| ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আরব আমিরাতের কাছে বড় বিনিয়োগ প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

বিশ্ব ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০১৯ নভেম্বর ১৮ ২৩:৩২:৪৭
আরব আমিরাতের কাছে বড় বিনিয়োগ প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার অর্থনৈতিক অঞ্চলে, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে এবং হাইটেক পার্কে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’

আবুধাবীতে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানকালীন রোববার হোটেল সাংরি-লা’তে তাঁর সম্মানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত সংবর্ধনা ও নৈশভোজে যোগদান করে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘ওয়ান স্টপ’ সার্ভিস সুবিধা এবং একশর অধিক অবকাঠামোসহ নানা প্রয়োজনীয় সুবিধাদি প্রদান করছে।

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সব থেকে সহনীয় বিনিয়োগ নীতি বিদ্যমান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীরা তৈরি পোশাক শিল্প, ভবন অবকাঠামো নির্মাণ, নির্মাণ শিল্প, যোগাযোগ, জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তি, জাহাজ নির্মাণ, পর্যটন, হাল্কা প্রকৌশল, শিল্প পার্ক এবং পণ্য সরবারাহের কেন্দ্র হিসেবে বিনিয়োগ করতে পারে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। গণ্যমান্য ব্যক্তি, শীর্ষ উদ্যোক্তা এবং ইউএইর স্বনামধন্য ব্যবসায়ী সংস্থার প্রতিনিধি এবং তাঁদের সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

দেশে বিদ্যমান বৈদেশিক বিনিয়োগ সুরক্ষা নীতিমালার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আইন দ্বারা বিদেশি বিনিয়োগকে সুরক্ষা প্রদান, শুল্ক রেয়াত, যন্ত্রাংশ আমদানিতে স্বল্প শুল্ক, যেকোনো সময় লাভ এবং আসলসহ প্রস্থানের সুবিধা, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।’

তৈরি পোশাকের পরেই আমাদের রপ্তানির ক্ষেত্রে কৃষিভিত্তিক পণ্য উল্লেখযোগ্য আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আরব আমিরাতের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের কৃষিজাত এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই।’

বাংলাদেশ এবং আরব আমিরাতের মধ্যে পারষ্পরিক ব্যবসা এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সরকারি এবং বেসরকারি উভয় খাতেই বাংলাদেশ এবং ইউএই-এর যৌথ উদ্যোগের জন্য সম্ভাবনাময় বেশ কিছু খাত খুঁজে বের করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং আমিরাতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং আমিরাত অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে পারষ্পরিক বাণিজ্য ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের যৌথ উদ্যোগের ফলে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বহুমুখীকরণ হবে এবং সম্প্রসারণ ঘটবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। যে সম্পর্ক বহুমুখী এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত হয়েছে।’

বাংলাদেশের পণ্য আমদানির জন্য ইউএইর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে ইউএই ফার্মাসিউটিক্যাল সামগ্রী, পাট এবং পাটজাত পণ্য, সিরামিক, চামড়া, খাদ্যদ্রব্য, প্লাস্টিক সামগ্রী, নিটওয়্যার, ফ্রোজেন ফুড, বস্ত্র, হোম টেক্সটাইল, কৃষিপণ্য এবং প্রকৌশল সামগ্রী আমদানি করতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী তাঁর এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউএই সফরের কথা স্মরণ করেন যখন বাংলাদেশ এবং ইউএই-এর মধ্যে বন্দর স্থাপন, শিল্প পার্ক, বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, এলএনজি সরবরাহ এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সেই সফরকালে আমরা ইউএইর পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিলাম। ইউএইর সংস্থা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ এবং সৌরশক্তিসহ জ্বালানি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল।’ তিনি আরো বলেন, ‘তারা তখন এলএনজি টার্মিনাল এবং বন্দর প্রতিষ্ঠায় আগ্রহ দেখিয়েছিল। আমরা তখন আমিরাত অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রকল্প চালুর প্রস্তাব পেয়েছিলাম।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এমিরটেস ইকোনমিক জোন একটি টেকসই অর্থনৈতিক অঞ্চল হালাল খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ইউনিট এবং সার্টিফিকেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির মূল ভীত যেহেতু কৃষিনির্ভর তাই আমরা এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা লক্ষণীয় যে বাংলাদেশ এবং ইউএইর আর্থসামাজিক এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহমুখীকরণ হয়েছে। এসব খাতের মধ্যে রয়েছে, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি, বিনিয়োগ, অবকাঠামো নির্মাণ, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কারিগরি সহযোগিতা, ব্যবসায় প্রতিনিধি দল আদান-প্রদান, উন্নয়ন সহযোগিতা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উন্নয়নের বিস্ময় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিগুলোর একটি।’

বাংলাদেশের দ্রুত শিল্পায়নের জন্য গ্যাস এবং বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইউএইর সঙ্গে জ্বালানি সম্পর্কিত সহযোগিতা আমাদের শিল্পায়ন প্রক্রিয়াকে ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করবে।’

অনুষ্ঠানে রিলাম ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সুলতান আল রাশেদ লোটাহ, এমিরেট ইসলামি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডি আবদুল্লাহ আল কাশিম ও মালাবার গোল্ডের এমডি (ইন্টারন্যাশনাল অপারেশন্স) শামলাল আহামেদসহ অনেক ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ক্রিকেট

আজ লখনৌর বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ম্যাচে দুই পরিবর্তন নিয়ে একাদশ ঘোষণা করল চেন্নাই

আজ লখনৌর বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ম্যাচে দুই পরিবর্তন নিয়ে একাদশ ঘোষণা করল চেন্নাই

চলমান আইপিএলে দারুন ফর্মে রয়েছে মুস্তাফিজের চেন্নাই দল। গত ম্যাচে ঘরের মাঠে মুম্বাইকে হারানোর পর ...

এই মাত্র শেষ হল চেন্নাই বনাম লখনউর ম্যাচ, দেখে নিন ফলাফল

এই মাত্র শেষ হল চেন্নাই বনাম লখনউর ম্যাচ, দেখে নিন ফলাফল

আজ শুক্রবার চলমান আইপিএলের ৩৪ তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস এবং লখনউ সুপার ...

ফুটবল

অবশেষে নিজের অবসরের সময় জানিয়ে দিলেন মেসি

অবশেষে নিজের অবসরের সময় জানিয়ে দিলেন মেসি

লিওনেল মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার। তার বয়স এখন প্রায় ৩৭ বছর। অনেকেই তার অবসরের কথা ...

ব্রেকিং নিউজ ; বাংলাদেশে আসছেন মেসি

ব্রেকিং নিউজ ; বাংলাদেশে আসছেন মেসি

লিওনেল মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের একজন। বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের বাংলাদেশে আগমনের সম্ভাবনা দেখছেন বাংলাদেশের যুব ও ...



রে