যে ওষুধের কারনে মৃত্যুঝুঁকিতে বাংলাদেশের কোটি মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারা দেশে আবারও ভয়ংকরভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে নকল ও ভেজাল ওষুধের সিন্ডিকেট। রাজনৈতিক অস্থিরতা আর প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগে গ্রাম থেকে শহর, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রাজধানীর কেন্দ্রস্থল—সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে এই ‘মরণ ফাঁদ’। রক্তে প্লাজমা বাড়াতে ব্যবহৃত ‘অ্যালবুমিন ইঞ্জেকশন’ থেকে শুরু করে গ্যাস্ট্রিক ও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ—সবকিছুতেই মিলছে নকলের ছায়া। এমনকি আটা, ময়দা ও সুজি দিয়ে তৈরি হচ্ছে ট্যাবলেট!
বিশেষজ্ঞদের দাবি, কিছু কিছু ওষুধ এতটাই নিম্নমানের বা ভেজাল যে রোগ সারানোর বদলে মৃত্যুঝুঁকি তৈরি করছে। চিকিৎসকরা বলছেন, বাজারে নকল অ্যালবুমিনের এতই ছড়াছড়ি যে এটি ব্যবহার প্রায় বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। একইভাবে হ্যালোথেন নামের চেতনানাশক ওষুধে ভেজাল থাকার কারণে গত বছর ঢাকায় একাধিক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
গবেষণায় ভয়াবহ তথ্যআন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায়, শুধু ঢাকায় বিক্রি হওয়া অ্যান্টিবায়োটিকের মধ্যে অন্তত ১০ শতাংশ ওষুধই ভেজাল বা নিম্নমানের। আর ঢাকার বাইরে সেই হার দ্বিগুণ, প্রায় ২০ শতাংশ!
বিশেষজ্ঞদের মতে, চাহিদাসম্পন্ন ও উচ্চমূল্যের ওষুধ যেমন ইসোমিপ্রাজল, সেফিক্সিম এবং অ্যামোক্সিসিলিন-ক্লাভুলানিক অ্যাসিড বেশি লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে অসাধু কারবারিদের।
‘আটা-ময়দার বড়ি খাচ্ছে মানুষ!’গবেষণায় এমন ভয়ংকর তথ্যও উঠে এসেছে যে অনেক নকল ট্যাবলেটে মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে আটা, ময়দা বা এমনকি সুজিও! বিশেষ করে ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে এসব নকল ওষুধের বিস্তার বেশি।
কারা এই মৃত্যুকারখানার পেছনে?জানা গেছে, রাজধানীর কেরানীগঞ্জ, কামরাঙ্গীরচর এবং আশপাশের এলাকায় নতুন করে গড়ে উঠছে নকল ওষুধ তৈরির কারখানা। এদের অনেকেই অনলাইনে ওষুধ বিক্রি করছে, আবার কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করে সারা দেশে পাঠানো হচ্ছে এই বিষাক্ত ওষুধ।
কী বলছে প্রশাসন?২০২৩ সালে কঠোর আইন করে যাবজ্জীবন সাজার বিধান রাখা হলেও, এখনও পর্যন্ত কাউকে দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়া হয়নি। ওষুধ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তায় বিস্তৃত হচ্ছে এই মৃত্যুবাণিজ্য।
স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের আশঙ্কাজনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব নকল ওষুধ শুধুমাত্র রোগ নিরাময়ে ব্যর্থ হচ্ছে না, বরং দীর্ঘমেয়াদে মানবদেহে জটিল স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। কারও কারও মৃত্যুও ঘটছে এইসব ওষুধ খেয়ে।
বিশেষজ্ঞ ডা. শাহনূর শরমিন বলেন, “আটা-ময়দার ওষুধ তো কাজ করবেই না, কিন্তু যেগুলোতে ক্ষতিকর রাসায়নিক আছে, সেগুলো আরও ভয়ংকর।”
কে নেবে দায়?বাজারে নকল ওষুধের রাজত্ব চলতে থাকলেও তৎপরতা নেই প্রশাসনের। যার ফলে সাধারণ জনগণ হয়ে পড়েছে সম্পূর্ণ অসহায়। প্রশ্ন উঠেছে—এই মৃত্যুবাণিজ্য বন্ধে আদৌ কি সরকার আন্তরিক?
সতর্ক হোন! শুধু লাইসেন্সপ্রাপ্ত ও বিশ্বাসযোগ্য ফার্মেসি থেকেই ওষুধ কিনুন। বেশি লাভের আশায় কমদামি ওষুধে ঝুঁকবেন না। ওষুধের প্যাকেট, ব্যাচ নম্বর, এক্সপায়ারি ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান যাচাই করুন।
এই ভয়াবহ সত্য সবার সঙ্গে শেয়ার করুন! মানুষ বাঁচান, সচেতনতা গড়ুন।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা, নেচার, গবেষক ও চিকিৎসক মতামত
- ঢাকায় নামতে গিয়ে ৬ বার ব্যর্থ পাইলট! তারপর যা ঘটলো, কাঁপলো পুরো ফ্লাইট
- জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
- নতুন নিয়মে পাসপোর্ট করতে মানতে হবে যেসব বিষয়
- পিরিয়ডের কারণে ছুটি চেয়েছিল ছাত্রী, প্যান্ট খুলে প্রমাণ দেখানোর নির্দেশ, অত:পর
- একলাফে বেড়ে গেলো সিঙ্গাপুরের ডলার রেট, জেনেনিন আজকের রেট
- প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে ধরা প্রিয়াঙ্কা কাণ্ড ফাঁস
- বাড়লো আজকের মালয়েশিয়ান রিংগিত রেট (৩০ মে ২০২৫)
- ৭টি লক্ষণে বুঝে নিন আপনার স্বামী বা স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়েছে
- সাকিবকে সুখবর! বিসিবির দায়িত্ব নিয়ে যা বললেন আমিনুল
- যে সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য নতুন সুখবর
- ঈদের আগে জেনে নিন ১৮, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার নতুন মূল্য তালিকা
- নিজের নগ্ন ছবির বিষয়ে পিনাকী ভট্টাচার্যের ফেসবুক পোস্ট
- চিরতরে বাতিল হয়ে যাচ্ছে যেসব জমির দলিল
- বিসিবি,কে নিয়ে যে কথা বলে আলোচনার ঝড় তুললেন তামিম
- আজকের সকল দেশের টাকার রেট : ৩১ মে, ২০২৫