দল পরিবর্তন করে নতুন যে দল আসলেন হিরো আলম
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে গণ অধিকার পার্টি থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। একদিনের ব্যবধানে দল পাল্টিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন তিনি। মনোনয়ন জমা দিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে আসেন হিরো আলম।
এর আগে বুধবার বগুড়া-৪ আসনে সুপ্রিম পার্টির থেকে মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন হিরো আলম। ওই দিন সন্ধ্যায় বগুড়ার সিনিয়র নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় থেকে পাঠানো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র গ্রহণকারীর সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকাতে দেখা যায়, বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে মোট ১২ জন প্রার্থী মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন। ১২ জনের তালিকার ১১ নম্বরে আশরাফুল হোসেন আলমের নাম রয়েছে। সেখানে তার নামের পাশে দলের নাম ছিল সুপ্রিম পার্টি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, সুপ্রিম পার্টি দলের নাম দিয়ে ভুল করে মনোনয়নপত্র তুলেছিলাম। পরে সেখান থেকে নাম সরিয়ে বাংলাদেশ কংগ্রেস দল থেকে মনোনয়ন দাখিল করেছি। এই দলে এবার আমার মার্কা ডাব।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তিনি। ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য জানায়।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় হিরো আলম ডিবি কার্যালয়ে আসেন। তিনি সম্ভবত নির্বাচন এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন।
এর আগে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বগুড়ার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের কাছে হিরো আলমের পক্ষে তার ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ মনোনয়নপত্র জমা দেন।
যদিও বুধবার (২৯ নভেম্বর) বগুড়া-৪ আসন থেকে সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী হিসেবে একতারা প্রতীকে মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন হিরো আলম। তবে গণ অধিকার পার্টির জাতীয় জোট বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীক নিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন আলোচিত এ ইউটিউবার।
হিরো আলমের ব্যক্তিগর সহকারী সুজন রহমান শুভ বলেন, চারদিন আগেই সুপ্রিম পার্টি থেকে বগুড়া-৪ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। দলের চেয়ারম্যান না জেনেই হিরো আলমকে প্রার্থী হতে বলেছিলেন। ভুল বোঝাবুঝি হওয়ায় আজ বাংলাদেশ কংগ্রেসের জাতীয় জোটবদ্ধ দল গণ অধিকার পার্টি থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখানে দল বিষয় নয়, হিরো আলমের ব্যক্তি জনপ্রিয়তাই আসল। স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নানা হয়রানি হতে হয়, তাই এবার দল থেকে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে হিরো আলম জয় নিয়ে আশাবাদী।
গত ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন হিরো আলেম। পরে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনেও অংশ নেন তিনি। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে হিরো আলম সেইসময় বলেছিলেন, ‘এই সরকারের অধীনে আর নির্বাচন করবো না’।