যুবকদের সামনে এটাই বড় চ্যালেঞ্জ
তিনি বলেন, প্রতিবছর বেকার সংখ্যা বাড়ছে। যুবকদের বেকার হওয়ার কারণে সারা দেশব্যাপী যারা সামনে দিকের নাগরিক, নতুন প্রজন্ম তাদের মধ্যে হতাশা। এটা শেষ পর্যন্ত গিয়ে মাদকের সঙ্গে জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। আমাদের দেশের প্রচুর মানুষ মাদকাসক্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী বেকারের সংখ্যা তুলে ধরে তিনি বলেন, তারা শেষ পর্যন্ত মাদকের অর্থযোগান দেয়ার জন্য নানা ধরনের অসামাজিক এবং অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে। এর একটা কারণ চাকরির সংস্থান নেই।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন প্রকার সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। তারা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। আমাদের এর বাইরে যেতে হবে। আমাদের যে বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প সেগুলোতে যেন যুবকদের কর্মসংস্থান হয় সেই ধরনের প্রকল্প বাছাই করে প্রকল্প নিতে হবে।
কাদের বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এমনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে যেখানে শিক্ষিত হয়ে আমাদের যুবকরা বেকার থাকবে না। দেশে বা বিদেশে নিজে বা যেভাবেই হোক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। সেইভাবেই শিক্ষা ব্যবস্থাও আমাদের তৈরি করতে হবে। আমরা আশাবাদী সামনের দিকে সরকার এই বিষয়গুলোতে দৃষ্টি দেবে। কোনো মানুষ যেন বেকার না থাকে সে বিষয়ে আমরা যা যা করার করব বলে মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটনের সভাপতিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতী, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, জাতীয় যুব সংহতি ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সদস্য সচিব মঞ্জুরুল হক মঞ্জু প্রমুখ।