যে কারনে দেশে ফিরছেন না জোবাইদা, লড়বেন না ভোটেও
যদিও দলটির নেতাকর্মীরা গত কয়েকদিন ধরে প্রচার করে আসছিল যে, ‘ডা. জোবাইদা শিগগিরই দেশে ফিরছেন।’ তিনি দেশে ফিরে সিলেটের সদর আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন,গণমাধ্যমে এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, ডা. জোবাইদা রহমান ২০০১ সালের নির্বাচনে ঢাকার ঠিকানায় তালিকাভুক্ত ভোটার ছিলেন। এক-এগারোর পর পরিবারসহ তিনি লন্ডনে আসেন। এরপর আর দেশে ফেরেননি তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন— এমন আলোচনা দলের ভেতরে-বাইরে দীর্ঘদিনের। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের একটি অংশও খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের অবর্তমানে ডা. জোবাইদা রহমানকে দেশে ফেরাতে দীর্ঘদিন ধরেই আগ্রহী। তারা চান, দুই শীর্ষ নেতার অবর্তমানে জিয়া পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে ডা. জোবাইদা দলের দুঃসময়ে সক্রিয় হবেন। পরিচ্ছন্ন ইমেজের জোবাইদা বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হলে দল লাভবান হবে, এমন আশাবাদ দলীয় নেতাকর্মীদের।
কিন্তু লন্ডনে বসবাসরত ডা. জোবাইদার একাধিক স্বজন ও এখানে পারিবারিকভাবে সম্পর্কিত সূত্র জানায়, আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়া তো দূরের কথা, শিগগিরই তার দেশে ফেরার কোনও সম্ভাবনা নেই।
লন্ডনে স্বামীর সঙ্গে বিয়ে, মিলাদ মাহফিল, ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়সহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অবশ্য নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন জোবাইদা। তারেক-জোবাইদা দম্পতি লন্ডন প্রবাসী হওয়ার পর দলের নেতাকর্মীরা এখানে জোবাইদার বাবা ‘মাহবুব আলী খান স্মৃতি সংসদ’ গঠন করেন। এ সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচিতেও স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে নিয়ে নিয়মিত অংশ নেন তারেক রহমান।
এদিকে, তারেক রহমানের পরিবারের বিষয়ে কোনও বক্তব্য দিয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের কেউই বিরাগভাজন হতে চান না। তারেক রহমানের কিংস্টনের বাড়িতে আসা-যাওয়া করেন ও পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন নেতারাও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ডা. জোবাইদা রহমানের দেশে ফেরার কোনও ধরনের প্রস্তুতি দৃশ্যমান না থাকার বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাহিদুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শিগগির উনি দেশে ফিরবেন— এমন কোনও তথ্য আমার জানা নেই। ডা. জোবাইদা দেশে ফিরলে আপনারা আগেই জানতে পারবেন।’
দলের যুক্তরাজ্য কমিটির সভাপতি এম এ মালেক জানান, ডা. জোবাইদা রহমান দেশে ফিরছেন, এমন কোনও তথ্য তার জানা নেই।
ডা. জোবাইদা সাবেক মন্ত্রী, প্রয়াত রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কন্যা। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমায়। লন্ডনে জোবাইদা রহমানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে সম্পৃক্ত একটি সূত্র জানায়, জোবাইদার বাবা মাহবুব আলী খান জাগদলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। ১৯৮২ সালে দেশে সামরিক আইন জারিকালে অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত হন এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৮২ সালের ১০ জুলাই থেকে ১৯৮৪ সালের ১ জুন পর্যন্ত তিনি যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এরশাদ সরকারের কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করা ডা. জোবাইদা ১৯৯৫ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দেন। এক-এগারোর সময়ে তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে এমডি (কার্ডিওলোজি) কোর্সের তৃতীয় পর্বে অধ্যয়নরত অবস্থায় অসুস্থ স্বামীর উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশে ছুটি নিয়ে যুক্তরাজ্যে আসেন।
সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমানও বর্তমানে লন্ডনে লেখাপড়া করছেন। মায়ের সঙ্গে লন্ডনে বসবাস করলেও ছুটিতে নিয়মিতই দেশেও যাচ্ছেন তারা। দেশে গিয়ে কারাবন্দি দাদি খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারা দেখাও করেছেন।
সুত্র;banglatribune
- এবার বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফেরার সময় সর্বোচ্চ যতটি স্মার্টফোন আনতে পারবেন প্রবাসীরা
- ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা : পাকিস্তানকে যে ঘোষণা দিলো চীন
- পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ , ৫৪ জনের মৃত্যু
- ভারতের জন্য নতুন দু:সংবাদ : বাংলাদেশে চালু হচ্ছে আরও ৭টি
- বড় সুখবর দেশি পেঁয়াজের দাম নিয়ে
- পিএসএলে দুঃসংবাদ নেমে এলো রিশাদের জীবনে, একি বললেন শাহীন শাহ আফ্রিদি
- মেয়েদের ইচ্ছা সপ্তাহের কোন দিনে সবচেয়ে তীব্র হয়, জেনে নিন চমকপ্রদ তথ্য
- পাসপোর্ট ইস্যুতে আসছে বড় পরিবর্তন, মিলবে সুখবর
- চলন্ত প্রাইভেটকার থেকে নারীর ভ্যানিটিব্যাগে টান, অতঃপর যা ঘটলো
- পাকিস্তানে শক্তিশালী বো.মা বি.স্ফো.র.ণে নিহত.....
- আ:লীগকে নিয়ে নতুন কথা বললেন : মামুনুল হক
- বড় সুখবর গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য
- বড় সুখবর পেঁয়াজের দাম নিয়ে
- শরীরী উষ্ণতায় ভরপুর নতুন ওয়েব সিরিজ, নেট দুনিয়ায় ঝড়
- বেড়েছে আজকের সিঙ্গাপুরের ডলার রেট