| ঢাকা, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

‘আমাদের সন্তানেরা রাস্তায় নামলে পিঠের চামড়া থাকবে না’

জাতীয় ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০১৯ নভেম্বর ২১ ১৬:২০:৪৩
‘আমাদের সন্তানেরা রাস্তায় নামলে পিঠের চামড়া থাকবে না’

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইনটা করা হয়েছে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য। সরকার ও ট্রাফিক পুলিশের কিন্তু জরিমানা আদায়ের উদ্দেশ্য না। আমরা এখন ঢাকা মহানগরীতে প্রতি মাসে ৬-৭ কোটি টাকা জরিমানা করি। সরকারের কাছে এই টাকা একেবারেই নস্যি, সরকারের এই টাকার প্রয়োজন নাই।

তিনি বলেন, আমি কমিশনার হিসেবে যোগদানের পর ট্রাফিকে যারা আছেন তাদের বলে দিয়েছি, মামলার কোনো টার্গেট নাই। সড়কে শৃঙ্খলা থাকলে মামলা করার প্রয়োজন নাই। মূল বিষয় হলো সবাই যদি আইনটা মেনে চলে, তাহলে মামলায় যাওয়ার প্রয়োজন নাই।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান নতুন আইনে একটি জরিমানা দিলে পরিবহন মালিক বা শ্রমিকের সারা মাসের উপার্জন চলে যাবে। সুতরাং আমরা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়ে বলেছি, অব্যাহতভাবে যারা আইন অমান্য করবে, আমরা শুধু তার বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করবো। সেটাও সামান্য, কি অমান্য করেছেন এবং কেন করেছেন বুঝিয়ে দেবো। কিন্তু এটা একবার-দুইবার বলবো, তৃতীয়বার বলবো না। তখন আপনাকে জরিমানা করবো। আপনি অব্যাহতভাবে আইন অমান্য করবেন আর আমরা আপনাকে ছাড় দিয়ে যাবো, তাহলে তো আর আইনটি কখনই প্রয়োগ সম্ভব না।

তিনি বলেন, নতুন এই আইনের পর আমরা মালিক-শ্রমিক-পুলিশ যদি সড়কে শৃঙ্খলা আনতে না পারি, তাহলে আমাদের সন্তানরা সম্মিলিতভাবে আমাদের রাস্তা থেকে তুলে দেবে। রাস্তায় আপনিও নামতে পারবেন না, আমিও ডিউটি করতে পারবো না। সহ্যের একটা সীমা থাকে। ধরুন, আপনার একটা ভুল বা আমার একটি ত্রুটির কারণে এমন একটি মানুষ মারা গেলো, যার বাসায় দুটি বাচ্চা রয়েছে এবং তাদের মুখে ভাত দেওয়ার মতো কর্মক্ষম আর কেউ নেই। সেই মানুষটির কথা কি আমরা কেউ চিন্তা করি? অব্যাহতভাবে আমার সন্তান রক্তাক্ত হবে আর আমরা আনফিট গাড়ি নিয়ে, অদক্ষ ড্রাইভার দিয়ে বছরের পর বছর গাড়ি চালিয়ে যাবো। এটি মানুষ বেশিদিন সহ্য করবে না।

পরিবহন শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, আসুন আমাদের সহযোগিতা নিন, আমরা প্রস্তুত আছি। মালিক যদি বেশি কাজ করতে বাধ্য করে কিংবা মালিক যদি আনফিট গাড়ি চালাতে বাধ্য করে, তাহলে আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধানে বাধ্য করবো। সবকিছু আলোচনা করে সামাধন করতে পারবো। কিন্তু একটি সন্তানের চোখের পানি কখনই আলোচনা করে সমাধান করতে পারবো না। সমস্ত বিষয় নিয়ে আপনাদের সঙ্গে কাজ করবো।

তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আমাদের সবাইকে এই আইন বাস্তবায়নে আসতেই হবে। আপনার সন্তানের জন্য, সবার নিরাপত্তার জন্য আইন মেনে চলুন। পুলিশের সহযোগিতা নিন, আসুন সবাই মিলে নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলি।

ক্রিকেট

শেষ হলো টস : জেনেনিন বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের একাদশ

শেষ হলো টস : জেনেনিন বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের একাদশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ (২৮ এপ্রিল) শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ের মধ্যে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ, যা ...

কয়েক মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড রংপুর

কয়েক মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড রংপুর

রংপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেছে কয়েকশ ঘরবাড়ি ও গাছপালা। জেলার তারাগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, ও পীরগাছা ...

ফুটবল

মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া

মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া

সম্প্রতি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে জায়গা করে নেওয়া দল ফিল্ড ইউনাইটেডের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হামজা চৌধুরী একা ...

আর্জেন্টিনা: ৫, ব্রাজিল: ১

আর্জেন্টিনা: ৫, ব্রাজিল: ১

প্রথমবার ফুটসালের র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করলো আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা- ফিফা। নারী ও পুরুষ উভয় বিভাগে ...



রে