বিএনপির জুনিয়রদের কাছে সিনিয়র আইনজীবীরা অবরুদ্ধ, এজলাসে অবস্থান

আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি পেছাতে চাইলে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে আইনজীবীরা তাৎক্ষণিক এই কর্মসূচির ডাক দেন।
তবে এরইমধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমসহ রাষ্ট্রপক্ষের অন্যান্য আইনজীবী এজলাস কক্ষ ত্যাগ করেছেন। আর এজলাসে অনড় অবস্থানে আছেন বিএনপি সসমর্থিত আইনজীবীরা।
কর্মসূচি চলাকালে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন দলীয় আইনজীবীদের মধ্যে চকলেট বিতরণ করেন।
এর আগে খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে তার আইনজীবীদের মধ্যে সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এজে মোহাম্মদ আলী, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, বদরুদ্দোজা বাদলসহ প্রমুখ আইনজীবী অংশগ্রহণ করেন। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
জুনিয়র আইনজীবীদের অবরুদ্ধের মুখে পড়ে দলের সিনিয়র আইনজীবীরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এজে মোহাম্মদ আলী, খন্দকার মাহবুব হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সবাইকে শান্ত হয়ে আদালত ত্যাগের নির্দেশ দেন। অনড় জুনিয়র আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার জামিনের আদেশ ব্যতীত আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষ ত্যাগ না করতে সিনিয়রদের হুঁশিয়ারি দেন। তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের কয়েকদফা বাকবিতণ্ডায় জড়াতে দেখা যায়।
এক প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা আপিল বিভাগের আদেশের অপেক্ষায় বসে আছি। আদেশ নিয়েই আমরা বের হবো।
এর আগে চ্যারিটেবল মামলায় গত ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন। এরপর গত ১৪ নভেম্বর হাইকোর্টের খারিজাদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ১৪০১ পৃষ্ঠার ওই আপিল আবেদন দাখিল করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে দুই মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করেছিলেন আদালত।
এরপর ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে।সুত্র:পূর্বপশ্চিম
- এবার বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফেরার সময় সর্বোচ্চ যতটি স্মার্টফোন আনতে পারবেন প্রবাসীরা
- ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা : পাকিস্তানকে যে ঘোষণা দিলো চীন
- পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ , ৫৪ জনের মৃত্যু
- ভারতের জন্য নতুন দু:সংবাদ : বাংলাদেশে চালু হচ্ছে আরও ৭টি
- কয়েক মিনিটের কালবৈশাখীতে লন্ডভন্ড পুরো জেলা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে
- বড় সুখবর দেশি পেঁয়াজের দাম নিয়ে
- পিএসএলে দুঃসংবাদ নেমে এলো রিশাদের জীবনে, একি বললেন শাহীন শাহ আফ্রিদি
- ভারতীয় বিমানবাহিনীর হাস্যকর কান্ড, নিজেরাই ধংস করলো নিজের এলাকা
- মেয়েদের ইচ্ছা সপ্তাহের কোন দিনে সবচেয়ে তীব্র হয়, জেনে নিন চমকপ্রদ তথ্য
- পাসপোর্ট ইস্যুতে আসছে বড় পরিবর্তন, মিলবে সুখবর
- ভারতের ঘুম হারাম করে ছাড়লো ড. ইউনূস
- চলন্ত প্রাইভেটকার থেকে নারীর ভ্যানিটিব্যাগে টান, অতঃপর যা ঘটলো
- ৩ দিন বৃষ্টি হতে পারে যে ৬ বিভাগে
- শোকের ছায়া : মাত্র ২৪ বছর বয়সেই চলে গেলেন জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর
- সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস