৎসা শেষে দেশে আসছেন খালেদা জিয়া, রাজনীতি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
- সৌদি থেকে নিঃস্ব হয়ে ফিরেছেন শতাধিক প্রবাসী
- বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের সূচি ঘোষণা পাকিস্তানের
- ৮ অঞ্চলে আজ সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
- অভিষেকে বাজিমাত, মাসাকেসার ঘূর্ণিতে কাঁপলো টাইগাররা
- এবার বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা নিয়ে বড় সুখবর
- সহজ শর্তে সর্বোচ্চ যত টাকা ঋণ পাওয়ার সুযোগ প্রবাসীদের
- মিরাজের ব্যাটে জ্বলছে টাইগাররা, লিড ১২৬
- বেড়েছে সিঙ্গাপুরের ডলার রেট, জেনেনিন আজকের রেট
- পাকিস্তানের এক সিদ্ধান্তেই চরম ক্ষতির মুখে ভারত
- বেড়েছে আজকের সিঙ্গাপুরের ডলার রেট
- ৯ দাবিতে কোরিয়ান ভিসাপ্রত্যাশীদের মানববন্ধন, বোয়েসেলের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ