অর্ধেকে নেমেছে পেঁয়াজের দাম,জেনেনিন আজকের বাজার দর

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, আমদানি করা ছোট পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০০-২২০ টাকা। আমদানি করা বড় পেঁয়াজেরও দাম কমেছে। গত সপ্তাহে ৮০-১২০ টাকায় বিক্রি হওয়া এ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা কেজিতে।
আর বাজারে আসা নতুন দেশি পেঁয়াজের কেজি ১০০-১২০ টাকা। তবে গত কয়েক সপ্তাহের মতো এখনো বাজারে পাতাসহ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। পাতাসহ পেঁয়াজের কেজি ৬০-৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা।
পেঁয়াজের দামের বিষয়ে রামপুরা কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী জহির বলেন, ‘আমদানি করা পেঁয়াজের পাশাপাশি বাজারে এখন নতুন পেঁয়াজ এসেছে। এ কারণে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। আমাদের ধারণা, সামনে পেঁয়াজের দাম আরও কমবে।’‘’তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করে বেড়ে ২৫০ টাকা হওয়ায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। বেশিরভাগ ক্রেতাই ২৫০ গ্রাম করে পেঁয়াজ কিনতেন। দাম কমায় এখন কিছুটা হলেও মানুষের মধ্যে স্বস্তি এসেছে। আগে যারা ২৫০ গ্রাম করে পেঁয়াজ কিনতেন আজ তারা আধা কেজি, এক কেজি করে কিনছেন।’
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী নোয়াব আলী বলেন, ‘বাজারে এখন সব ধরনের পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজের পাশাপাশি নতুন পেঁয়াজ বাজারে এসেছে। পেঁয়াজের দাম কমেছে, কিছুদিনের মধ্যে আরও কমবে।’
পেঁয়াজের দাম কমায় ক্রেতাদের মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে। খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা আলেয়া বেগম বলেন, ‘১০০ টাকা দিয়ে এখন এক কেজি পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে এটি অকল্পনীয় ছিল। যাই হোক পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকায় আসায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছি। তবে পেঁয়াজের দাম আরও কমা উচিত’। এদিকে শীতের শাক-সবজি ফুলকপি, পাতাকপি, মুলা, শালগম, শিম, পালং শাক, মুলার শাক, সরিষা শাকের সরবরাহ বাড়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতে বেশিরভাগ সবজির দাম কমেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় কিছু সবজির দাম কমেছে। এর মধ্যে সব থেকে বেশি কমেছে শিম, পাকা টমেটো ও গাজরের। কিছুদিন আগেও ১০০ টাকার ওপরে কেজি বিক্রি হওয়া এ সবজিগুলো এখন অনেকটাই সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে।’
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৪০ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১০০ টাকা কেজি। বাজারে নতুন আসা লম্বা শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা।
বাজার ও মানভেদে দেশি পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। আমদানি করা পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০-৭০ টাকা। টমেটোর পাশাপাশি দাম কমেছে গাজরের। কিছুদিন আগে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া গাজর এখন ৪০-৫০ টাকার মধ্যে।
টমেটো, শিম, গাজরের দাম কমলেও এখনো বেশকিছু সবজির দাম চড়া রয়েছে। বাজার ও মানভেদে নতুন গোল আলুর কেজি গত সপ্তাহের মতো ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বরবটির কেজি ৬০-৮০ টাকা। ফুলকপি ও বাঁধাকপি আগের সপ্তাহের মতো ৩০-৪০ টাকা পিস। পেঁপেও ৩০-৩৫ টাকা। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা কেজি। মুলা পাওয়া যাচ্ছে ২০-৩০ টাকার মধ্যে। শালগম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি। করলা আগের মতো ৫০-৭০ টাকা।
মালিবাগের বাসিন্দা রুবেল বলেন, ‘পাকা টমেটো, গাজর, শিমের দাম কমায় কিছুটা হলেও ভালো লাগছে। কিন্তু বাকি সবজিগুলোর দাম তো এখনো বেশ চড়া। অথচ বাজারে কোনো সবজির অভাব নেই। বাজারে যে হারে সবজি আসছে তাতে সবজির দাম আরও কমা উচিত।’
হাজীপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী মিলন বলেন, ‘টমেটো, গাজর, পেঁয়াজের দাম যখন কমেছে। শিগগিরই অন্যান্য সবজির দামও কমবে। আমাদের বিশ্বাস সবজির দামে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসবে।’
- ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা : পাকিস্তানকে যে ঘোষণা দিলো চীন
- পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ , ৫৪ জনের মৃত্যু
- আজ হঠাৎ পাল্টে গেলো ডিমের দাম
- ভারতের জন্য নতুন দু:সংবাদ : বাংলাদেশে চালু হচ্ছে আরও ৭টি
- ব্যাপক হারে কমলো ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম
- কয়েক মিনিটের কালবৈশাখীতে লন্ডভন্ড পুরো জেলা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে
- বিসিবির ২৫০ কোটি টাকার গোপন চাল! কোথায় গেল এত টাকা, জানলে চমকে যাবেন
- প্রবাসীদের ভিসার জরিমানা ৫০ হাজার রিয়াল, সাথে ৬ মাসের জেলও
- বড় সুখবর দেশি পেঁয়াজের দাম নিয়ে
- ভারতীয় বিমানবাহিনীর হাস্যকর কান্ড, নিজেরাই ধংস করলো নিজের এলাকা
- মেয়েদের ইচ্ছা সপ্তাহের কোন দিনে সবচেয়ে তীব্র হয়, জেনে নিন চমকপ্রদ তথ্য
- এবার বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফেরার সময় সর্বোচ্চ যতটি স্মার্টফোন আনতে পারবেন প্রবাসীরা
- তবে কী ৫ লাখ ছাড়াবে স্বর্ণের দাম, যে ভবিষ্যদ্বাণী
- পাসপোর্ট ইস্যুতে আসছে বড় পরিবর্তন, মিলবে সুখবর
- ভারতের ঘুম হারাম করে ছাড়লো ড. ইউনূস