শুধু মাত্র এই কারনে প্রবাসে হাজারো বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হচ্ছে
কিন্তু নিরাপদ বাসস্থান নিয়ে প্রবাসীদের অভিযোগ বিস্তর। তাদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় প্রবাসীদের জীবনমানের কোন উন্নতি হচ্ছে না। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি তাদের বাসস্থানের বিষয়টিও সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করেন প্রবাসীরা।
প্রবাসীরা বলেন, আমারা বাংলাদেশি বলে কোম্পানি থাকার জন্য বিল্ডিং দেয় না। বিল্ডিং এর পাশে চিপায় ছোট রুমে আমাদের থাকতে হয়। রুম ভাড়া বেশি ছোট এক রুমে চার থেকে পাঁচজন থাকতে হয়। এখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বের করার কোনো রাস্তা থাকবে না। এ চিপায় কোনো ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকবে না।
সৌদিতে হাতে গোনা কয়েকটি কোম্পানির আবাসন ব্যবস্থা ভালো থাকলেও অধিকাংশেরই নেই ভালো কোনো ব্যবস্থা। পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মারা যায় বলে মনে করছেন বাংলাদেশ কমিউনিটি অ্যাকসেপ্ট হাউজিং পরিচালক আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘বিল্ডিংয়ের পাশে একটা গলির ভিতরে একটা রুম করে চার-পাঁচজন মিলে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যারা দায়িত্বে আছেন তাদের অনুরোধ করব তার যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেন।’
শুধু অনিরাপদ বাসস্থানের কারণে সৌদি আরবে গত পাঁচ বছরে অর্ধশতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। এর মধ্যে ২০১৪ সালে রিয়াদে ১০ জন, ২০১৫ সালে দাম্মামে ৪ জন, ২০১৭ সালে নাজরানে একজন, ২০১৭ এবং ১৮ সালে রিয়াদে ৮ জন এবং ২০১৯ সালে দাম্মামে আগুনে পুড়ে মারা যান ২ প্রবাসী বাংলাদেশি।
প্রবাসীদের দাবি, বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন কোম্পানির আবাসন ব্যবস্থা সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃ’ত্যুর হার কমানো সম্ভব।