সৌদি প্রবাসীদের টোকেন ফরম দিচ্ছে সৌদি এয়ারলাইন্স। ক’রোনা পরিস্থিতে বাংলাদেশ আটকা পড়া প্রবাসীদের আজও টোকেনের ফরম দিচ্ছে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স। যারা টোকেনের জন্য এসেছেন তাদের ফরম পূরণ করে জমা দিতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, ০৫ অক্টোবর (সোমবার) সকাল থেকে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এয়ারলাইন্স কার্যালয়ের সামনে টোকেনের জন্য অবস্থান নিয়েছেন দুই শতাধিক প্রবাসী।

নিরাপত্তা কর্মীরা মাইকে বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন তাদের। তারা ফরমও বিতরণ করছেন। এক ফরমে ২০ জনের নাম, ভিসার মেয়াদ, পাসপোর্ট ও মোবাইল নম্বর লিখে দিতে বলা হয়েছে। ফরম যাচাই-বাছাই করে যাদের ভিসার মেয়াদ কম, তাদের আগে টিকিটের জন্য ডাকা হবে। আজ শান্তিপূর্ণভাবে টোকেন ফরম পূরণ করে জমা দিচ্ছে প্রবাসীরা।

অন্যদিকে, ৪ অক্টোবর (রবিবার) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪শে অক্টোবর পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের সৌদিগামী ফ্লাইটের ক্ষেত্রে আসন সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধিমালা শিথিল করা থাকবে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যেতে অপেক্ষমান প্রবাসীদের সংকট নিরসণে বেবিচক প্রতিটি ফ্লাইটে যাত্রী বহনের আরোপিত শর্ত শিথিল করেছে। শর্ত অনুসারে বড় উড়োজাহাজে সর্বোচ্চ ২৬০ জন এবং ছোট উড়োজাহাজে সর্বোচ্চ ১৪০ জন পর্যন্ত যাত্রী পরিবহনের বিধান ছিল। বিধি শিথিলের ফলে এখন বেশি সংখ্যক যাত্রী পরিবহন করতে পারবে এয়ারলাইন্স দুটি। তবে স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রশমিত করতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে বেবিচক।

এদিকে টিকিটের দাবীতে গতকাল সারাদিন সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ করেছে সৌদি প্রবাসীরা। জানা যায়, সৌদি এয়ারলাইন্স আজ(৪ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে টিকিটের টোকেন দিবে ঘোষণা দেওয়ার পরেও তারা সময়মত টিকিট প্রদান শুরু করতে পারেনি।

যার কারণে সময় যত গড়ায় সৌদি প্রবাসীদের ভীড় ততই বাড়তে থাকে। তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।

আরো জানা যায় যে, টোকেনের জন্য সৌদি আরব প্রবাসীরা জোড়াজুড়ি-ধাক্কাধাক্কি করে সোনারগাঁ হোটেলের গেট দিয়ে ভিতরে ঢোকার তিনবার চেস্টা করেন। একপর্যায়ে তারা পুলিশের নির্মম লাঠি চার্জেরও শিকার হন।

অন্যদিকে হাজার হাজার সৌদি প্রবাসীর চাপে কারওয়ান বাজারের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অফিসগামী যাত্রীদের চরম দুর্ভগের মাঝে পড়তে হয়।

এখন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্যবিধি শিথিলকরণ এবং অধিক যাত্রী পরিবহনের জন্য সৌদি প্রবাসীদের সুবিধা হবে। প্রবাসীরা দ্রুততম সময়ে তাদের কর্মস্থলে যেতে পারবেন।