৩৩০ একর জমি গিলে খেল ভারত, ১৫ বছর ধরে নীরব বাংলাদেশ

সীমান্তে কাঁটাতার, কৃষক বন্দি; জমি হারিয়ে চুপ প্রশাসন
নিজস্ব প্রতিবেদক:সীমান্তের ওপারে পতাকা উড়ে, অথচ মাটি এই দেশের—এমন বহু জমিই আজ মানচিত্রে বাংলাদেশের হলেও বাস্তবে ভারতের দখলে। পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া, সদর ও বোদা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশ হারিয়েছে প্রায় ৩৩০ একর জমি। বছরের পর বছর ধরে চাষাবাদ বন্ধ, খাসজমিতে গড়ে উঠেছে চা বাগান, আর স্থানীয় কৃষকরা প্রতিনিয়ত পড়ছেন হয়রানির মুখে। অথচ সরকার চুপ। নেই কোনো কূটনৈতিক উচ্চারণ, নেই জমি ফেরত আনার উদ্যোগ।
১৫ বছর আগেই শুরু, ২০১৫ তে চূড়ান্ত দখল
২০০৮ সালের পর থেকেই ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ পা ফেলতে শুরু করে পঞ্চগড়ের অভ্যন্তরে। মাঠের পর মাঠ চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ২০১৫ সালের বহুল আলোচিত সিটমহল বিনিময় চুক্তি যখন বাস্তবায়িত হয়, তখন সেই সুযোগেই ভারতের পক্ষ থেকে সীমান্তে পিলার বসিয়ে জমি দখল চূড়ান্ত করে ফেলা হয়।
সিটমহল বিনিময়ে বাংলাদেশের ৭,১১০ একরের বিনিময়ে ভারত পায় ১৭,১৬০ একর। হিসেবের খাতা ভারসাম্যপূর্ণ হলেও সীমান্তবাসীদের দাবি—ভারত জমির দিক থেকে ‘লাভে’ ছিল না, তাই বিনিময়ের বাইরের জমিগুলো দখলের পথ খুঁজেছে বরাবর।
জমির হিসাব বলছে:
তেতুলিয়া: বাংলাবান্ধা থেকে দর্জিপাড়া পর্যন্ত প্রায় ১৫০ একর
পঞ্চগড় সদর: সিংপাড়া ও ক্ষুদিপাড়ায় ৪৮৭ একর
বোদা: নাওতারি নবাবগঞ্জে ৯৩ একর
তেতুলিয়ার কোনো কোনো এলাকায় চাষ করতে গিয়ে কৃষকরা বিএসএফ-এর হাতে ধরা পড়েছেন, কেউ মার খেয়েছেন, কেউ ফিরে আসেননি। করতোয়া ও মহানন্দার পাড়ে চাষ করা এখন জীবনের ঝুঁকির সমান।
পিলার, বেড়া, চা বাগান—সবই দখলের নীলনকশা
সীমান্তজুড়ে ভারতের ফুলবাড়ি, সিমেট্রি, গোয়ালগঞ্জ, হাফতিয়াগঞ্জ, নয়াবাড়ি ও সিঙ্গিমারি বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা এসব জমিতে পিলার বসানো, কাঁটাতারের বেড়া, এমনকি পোস্ট তৈরি করেছে। বোদার ৯৩ একরের মধ্যে ৭০ একর জমি স্থানীয়দের নামে রেকর্ডভুক্ত হলেও বাকি ২০ একরের কোনো দলিল নেই—সেই সুযোগেই সেখানে এখন চলছে ভারতের চা বাগান!
স্মরণযোগ্য ঘটনা কাসিমগঞ্জ এলাকার ৩৭০ নম্বর পিলার সংলগ্ন ১৫০ একর জমি বিডিআর ৫৬ বছর পর পুনরুদ্ধার করেছিল একসময়। কিন্তু বাকিগুলোর ভাগ্যে এখনও শূন্যতা।
“সরকার কি ভুলেই গেছে আমাদের?”
এ প্রশ্ন আজ প্রতিটি সীমান্তবাসীর মুখে। ১৫ বছর ধরে জমি হারিয়ে, চাষ করতে না পেরে, নিপীড়নের শিকার হয়ে তারা যখন বারবার চিঠি লেখে, আবেদন করে, তখনও যেন ঢাকায় কেবল ‘ভারতবান্ধব কূটনীতি’র ব্যস্ততা। স্থানীয়রা বলছেন, "আর নতজানু পররাষ্ট্রনীতি চলবে না। জনগণের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় সরকারের দৃঢ় অবস্থান প্রয়োজন।"
ফেরত আনা সম্ভব, চাই সদিচ্ছা
ভূমি ও সীমান্ত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আধুনিক প্রযুক্তি, নিরপেক্ষ জরিপ, এবং যৌথ বাউন্ডারি ওয়ার্কিং গ্রুপের সক্রিয়তা থাকলে এসব জমি ফেরত আনা অসম্ভব নয়। এই জমিগুলো ভূমিহীনদের পুনর্বাসনে ব্যবহার করা যেত, কৃষি উৎপাদন বাড়ানো যেত, সীমান্তে শান্তি ফেরানো যেত।
কিন্তু প্রশ্ন হলো—সে উদ্যোগ কি আদৌ নেওয়া হবে?
- ইসলামী ব্যাংকে ১ লক্ষ টাকা জমা রাখলে মাসিক মুনাফা কত, সর্বশেষ আপডেট জানুন এখানেই
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ নিরাপদ ব্যাংকের তালিকা প্রকাশ, টাকা জমা রাখার আগে জেনেনিন
- মুশির ব্যাটে মুগ্ধ বিসিবি বস, ঘোষণা এলো বিশেষ ঘোষণা
- ঐকমত্যের সংলাপে বেধে গেল তুমুল ঝড়! ক্ষুব্ধ হয়ে বেরিয়ে গেল তিন রাজনৈতিক দল
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন সুখবর
- জামায়াত আমিরকে ফোন করে যা যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা
- এবার সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- টাকা, স্বর্ণ বা জমির পরিবর্তে আগামী ১০ বছরে যে জিনিস হবে সবচেয়ে মূল্যবান
- প্রবাসীদের বড় সুখবর দিলো আরব আমিরাত
- ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ করলো আইসিসি
- ভিটামিন ই ক্যাপসুলের যত গুণ
- যত কোটি টাকায় বিক্রি হলেন সাকিব, সিপিএলে খেলবেন যে দলের হয়ে
- গল টেস্ট: দ্বিতীয় দিন শেষ করল বাংলাদেশ, এক ঝড়েই ভাঙল ব্যাটিং ভীত
- সোনার দামে ধসের আশঙ্কা! আসছে বড় পরিবর্তন
- শারীরিক অবস্থার অবনতি আজ সন্ধ্যায় এভারকেয়ারে খালেদা জিয়া