বিপদসীমায় হ্রদের পানি, আবার খুলে দেয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট
ক্ষতের ঘা শুকাতে না শুকাতেই আবার অন্য জায়গায় ক্ষত সৃষ্টি। এর কয়েকদিন আগে বিশাল এক বন্যার কবলে পরে বাংলাদেশের মানুষ। আর তাই সেই ক্ষত এখনো শুকায়নি। এরই মধ্যে আবার পানি বন্দি হতে চলেছে বাংলার মানুষ।
আজ (১৪ সেপ্টেম্বর) শনিবার সন্ধ্যায় বাঁধের ১৬টি স্লুইস গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। এতে হ্রদ থেকে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে পড়ছে।
কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পিলওয়ের ১৬টি স্লুইস গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় রাঙামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি ট্যাপ বন্ধ হয়ে যায়।
কাপ্তাই হ্রদের জল ধারণ ক্ষমতা ১০৯ MSL কিন্তু জল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০৮.৫৫ ফুট উপরে।
কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এটিএম আবদুজ্জা জানান, গত কয়েকদিনের উজান থেকে অব্যাহত বৃষ্টির কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে কাপ্তাই কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পিলওয়ের ১৬টি স্লুইস পুনরায় চালু করা হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলীতে প্রবাহিত হচ্ছে।
২৫ আগস্ট থেকে ১৫ দিন খোলা রাখার পর ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় বাঁধের ১৬টি স্লুইস গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির পর পাহাড়ি ঢল থেকে পানি কাপ্তাই হ্রদে উঠে এবং শনিবার সন্ধ্যায় বন্যার গেটগুলো খুলে দেওয়া হয়।