সবকিছু ভেঙে দিলেন আমরা গরিব মানুষ কি করে খামু

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে রাজধানীর বিজিবি মার্কেট এলাকায় একটি উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। উচ্ছেদের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক ও শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন যে, তাদের কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়েই হঠাৎ করেই দোকানগুলো বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে তারা তাদের মালামাল সরিয়ে নেওয়ার কোনো সুযোগ পাননি এবং মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
নোটিশ ছাড়াই উচ্ছেদ অভিযানউচ্ছেদ অভিযানের সময় ব্যবসায়ীরা এবং স্থানীয়রা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, যদি অন্তত দুই-একদিন আগে নোটিশ দেওয়া হতো, তাহলে তারা তাদের মালপত্র সরিয়ে নিতে পারতেন এবং বিকল্প কোনো ব্যবসার ব্যবস্থা করতে পারতেন। কিন্তু হঠাৎ করে অভিযান চালানোয় তারা সম্পূর্ণ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
একজন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বলেন,"আমরা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে এই জায়গায় দোকান দিয়েছি। আমাদের কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি, কিছু বলাও হয়নি। এক ঘণ্টা সময় চেয়েছিলাম, সেটাও দেওয়া হয়নি। এখন আমরা কীভাবে চলব?"
আরেকজন ব্যবসায়ী জানান,"এটা সম্পূর্ণ অন্যায়! আমরা গরিব মানুষ, দিন আনি দিন খাই। আমাদের মুখের আহার পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হলো। রোজার মাসে আমাদের এত বড় ক্ষতি করা হলো, আমাদের সন্তানদের ঈদও নষ্ট হয়ে গেলো।"
উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশের ভূমিকাউত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে অভিযান চালাতে গেলে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের সদস্যরা দোকান মালিকদের কোনো ধরনের বাধা দেওয়ার সুযোগ দেননি এবং সিটি কর্পোরেশনের বুলডোজার একের পর এক দোকান গুঁড়িয়ে দেয়। ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন এবং এই আচরণকে ‘অমানবিক’ বলে আখ্যায়িত করেন।
একজন ব্যবসায়ী বলেন,"আমাদের এক ঘণ্টা সময়ও দেওয়া হয়নি, আমাদের বাঁচার উপায়ও বলা হয়নি। এটা কি সরকারের নীতি? আমরা কী খাবো, কীভাবে বাঁচবো?"
উচ্ছেদ অভিযানের ফলাফল ও ক্ষতির পরিমাণএই উচ্ছেদ অভিযানে শত শত দোকান ধ্বংস হয়ে গেছে এবং হাজারেরও বেশি শ্রমিক ও তাদের পরিবার কর্মহীন হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা তাদের পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা। অনেকেই বলছেন, সরকার যদি আগেভাগে নোটিশ দিতো, তাহলে তারা বিকল্প কিছু করতে পারতেন।
এদিকে, সিটি কর্পোরেশন হয়তো যুক্তি দেখাবে যে, এটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান ছিল এবং নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে তারা এখানে ব্যবসা করে আসছেন, তাই তাদের অন্তত নোটিশ দেওয়া উচিত ছিল।
সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়াউচ্ছেদ অভিযানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়াও মিশ্র হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা দরকার, আবার অনেকে মনে করছেন, গরিব ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এমন আচরণ অন্যায়। বিশেষ করে রমজান মাসে এ ধরনের অভিযান চালানোয় অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
- এবার বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফেরার সময় সর্বোচ্চ যতটি স্মার্টফোন আনতে পারবেন প্রবাসীরা
- ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা : পাকিস্তানকে যে ঘোষণা দিলো চীন
- পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ , ৫৪ জনের মৃত্যু
- ভারতের জন্য নতুন দু:সংবাদ : বাংলাদেশে চালু হচ্ছে আরও ৭টি
- বড় সুখবর দেশি পেঁয়াজের দাম নিয়ে
- পিএসএলে দুঃসংবাদ নেমে এলো রিশাদের জীবনে, একি বললেন শাহীন শাহ আফ্রিদি
- মেয়েদের ইচ্ছা সপ্তাহের কোন দিনে সবচেয়ে তীব্র হয়, জেনে নিন চমকপ্রদ তথ্য
- পাসপোর্ট ইস্যুতে আসছে বড় পরিবর্তন, মিলবে সুখবর
- পাকিস্তানে শক্তিশালী বো.মা বি.স্ফো.র.ণে নিহত.....
- চলন্ত প্রাইভেটকার থেকে নারীর ভ্যানিটিব্যাগে টান, অতঃপর যা ঘটলো
- আ:লীগকে নিয়ে নতুন কথা বললেন : মামুনুল হক
- বড় সুখবর গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য
- বড় সুখবর পেঁয়াজের দাম নিয়ে
- শরীরী উষ্ণতায় ভরপুর নতুন ওয়েব সিরিজ, নেট দুনিয়ায় ঝড়
- আপনার যেসব বদঅভ্যাসের কারণেই কমে যাচ্ছে শারীরিক মিলনের চাহিদা