অবশেষে দানের চামড়া নিয়ে বিপদে মাদ্রাসা-এতিমখানা
তারা কোথাও চামড়া বেচতে পারছেন না। কোনো কোনো মাদ্রাসায় চামড়া পচে যাচ্ছে। সেখানে এমনকি সাড়ে তিন টাকা দরে খাসির চামড়া বিক্রি করার ঘটনাও ঘটেছে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি শাহাদত আলী জানালেন, ছয় শতাধিক চামড়া দান পেয়েছেন তারা এই চামড়া বিক্রির টাকায় প্রায় ৩০০ ছাত্রের অনেক দিনের খাবারের সংস্থান হয়। কিন্তু ক্রেতা না পাওয়ায় চামড়াগুলোতে পচন ধরেছে চামড়াগুলো মানুষের দান করা সম্পদ।
এগুলোর রক্ষার জন্য বিশ হাজার টাকার লবণ কেনা হয়েছে। এই অতিরিক্ত খরচ আমাদের গলার কাঁটার মত বিঁধে আছে।
তিনি বলেন, কয়েকজন ক্রেতা এসেছিল তারা খাসির চামড়া ৩০ টাকা, গরুর চামড়া ১০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দাম বলে পরে আসব বলে চলে গেছে। কিন্তু ওই ক্রেতারা আর ফিরে আসেনি।
ডাকতে গেলে তারা বলেছে তারা কিনতে পারবেন না আবার চামড়াতে লবণ দেওয়ার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না যারা লবণ দিচ্ছেন তারা আমাদেরই সহকর্মী।
নাটোরের ও রাজশাহীর চামড়া ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা খাসীর চামড়া ১০ থেকে ৯০ টাকা দরে কেনা বেচা করছেন। গরুর চামড়া বেচা কেনা হচ্ছে ১০০ থেকে ৯০০ টাকায়।