কাতার বিশ্বকাপঃ দুই দলের কারই হারাটা প্রাপ্য নয়

মাঠে ছোট দল এবং বড় দলের খেলায় তেমন কোনো পার্থক্য দেখা যাচ্ছিল না। তবে বিশ্বকাপটা যে শেষ পর্যন্ত এতো বেশি নাটকীয় হবে তা কয়জনই ভাবতে পেরেছিল। নির্দ্বিধায় বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফাইনাল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার দাবীদার গতকালের ম্যাচটি। কি ছিল না ম্যাচটিতে, আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে কখনোই বোঝা যাচ্ছিল না শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ঠিক কোন দল জিততে যাচ্ছে।
তবে ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা লড়াই ছাপিয়ে সময়ের দুই সেরা মেসি এবং এমবাপ্পের মধ্যকার লড়াই বেশি চোখে পড়ে। ফাইনালে দুই গোল আসে মেসির পা থেকে, এমবাপ্পে করেন হ্যাটট্রিক। দুই ফুটবলারই নিজেদের সেরা খেলাটি যেন বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্যই বাঁচিয়ে রেখেছিল। ম্যাচের শুরুতেই পেনাল্টিতে গোল করে দলকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন মেসি। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে ডি মারিয়ার গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মেসি বাহিনী। ম্যাচ পুরোপুরি আর্জেন্টিনার দখলে চলে যায়।
ম্যাচের ৮০ মিনিট পর্যন্ত আর কোনো আক্রমণই করতে পারেনি ফ্রেঞ্চরা। নিজেদের দশ আঙ্গুলের নয়টিই বিশ্বকাপ ট্রফিতে প্রায় রেখে দিয়েছিল মেসিরা। তবে ম্যাচের সব উত্তেজনা যেন শেষের জন্য বাঁচিয়ে রেখেছিলেন এমবাপ্পে। সৌভাগ্যক্রমে পেনাল্টিও পেয়ে যায় ফ্রান্স। পেনাল্টিতে দলকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন এমবাপ্পে। নিজেদের প্রথম গোলের এক মিনিট না পেরোতেই দুর্দান্ত কিকে বল আবারও জালে ঢুকিয়ে দেন এমবাপ্পে। দুই দলেরই গোল তখন ২-২।
পরবর্তীতে খেলা অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে গড়ায়। অতিরিক্ত সময়ও মেসি-এমবাপ্পের লড়াই চলতে থাকে। মেসির দুর্দান্ত গোলে ম্যাচের ১০৮ মিনিটে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। মনে হচ্ছিল শেষ পর্যন্ত তাহলে আর্জেন্টিনায়ই যাচ্ছে বিশ্বকাপ ট্রফিটি। ঠিক ম্যাচ শেষ হওয়ার মাত্র দুই মিনিট আগে পেনাল্টিতে গোল করে খেলায় আবারো সমতা ফেরান এমবাপ্পে। এবার খেলা গড়ায় পেনাল্টি শুট আউটে। নিজেদের দলের হয় প্রথম শর্ট নেন এমবাপ্পে এবং মেসি।
দুজনই যথারীতি গোল করেন। তবে বিপত্তি ঘটে এরপরই, নিজেদের দ্বিতীয় শট মিস করে বসে ফ্রান্স। শেষ পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে পেনাল্টি শুট আউটে জয়ী হন মেসি বাহিনী। ম্যাচটিতে এক মুহূর্তের জন্যও পলক ফেলার সুযোগ ছিল না। টানটান উত্তেজনাপূর্ণ লোম দাঁড়িয়ে যাওয়ার মতো ম্যাচ বলতে যা বোঝায় গতকাল ঠিক সেটিই হয়েছে। ম্যাচের ধারাভাষ্যকাররা বারবারই বলছিলেন দুই দল এমন পারফরম্যান্স করেছে যে দিন শেষে হার কারই প্রাপ্য নয়।
ফুটবল বিশ্লেষকরাও একথা বারবার বলছিলেন, দুই দলই নিজেদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবলটি খেলেছেন। মেসির আর্জেন্টিনার ঠিক যতটুকু জয়টি প্রাপ্য ছিল, এমবাপ্পের ফ্রান্সেরও কি ততটা নয়? তবে এটাই ফুটবলের নিয়ম, দিনশেষে ফাইনালে একজনের হার স্বীকার করেই মাঠ ছাড়তে হয়। তবে আর্জেন্টিনার জয়ে আক্ষরিক অর্থেই অধিকাংশ ফুটবলপ্রেমী খুশি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ফুটবলের রাজপুত্রের হাতে যে ট্রফিটি উঠেছে। সোনালী ট্রফিটি ছাড়া মেসির ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘটলে তা হতো বড্ড বেমানান।
- আ.লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে সরকারের বিবৃতি
- এবার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন যত টাকা বেতন বাড়লো সরকারি চাকরিজীবীদের
- সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর
- ওমানে কার্যকর হলো নতুন আইন
- সৌদির নতুন নির্দেশনা
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (৯ মে ২০২৫)
- স্বর্ণের ভরি আজ হঠাৎ কত হলো জানেন
- বিয়ের আসরে বরকে যৌতুকে দেওয়া হলো ১৬ কোটি টাকা, ২১০ বিঘা জমি ও পেট্রল পাম্প
- প্রথমে দেশ, তারপর সবকিছু...', IPL স্থগিত হতেই সেনাবাহিনীকে যা করলো চেন্নাই
- হাসনাতের ঘোষণার পর শুরু হলো শাহবাগে
- ৬,৬,৬,৬,৬,৪, ইংল্যান্ডে ঝড়ো ইনিংস খেললেন সাব্বির রহমান
- স্বর্ণের দাম কমেছে, এখনই কিনুন
- আজকের মালয়েশিয়ান রিংগিত রেট (৯ মে ২০২৫)
- সৌদি প্রবাসীরা দেশে টাকা পাঠানোর আগে জেনেনিন আজকের সৌদি রিয়াল রেট (১০ মে ২০২৫)
- জুমার নামাজের পর বড় কর্মসূচির ঘোষণা দিলেন হাসনাত