দেশ থেকে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ, বিপদে ৫ লক্ষাধিক মানুষ

ক্রিপ্টোকারেন্সির নামে ভয়াবহ প্রতারণার জালে জড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। কানাডা ও দুবাইভিত্তিক একটি কোম্পানি MTFE-এর বিরুদ্ধে দেশের অন্তত ১১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (CID)। তদন্তে উঠে এসেছে, প্রায় ৫ লাখ বাংলাদেশি নাগরিক এই প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
CID জানায়, দেশের মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ভার্চুয়াল কারেন্সি এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্ম ‘Binance’ থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনে MTFE-তে বিনিয়োগ করতেন। কিন্তু এই বিনিয়োগের মাধ্যমে যে অর্থ পাঠানো হতো, তা প্রকৃতপক্ষে Binance নয়, বরং OKX নামক অপরিচিত এক প্ল্যাটফর্মে জমা পড়ত। সেখান থেকেই টাকা বিদেশে পাচার হতো।
Binance কে ই-মেইল করে বিষয়টি জানানো হলে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে তদন্তে সহায়তার আশ্বাস দেয়। যদিও এক মাস পর পুনরায় যোগাযোগ করলেও আর কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে CID প্রায় ৩.৭ মিলিয়ন ডলার ফ্রিজ করতে সক্ষম হয়েছে বলেও জানায়।
তদন্তে দেখা গেছে, MTFE-এর সঙ্গে প্রকৃত কোনো বিনিয়োগ প্ল্যাটফর্মের সংযোগ ছিল না। এটি ছিল একটি ফাঁদ, যেখানে মানুষকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা হতো। এই পুরো চক্রটি দেশের বাইরে টাকা পাচারের জন্য ডিজিটাল কারেন্সিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।
বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সিকে বৈধতা দেওয়া হয়নি। তবুও ‘Analysis’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের ১৫১টি দেশের মধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারে বাংলাদেশের অবস্থান ৩১তম! বাংলাদেশ ব্যাংক ও CID বলছে, এই ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহার করে অর্থপাচার ও হুন্ডির হার বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে।
একইসঙ্গে এই রিপোর্টে প্রকাশ পায় অনলাইন জুয়া ব্যবসার আড়ালে কীভাবে টাকা দেশের বাইরে পাচার করা হচ্ছে। গুলিস্তানের ‘সুন্দরবন স্কয়ারে’ একটি মোবাইল এক্সেসরিজ দোকানের আড়ালে চলছিল মূলত অনলাইন ক্যাসিনোর রমরমা ব্যবসা। এর সঙ্গে যুক্ত ছিল রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুরের রাজু ও তার ‘গুরু’ কামরুজ্জামান শুভ। শুভ আবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য হিসেবেও পরিচিত।
এই ঘটনায় রামগঞ্জে তদন্ত করতে গেলে শুভর পিতা জানান, সে ঢাকায় থাকলেও বাড়ি আসে না। এই চক্রের অনেকেই বর্তমানে পলাতক। CID বলছে, আইন ও বিধিমালার ঘাটতির কারণে মূল হোতারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাস্তবতা স্বীকার করে এ ধরনের ডিজিটাল মুদ্রাকে সুষ্ঠু নীতিমালার আওতায় এনে বৈধতা না দিলে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদের মুখে পড়বে দেশ। কারণ, বর্তমানে হাজার হাজার কোটি টাকা অবাধে দেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এদিকে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২০০টিরও বেশি ক্রিপ্টো ATM বুথের মাধ্যমে এখন সহজেই টাকা উত্তোলন করা যাচ্ছে। এতে ডিজিটাল চ্যানেলকে ব্যবহার করে অবৈধ পথে অর্থ পাচার আরও সহজ হয়ে উঠছে।
এই ভয়ংকর আর্থিক কেলেঙ্কারি থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকারের উচিত অবিলম্বে একটি সুস্পষ্ট ও কঠোর ডিজিটাল ফাইন্যান্স আইন প্রণয়ন করা। নাহলে এর পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ।
- ক্রিকেটপাড়ায় শোকের ছায়া, বাংলাদেশের টেস্ট চলাকালে হার্ট অ্যাটাকে মৃ’ত্যু
- এলোমেলো হয়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
- ক্রিকেটবিশ্বে শোকের কালো ছায়া : জনপ্রিয় ক্রিকেটারের হঠাৎ মৃত্যু
- এবার ভরিতে এক লাফে যত কমলো স্বর্ণের দাম
- ২য় টেস্টের দলে বড় চমক: বাদ পড়লেন বিশ্বসেরা ২ ক্রিকেটার
- এইমাত্র পাওয়া : ভারতের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
- হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ৫-০ গোলে শেষ হলো বাংলাদেশের ম্যাচ
- আরব আমিরাতের ভিসা নিয়ে বিশাল সুখবর
- হঠাৎ পাল্টে গেল সোনার বাজার, জানুন সুখবরটি
- বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার মূল্য
- বিসিবির ১৩০০ কোটি টাকায় নজর ফারুকের, মুখোশ খুলে গেল বিসিবি সভাপতির
- হঠাৎ যে কারনে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম, জানা গেল পেছনের কারণ
- রিশাদের লাহোরের বিপক্ষে ম্যাচে আজ নাহিদ রানাকে দেখা যাবে কিনা, যা জানা গেল
- নরেন্দ্র মোদিকে যে বার্তা দিলেন ড. ইউনূস
- একাই ১৫৩ রান করে দলকে জেতালেন সৌম্য