মুস্তাফিজকে নিয়ে এই প্রথম যা বললেন ভেটরি

৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। যা চলতি আইপিএলে মুস্তাফিজের সেরা পারফরম্যান্স। তাঁর উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের দিনে ৫৫ রানে জিতেছে রাজস্থান। ২২১ রানের বিশাল রান তাড়ায় কেন উইলিয়ামসের দল থেমে যায় ১৬৫ রানে।
এবারের মৌসুমে রাজস্থানের জার্সিতে সব ম্যাচেই মাঠে নেমেছেন মুস্তাফিজ। ৭ ম্যাচে ৮.২৯ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৮ উইকেট। হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৩ উইকেট নেয়ার পর বাঁহাতি এই পেসারকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ড্যানিয়েল ভেটরি। যিনি বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
তাই মুস্তাফিজকে খুব কাছ থেকেই দেখেছেন ভেটরির। নিউজিল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ক জানান, নিজেকে ফিরে পেতে সুইং নিয়ে কাজ করছেন মুস্তাফিজ। কিন্তু রবিবার হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যানদের স্লোয়ারে বোকা বানিয়েছেন বাংলাদেশের এই পেসার, এমনটাই দাবি ভেটরির।
ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইফোর আলাপচারিতায় ভেটরি বলেন, ‘বাটলার ছাড়া আজকের ম্যাচে রাজস্থানের আরেকটি বড় প্রাপ্তি হচ্ছে মুস্তাফিজের বোলিং। আমার কাছে মনে হয়েছে আজ সে খুব ভালো ছন্দে ছিল।’
‘এখন পর্যন্ত চলতি আসরে আজ সে সেরা বোলিং করেছে। আমি জানি সে স্লোয়ার নিয়ে অনেক কাজ করছে কিন্তু সে সুইং নিয়েও কাজ করছে। আজ সে কয়েকটি স্লোয়ার ছেড়ে ব্যাটসম্যানকে বোকা বানিয়েছে’ আরও যোগ করেন তিনি।
চলতি আইপিএলে খেলতে দলের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা সিরিজে যাননি মুস্তাফিজ। নিলাম থেকে ভিত্তিমূল্য এক কোটি রুপিতে এই পেসারকে দলে নিয়েছিল রাজস্থান। এর আগে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং সানরাইজার্সের হয়ে আইপিএল খেলেছেন বাংলাদেশের এই পেসার।
চলতি আসরে রাজস্থানের হয়ে প্রথম ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ৪৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন মুস্তাফিজ। তবে এরপরের ম্যাচে ফেরেন ছন্দে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ২৯ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট আর চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ১ উইকেট নিয়ে রান দেন ৩৭।
চতুর্থ ম্যাচে রয়্যাল চেলেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৩৪ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশুন্য। তবে পঞ্চম ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মিতব্যয়ী বোলিং করে ২২ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। এরপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ষষ্ঠ ম্যাচে ৩৭ রানে নিয়েছিলেন এক উইকেট।
আর রবিবার হায়দরাবাদের বিপক্ষে নিয়েছেন ৩ উইকেট। যা চলতি আসরে তার সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। তবে আইপিএলে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন ২০১৬ মৌসুমে। যা এখন পর্যন্ত আইপিএলে তার সেরা পারফরম্যান্স। সেই মৌসুমে হায়দরাবাদের হয়ে ১৬ ম্যাচে নেন ১৭ উইকেট। সেবার শিরোপাও জিতেছিল হায়দরাবাদ।