| ঢাকা, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

‘আমি শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে ৩ দিন খেতে দেয়নি’

বিশ্ব ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০১৯ জানুয়ারি ২৪ ০১:৫২:২৭
‘আমি শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে ৩ দিন খেতে দেয়নি’

এ সপ্তাহে ফিরে আসা নারী শ্রমিকদের কয়েকজনের করুণ পরিণতি তুলে ধরা হয়েছে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে।

মৌলভীবাজারের বাসিন্দা আমেনা বেগম (ছদ্মনাম) সৌদি আরবের রিয়াদে প্রায় দেড় বছর ছিলেন, যার মধ্যে ৫ মাসই তাকে কাটাতে হয় পুলিশের হেফাজতে।

তিনি জানান, যে বাসায় কাজ করতে গিয়েছিলেন, সেখানে যৌন প্রস্তাবে সম্মত না হওয়ায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি। যৌন প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় টানা তিন দিন আমাকে খেতে দেওয়া হয়নি। এক পর্যায়ে মেরে হাত ভেঙে দেওয়া হয় এবং বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। তারপর বাসার সামনে গভীর রাতে পুলিশ আমাকে পায় এবং থানায় নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে চিকিৎসা দেওয়ার পর সেখানকার এজেন্টের মাধ্যমে তাকে আবারো ঐ বাড়িতেই ফিরে যেতে বাধ্য করা হয় বলে জানান ভুক্তভোগী ওই নারী। সেখানে ফিরে যাওয়ার পর আবারো বেশ কিছুদিন তার উপর শারীরিক অত্যাচার এবং যৌন নির্যাতন চলে বলে জানান তিনি।

শারীরিক অত্যাচারের পর একপর্যায়ে তাকে আবারো একদিন রাতে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হলে পুলিশ তাকে বাসার সামনে খুঁজে পায় এবং পরবর্তীতে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয় তাকে। পরে পুলিশের হেফাজত থেকেই দেশে ফেরার ব্যবস্থা হয় তার। ২৫ বছর বয়সী এই নারী দালালের মাধ্যমে সৌদি আরব যাওয়ার পর গৃহকর্মীর কাজ শুরু করেন বলে জানান। যদিও যাওয়ার আগে তার কাছে গোপন করা হয়েছিল যে গৃহকর্মীর কাজের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাকে।

তিনি বলেন, আমাকে শারীরিক নির্যাতন করা তো হতোই, নিয়মিত খাবারও দেয়া হতো না। আর আমি যে এক বছর কাজ করেছি তার মধ্যে আমাকে কেবল দু’মাসের বেতন দেয়া হয়েছে; তাও আংশিক।

আমেনা বেগম আরও জানান, সৌদি আরব যাওয়ার জন্য দালালকে এক লাখ টাকা দিতে হয় তাকে। কিন্তু সেখান থেকে ফেরার সময় তাকে ফিরতে হয় খালি হাতে। বাবা-মা সুদে টাকা ধার নিয়ে আমাকে সৌদি পাঠিয়েছিল। সেখানে সব নির্যাতন, অত্যাচার সহ্য করেও কাজ করতাম টাকার জন্য। কিন্তু টাকা চাইলেই আমার ওপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হতো। এক বছর কাজ করলেও শেষ পর্যন্ত দুই মাসের আংশিক বেতন দেওয়া হয় আমাকে। আমেনা বেগমের সাথে ফেরত আসা নারীদের একজন ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার ফাতেমা বানু (ছদ্ম নাম)। সৌদি আরবে তার গল্পটাও অনেকটা একই রকম।

গহকর্মীর কাজ করতে গিয়ে এক পর্যায়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লেও তার চিকিৎসা করাতে অস্বীকৃতি জানায় গৃহকর্তা।

এরপর তাকে জোর করে মাদক সেবন করিয়ে ঘরে আটকে রাখা হয়। মাদক সেবনের কারণে এক পর্যায়ে তার মানসিক সমস্যাও তৈরি হয় বলে জানান এই নারী।

ক্রিকেট

শেষ হলো টস : জেনেনিন বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের একাদশ

শেষ হলো টস : জেনেনিন বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের একাদশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ (২৮ এপ্রিল) শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ের মধ্যে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ, যা ...

চার ছক্কার ঝড় তুলে শেষ হলো বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ,জেনেনিন ফলাফল

চার ছক্কার ঝড় তুলে শেষ হলো বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ,জেনেনিন ফলাফল

হার দিয়ে শ্রীলঙ্কা সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। ব্যর্থতা ভুলে দ্বিতীয় ম্যাচেই দারুণভাবে ...

ফুটবল

মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া

মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া

সম্প্রতি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে জায়গা করে নেওয়া দল ফিল্ড ইউনাইটেডের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হামজা চৌধুরী একা ...

আর্জেন্টিনা: ৫, ব্রাজিল: ১

আর্জেন্টিনা: ৫, ব্রাজিল: ১

প্রথমবার ফুটসালের র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করলো আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা- ফিফা। নারী ও পুরুষ উভয় বিভাগে ...



রে