১ মণ ধান বেচেও ২ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারছেন না কৃষক,জেনেনিন বর্তমান বাজার দর

দেশের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে, বর্তমানে এক মণ ধান বিক্রি করেও কৃষক দুই কেজি পেঁয়াজ নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন না। এভাবে দাম বাড়লে হয়তো আর রান্নায় পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারবেন না তারা।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সোনাইডাংগা গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান, চলতি আমন মৌসুমের আগাম জাতের ধান কাটার পর তিনি এক মণ ধান বিক্রি করেন ৪৬০ টাকায়। বাড়িতে সামাজিক অনুষ্ঠানে মেহমানদের আপ্যায়নের জন্য কাঁচামাল বাজার করতে এসে পড়েন বিপাকে। এক মণ ধান বিক্রির ৪৬০ টাকায় দুই কেজি পেঁয়াজ দিচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। ২৪০ টাকা কেজি হিসেবে আরও ২০ টাকা পকেট থেকে দিতে হয়েছে। বাজারে এসেই পকেট ফাঁকা। ধার দেনা করে বাজার করতে হয়েছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের কৃষক আমিনুল ইসলাম জানান, বৃষ্টির অভাবে সেচের মাধ্যমে ক্ষেতে পানি, হাজার টাকা বস্তা সার ও ২৫০ টাকা ডেইলি শ্রমিক নিয়ে ধান চাষ করে এখন আধা মণ (২০ কেজি) ধান বিক্রি করেও মিলে না এক কেজি পেঁয়াজ।
এদিকে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) চুয়াডাঙ্গার কয়েকটি হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষদের বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম শুনে ক্রেতারা বাজার থেকে ফিরে যাচ্ছেন। আবার কেউ অল্প করে কিনছেন পেঁয়াজ।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার বাজারগুলোতে বর্তমানে প্রকারভেদে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৬০ টাকায়। আর হাটগুলোতে মণপ্রতি আমন ধান বিক্রি হচ্ছে ৪৮০-৫৪০ টাকায়। ফলে সেখানেও এক মণ ধানের দামে ২ কেজি পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না।
পেঁয়াজ বিক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, মোকামে পেঁয়াজের দাম প্রতিদিন বাড়ছে। প্রতি মণ পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ৮৫০০ টাকায়। আবার পেঁয়াজ নিয়ে আসার খরচ আছে। সব মিলিয়ে এই দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সভসভাপতি শারিন মালিক জানান, চুয়াডাঙ্গায় বাইরের দেশের পেঁয়াজ নেই। দেশি পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। দাম বাড়তি থাকলেও অল্প দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হবে।
অন্যদিকে কুড়িগ্রামের রাজারহাটের বাজারে ধান বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা মণ দরে। সেখানে ১ কেজি পেঁয়াজ কিনতে আধামণেরও বেশি ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে ১ মণ ধান বিক্রির টাকা দিয়েও ১ কেজি পেঁয়াজ মিলবে কিনা এ নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন কৃষকরা।
জানা যায়, বেশ কয়েক দিন ধরে রাজারহাট বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল। সেই পেঁয়াজ ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আধাঘণ্টার ব্যবধানে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি করেন বিক্রেতারা। আর শুক্রবার তা ২৫০ টাকা ছাড়ায়। আকস্মিকভাবে পেঁয়াজের তিনগুণ দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাজারহাট ইউএনও মো. যোবায়ের হোসেন বলেন, সারা দেশেই পেঁয়াজ সংকট। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে মজুদ করে চড়া দামে বিক্রির অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- এবার বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফেরার সময় সর্বোচ্চ যতটি স্মার্টফোন আনতে পারবেন প্রবাসীরা
- ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা : পাকিস্তানকে যে ঘোষণা দিলো চীন
- পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ , ৫৪ জনের মৃত্যু
- ভারতের জন্য নতুন দু:সংবাদ : বাংলাদেশে চালু হচ্ছে আরও ৭টি
- কয়েক মিনিটের কালবৈশাখীতে লন্ডভন্ড পুরো জেলা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে
- বড় সুখবর দেশি পেঁয়াজের দাম নিয়ে
- পিএসএলে দুঃসংবাদ নেমে এলো রিশাদের জীবনে, একি বললেন শাহীন শাহ আফ্রিদি
- ভারতীয় বিমানবাহিনীর হাস্যকর কান্ড, নিজেরাই ধংস করলো নিজের এলাকা
- মেয়েদের ইচ্ছা সপ্তাহের কোন দিনে সবচেয়ে তীব্র হয়, জেনে নিন চমকপ্রদ তথ্য
- পাসপোর্ট ইস্যুতে আসছে বড় পরিবর্তন, মিলবে সুখবর
- ভারতের ঘুম হারাম করে ছাড়লো ড. ইউনূস
- চলন্ত প্রাইভেটকার থেকে নারীর ভ্যানিটিব্যাগে টান, অতঃপর যা ঘটলো
- ৩ দিন বৃষ্টি হতে পারে যে ৬ বিভাগে
- শোকের ছায়া : মাত্র ২৪ বছর বয়সেই চলে গেলেন জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর
- সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস