পরবর্তী ম্যাচ গুলোর জন্য মাহমুদউল্লাহর কাছ থেকে বাকিদের শিক্ষা নেওয়া উচিৎ

শুরু থেকেই বিশ্বকাপ দলে তার জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার ব্যাটিং স্টাইল নিয়ে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের আপত্তি ছিল, যার কারণে তিনি 'ফিনিশার' ভূমিকায় ইনিংসের গতি বাড়িয়েছিলেন।
কিন্তু পূর্ণতার প্রশ্ন আসবে কখন প্রাক্তন ব্যাটসম্যানরা ভিত গড়তে পারবেন! এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়েছে, শেষমেশ শেষ ভরসার ভূমিকা পালন করতে হবে মাহমুদউল্লাহকে!
ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগের দুই ম্যাচে তার ৪০ রানের হোম রান দলকে ২৫০ ছুঁয়েছে। গতকাল মুম্বাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টপ অর্ডারে সাকিব-মুশফিকুর-লেটন ব্যাটিংয়ে দলের 'ত্রাণকর্তা' হওয়ার জন্য মাহমুদউল্লাহর ওপর অনেক চাপ তৈরি হয়েছে।
এবং আরেকবার দলের ত্রাতা মাহমুদউল্লাহ! ত্রাতা বলতে, জেতাতে পারেননি। বাংলাদেশের জয় তো দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের পরই সমীকরণ থেকে কাটা পড়ে গেছে, কিন্তু টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ লজ্জার রেকর্ডের দিকেই এগোচ্ছিল। সেখান থেকে বাংলাদেশের যা কিছুটা মান বাঁচিয়েছে মাহমুদল্লাহর অসাধারণ সেঞ্চুরি।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান বিশ্বমঞ্চে তৃতীয় সেঞ্চুরিটি তুলে নিয়েছেন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকেও 'বিশ্বমঞ্চ' ধরলে চতুর্থ। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহর ১১১ রানের অসাধারণ ইনিংস অনুচ্চারে বলে দিল, মাহমুদউল্লাহ আজ হারেননি। হেরেছেন বাকি দশজন। অথবা, বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রচলিত ঢংয়ে বলতে গেলে, বাকি দশজন 'পরের ম্যাচের জন্য শিক্ষা নিয়েছেন।'
তানজিদ তামিম আউট হওয়ার পর সাকিব আর শান্ত তো কুৎসিতদর্শন দুই শটে বিদায় নিয়েছেন। মুশফিক আর লিটনও যখন স্কোরবোর্ডে ৫৮ রান উঠতে উঠতেই বিদায় নিয়েছেন, বাংলাদেশ তখন লজ্জার হারের শঙ্কায়। দলকে ৮১ রানে রেখে মিরাজও ফিরলে ১০০ রানের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা ভালোভাবেই জাগে। সেখান থেকে কী দারুণ লড়াই-ই না করলেন মাহমুদউল্লাহ!
একদিক থেকে দেখলে তাঁর ওপর চাপ ছিল না - এ ম্যাচে নতুন করে আর কী হারাত বাংলাদেশ! আরেকদিক থেকে দেখলে ভীষণ চাপ, লজ্জার হার থেকে সম্মানজনক জায়গায় এনে দেওয়ার। তাঁর সঙ্গী হিসেবে কারা ছিলেন? কেউই স্বীকৃত ব্যাটসম্যান নন!
শুধু মাহমুদউল্লাহকে কৃতিত্ব দিলে নাসুম, হাসান, মোস্তাফিজদের প্রয়োজন মেনে করা ব্যাটিংকে খাটো করা হয়। তবে বাংলাদেশের যা কিছুটা লড়াইয়ের মূল কৃতিত্ব তো মাহমুদউল্লাহরই। শেষ ৪ উইকেটে বাংলাদেশ ১৫২ রান পেয়েছে। এর মধ্যে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে সপ্তম উইকেটে নাসুমের সঙ্গে ৪১, অষ্টম উইকেটে হাসানের সঙ্গে ৩৭ রানের পর নবম উইকেটে মোস্তাফিজের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহ গড়লেন ৬৮ রানের জুটি। জুটিগুলোতে তাঁর অবদান যথাক্রমে ২২, ২১ ও ৫১।
এই লেজের সারিকে নিয়েই ৬৭ বলে ফিফটি করলেন মাহমুদউল্লাহ, ১০৪ বলে সেঞ্চুরি। ১১টি চারের সঙ্গে মারলেন ৪টি ছক্কাও। তিনি আউট হওয়ার ৬ বল আর ৬ রান পর যে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে গেল, সেটিও বোধ হয় দলের ইনিংসটাকে আরও বেশি মাহমুদউল্লাহময় করে রেখেছে।
- নুরুল হক নুরকে যে দেশে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
- বিসিবি নির্বাচন তামিম বনাম বুলবুল: ক্লাবগুলোর সমর্থনে এগিয়ে আছেন যিনি
- "ব্রাজিল বনাম চিলি: জেনেনিন ম্যাচ শুরুর সময় ও লাইভ দেখার উপায়
- এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য হাইকোর্টের যুগান্তকারী রায়
- বাংলাদেশকে নিয়ে এইমাত্র নতুন ঘোষণা দিলো দ:কোরিয়া
- শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির আসল কারন ‘ডিপ স্টেট’ ও তিন মন্ত্রী
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন পে-স্কেল: কী থাকছে পরিকল্পনায়
- কমে গেলো এলপি গ্যাস ও অটোগ্যাসের দাম
- এমন পদক্ষেপ নেওয়ায় প্রশংসায় ভাসছে বিএনপি
- রাতেই ঝড়ের আভাস: ৬ অঞ্চলে সতর্কবার্তা
- ভিসা নিয়ে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ইতালি
- ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর ব্যথা: কারণ ও সমাধান
- বিএনপি কাউন্সিলে ভোটের ব্যালট ছিনতাই, স্থগিত ফলাফল ঘোষণা
- বিশ্ববাজারে সোনার দাম রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায়
- "এশিয়া কাপ ছাড়াই আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি বাংলাদেশ"