অলৌকিক ভাবে বেঁচে যায় শিশু নাইম অবাক করা তথ্য

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছেন শতাধিক যাত্রী। অনেকেই এখনও খুঁজে পাননি স্বজনদের। এরই মধ্যে দুটি শিশুর রক্তাক্ত দেহ মনে দাগ কেটেছে সবার। এদের মধ্যে একটি শিশু জীবিত থাকলেও অপর শিশুর নিথর দেহ পড়ে আছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের ফ্লোরে।
তার নাম সোহা মনি (৩)। সে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার সোহেল মিয়ার মেয়ে। ট্রেন দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগেও মা-বাবার কোলে ছিল শিশু সোহা। মুহূর্তের ব্যবধানে মা-বাবার কোল থেকে চিরতরে হারিয়ে যায় সে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের ফ্লোরে এখন পড়ে আছে সোহার নিথর দেহ। তার মতো আরও ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সোহাসহ ১৬ জনের লাশ উদ্ধার করেছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন সোহার বাবা সোহেল মিয়া ও মা নাজমা বেগম। তাদেরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
সোহেল ও নাজমাকে নিয়ে যখন ঢাকায় যাওয়া হচ্ছিল তখন সোহার মামা জামাল মিয়া ভাগনির লাশ বুঝে নিতে হাসপাতালের মর্গ আর পুলিশের কাছে দৌড়াদৌড়ি করছেন।
সোহার লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া বাড়ি নিয়ে যেতে চান মামা জামাল মিয়া। ভাগনির লাশ নিতে সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
নিহত সোহার মামা জামাল মিয়া বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে এখানে ছুটে আসি। হাসপাতালের ফ্লোরে সোহাকে এভাবে দেখব কল্পনাও করিনি। সোহার বাবা-মাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সোহার লাশ নিতে আবেদন করেছি আমি।
এদিকে, হাসপাতালের ফ্লোরে সোহার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে কাঁদছে সবাই। হাসপাতালে আনার পর তার পরিচয় পাওয়া না গেলেও কিছুক্ষণ পর জানা যায় হবিগঞ্জের সোহেল মিয়ার মেয়ে সোহা।
অপরদিকে এ দুর্ঘটনায় দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরেক শিশুটির পরিচয় মিলেছে। অলৌকিক ভাবে বেঁচে যাওয়া ওই শিশুর নাম নাইমা, বাড়ি চাঁদপুরের পশ্চিমপাড়ে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে এগারটার দিকে শিশুটির চাচা মানিক কে জানান, তিনি ফেসবুকে ছবি দেখে তার ভাইয়ের মেয়ে নাইমাকে চিনতে পারেন।
এখন তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাইমার কাছে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে নাইমার বাবা মাঈনুদ্দিনও আছেন। মানিক বলেন, সিলেটে মাজার জিয়ারত শেষে মা কাকলী ও দাদা-দাদী, নানা-নানীর সঙ্গে নাইমা চাঁদপুরে ফিরছিলো।
আমরা ফেসবুকে নাইমার ছবি দেখে চিনতে পারি। কিন্তু ওর মা কাকলী ও নানীর খোঁজ এখনও পাইনি। মানিক আরও জানান, নাইমার দাদীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে।
তিনি কুমিল্লা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ওর বাবা ঢাকা থেকে পৌঁছেছে। এখন আমরা প্রথমে নাইমার কাছে যাচ্ছি। এরপর অন্যদের খোঁজে বের হব।
এদিকে, শিশু নাইমাকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসে স্থানীয় যুবক ফাহিম জানান, তারা অ্যাম্বুলেন্সে দুইটি শিশুকে আহত অবস্থায় এনেছিলেন। তাদের একজন মারা গেছে।
নাইমা নামের শিশুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ফেসবুকে শিশুটির খবরের নিচে তার ফোন নাম্বারটি দেওয়া ছিল। এই নাম্বারেই নাইমার কাকা মানিক আমাকে ফোন দেন। এখন তারা হাসপাতালে আসছেন।
শিশুটি দুর্ঘটনায় আক্রান্ত উদয়ন এক্সপ্রেসে ছিল বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। বর্তমানে সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে দিবাগত রাত ৩টার দিকে কসবা উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনার পর ওই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
শিশু একেবারেই একা হয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থলে তার আশপাশে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। শিশুটির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তার স্বজনদের খুঁজে পেতে সাহায্য করার আবেদন জানিয়েছিলেন অনেকেই।
- এবার বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফেরার সময় সর্বোচ্চ যতটি স্মার্টফোন আনতে পারবেন প্রবাসীরা
- ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা : পাকিস্তানকে যে ঘোষণা দিলো চীন
- পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ , ৫৪ জনের মৃত্যু
- ভারতের জন্য নতুন দু:সংবাদ : বাংলাদেশে চালু হচ্ছে আরও ৭টি
- কয়েক মিনিটের কালবৈশাখীতে লন্ডভন্ড পুরো জেলা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে
- বড় সুখবর দেশি পেঁয়াজের দাম নিয়ে
- পিএসএলে দুঃসংবাদ নেমে এলো রিশাদের জীবনে, একি বললেন শাহীন শাহ আফ্রিদি
- ভারতীয় বিমানবাহিনীর হাস্যকর কান্ড, নিজেরাই ধংস করলো নিজের এলাকা
- মেয়েদের ইচ্ছা সপ্তাহের কোন দিনে সবচেয়ে তীব্র হয়, জেনে নিন চমকপ্রদ তথ্য
- পাসপোর্ট ইস্যুতে আসছে বড় পরিবর্তন, মিলবে সুখবর
- ভারতের ঘুম হারাম করে ছাড়লো ড. ইউনূস
- চলন্ত প্রাইভেটকার থেকে নারীর ভ্যানিটিব্যাগে টান, অতঃপর যা ঘটলো
- ৩ দিন বৃষ্টি হতে পারে যে ৬ বিভাগে
- শোকের ছায়া : মাত্র ২৪ বছর বয়সেই চলে গেলেন জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর
- সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস