ট্রাইব্যুনালের আইনে নয়, যেভাবে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করতে চায় জানালেন আইন উপদেষ্টা

আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনের সংশোধনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের ক্ষমতা ট্রাইব্যুনাল থেকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের এই বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যে, রাজনৈতিক দলের নিষিদ্ধকরণ বিষয়ে এখন সরাসরি কোনো আইনি ক্ষমতা প্রয়োগের বদলে এটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া এবং ঐকমত্যের ওপর নির্ভর করবে।
এখন থেকে ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দলের অপরাধমূলক কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলে, তারা সরাসরি নিষিদ্ধ করতে পারবে না; বরং এটি নিয়ে সুপারিশ করবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে। এই পরিবর্তন ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার একটি উদ্যোগ হিসেবে দেখা যেতে পারে।
তবে, এ ধরনের সুপারিশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ঐকমত্য কতটা সম্ভব হবে, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। কারণ, রাজনৈতিক দলগুলো প্রায়ই এ ধরনের সিদ্ধান্তে ভিন্নমত পোষণ করে থাকে। এর ফলে, আইনটির কার্যকারিতা এবং প্রয়োগের প্রক্রিয়া ভবিষ্যতে কীভাবে কাজ করবে, তা গভীর নজরদারি এবং আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
আসিফ নজরুল বলেন, আমরা ট্রাইব্যুনালের বিচারকে অন্য কোনো বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে চাই না। রাজনৈতিক দল বা সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে উঠলে এই আইনকে অযথাই প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমরা সেই সুযোগ দিতে চাই না। ফেয়ার ওয়েতে (সুষ্ঠুভাবে) বিচার করতে চাই। কোনো রাজনৈতিক দলকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য যদি নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন হয় বা দাবি ওঠে তাহলে অন্যান্য আইন রয়েছে সেগুলোতে নিষিদ্ধ করা হবে। এক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল শুধু যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করবে। সন্ত্রাস দমন আইন, নির্বাচন আইন রয়েছে। রাজনৈতিক ঐকমত্য হলে পরে বিবেচনা করবো। ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আর বিষয়টি থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, খসড়ায় বলা হয়েছে, আদালত যদি মনে করেন তারা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কনসার্নড অথরিটির (সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ) কাছে সুপারিশ করতে পারেন। ‘কনসার্নড অথরিটি’ হিসেবে আদালত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশনের কাছে সুপারিশ করতে পারেন জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, তবে এসব বিষয় খসড়ায় বলা নেই।
আসিফ নজরুল বলেন, ট্রাইব্যুনালের আইনটি পরিবর্তনের জন্য ব্যাপক সংখ্যক মানুষের মতামত নিয়েছি। ট্রাইব্যুনালে আইনটি সংশোধনের জন্য বন্ড কনসালট্রেশন করেছিলাম। দেশের যত আইন বিশেষজ্ঞ, মানবাধিকার কর্মী ছিলেন সবার মতামত নিয়ছি। দেশি-বিদেশি প্রসিদ্ধ আইনজীবীদের মতামত নিয়েছি, জাতিসংঘের মানবাধিকার ফোরামেও পাঠানো হয়েছে। সব মতামতের ড্রাফট করে আজ উপদেষ্টা পরিষদ উত্থাপন করা হলে তা পাস হয়। এর উদ্দেশ্য হলো ট্রাইব্যুনালের বিচার নিয়ে যেন কোনো ধরনের প্রশ্ন উঠতে না পারে।
এর আগে মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আসিফ নজরুল বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুব-ক্রীড়া ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া , অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম প্রমুখ।
- সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর, যে প্রজ্ঞাপন জারি করল অর্থ মন্ত্রণালয়
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটুনি দিয়ে থানায় সোপর্দ করল ছাত্রদল
- হঠাৎ পাল্টে গেলো পেঁয়াজের বাজার
- এবার যে ভবিষ্যদ্বাণী স্বর্ণের দাম নিয়ে
- কমলো সয়াবিন তেলের দাম, যা তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- যাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব, জানুন ইসলামী বিধান অনুযায়ী
- আরও কমলো ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম
- শিক্ষকদের বেতন স্কেল নিয়ে সুখবর
- নুসরাত-অপু-নিপুণ-জায়েদ—হত্যাচেষ্টা মামলায় যুক্ত ১৭ শোবিজ তারকা
- সৌদি সরকারের জরুরি নির্দেশনা
- সৌদি থেকে নিঃস্ব হয়ে ফিরেছেন শতাধিক প্রবাসী
- চিকিৎসা শেষে দেশে আসছেন খালেদা জিয়া, রাজনীতি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
- শক্তিশালী কালবৈশাখীতে কয়েকটি উপজেলার বাড়িঘর-ফসল তছনছ
- অভিষেকে বাজিমাত, মাসাকেসার ঘূর্ণিতে কাঁপলো টাইগাররা
- দেশের ৯ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা