
মুস্তাকিম
জুনিয়র রিপোর্টার
৮ বিভাগে ৮ দিনে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আলোচনায় এসেছে ব্যতিক্রমধর্মী এক প্রস্তাব। দেশের ৮টি বিভাগে ৮ দিনে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ। শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাসে এই প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তিনি।
আবু হানিফ তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, “গত ৫ আগস্টের পর দেশের প্রশাসনিক কাঠামো কার্যত ভেঙে পড়েছে। এক বছরেরও বেশি সময় কেটে গেলেও প্রশাসন এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী অনেক ক্ষেত্রেই যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারছে না।”
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচন হলে কেন্দ্র দখল, জাল ভোটসহ নানা অনিয়মের ঝুঁকি থেকে যায়। সাধারণত প্রতি ভোটকেন্দ্রে একজন পুলিশ সদস্য ও ২-৩ জন আনসার মোতায়েন থাকেন। সেনাবাহিনী থাকে কেবল টহল দায়িত্বে। এই কাঠামো দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়বে। এতে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে, যা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করবে।”
কেন ৮ দিনে ৮ বিভাগে নির্বাচন?আবু হানিফের যুক্তি হলো, একযোগে পুরো দেশে নির্বাচন আয়োজনের পরিবর্তে প্রতি সপ্তাহে একটি করে বিভাগে ভোট অনুষ্ঠিত হলে, সেখানে প্রশাসনের সব শক্তি কেন্দ্রীভূত করা সম্ভব হবে। এতে করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে সহজেই।
তাঁর প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিটি নির্বাচনের আগে অন্তত দুদিন করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় 'অস্ত্র উদ্ধার' ও 'বহিরাগত উচ্ছেদ' অভিযান পরিচালনা করতে হবে। তারপর প্রশাসনের পূর্ণ শক্তি, পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী সেখানে মোতায়েন করা হলে কেন্দ্রে দখল কিংবা জাল ভোটের সুযোগ থাকবে না। এমনকি নির্বাচনের স্বচ্ছতাও নিশ্চিত হবে।
তিনি আরও বলেন, “এই কৌশল বাস্তবায়ন করা গেলে তা একদিকে যেমন সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবে, অন্যদিকে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের সংঘাত বা সহিংসতাও এড়ানো যাবে।”
প্রশ্ন: কেন এক দিনে পুরো দেশে নির্বাচন না করে ৮ দিনে ৮ বিভাগে নির্বাচন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে?উত্তর: নিরাপত্তা সংকট ও প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে একসাথে নির্বাচন আয়োজন কঠিন হতে পারে। বিভাগভিত্তিক নির্বাচন হলে প্রশাসনের পূর্ণ শক্তি দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা সহজ হবে।
প্রশ্ন: এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে কী সুবিধা পাওয়া যাবে?উত্তর: কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, সহিংসতা ইত্যাদি রোধ করা সহজ হবে। তাছাড়া নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতাও বাড়বে।
প্রশ্ন: নির্বাচন কমিশন কি এই প্রস্তাব বিবেচনায় নিতে পারে?উত্তর: এটি নির্বাচন কমিশনের নীতিগত সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে। তবে আইন-শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এ ধরনের বিকল্প প্রস্তাব গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।
- গোপালগঞ্জের ঘটনা নিয়ে যা বলছে ভারত
- ৭৯ রানে ধস, তবুও অপরাজিত থেকে ফাইনালে রংপুর
- পাকিস্তান সিরিজের জন্য বাংলাদেশ স্কোয়াড ঘোষণা
- ঋতুপর্ণা-সাবিনার ডাবল হ্যাটট্রিকে ফুটবল ইতিহাসে নজির, ২২-০ গোলে শেষ হলো বাংলাদেশের ম্যাচ
- আজ অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের নতুন মিশন শুরু
- চরম দু:সংবাদ : ৩০ জুনের মধ্যে চিরতরে বাতিল হয়ে যাবে ৬ শ্রেণির দলিল
- তৃষ্ণার জোড়া গোলে এইমাত্র শেষ হলো বাংলাদেশের ফুটবল ম্যাচ
- শুক্রবার মিলবে ১ জিবি ফ্রি ইন্টারনেট, কীভাবে পাবেন জানুন বিস্তারিত
- ভুঁড়ি কমাতে ভাত ছাড়তে হবে না, বদলাতে হবে অভ্যাস
- বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-২০ খেলা কবে, জেনেনিন সময় ও একাদশ
- বেড়ে গেলো আজকের সৌদি রিয়াল রেট (১৮ জুলাই ২০২৫): জেনেনিন কিভাবে টাকা পাঠালে বেশি টাকা পাবেন
- আজ মাঠে তিন টি-টোয়েন্টি লড়াই, দেখবেন কোন চ্যানেলে
- বিদায় বেলায় দেশের সেরা অধিনায়কের নাম বলে গেলেন ইমরুল কায়েস
- বাংলাদেশিদের ভিসা দেয়া নিয়ে মুখ খুললো ভারত
- আজ ১৮ জুলাই, ২০২৫ তারিখ : দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট