বাংলাদেশে সৌদি প্রবাসীদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর কার্যক্রম শুরুর দিনেই এর প্রক্রিয়া নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। ঢাকার গুলশানের সৌদি দূতাবাসের সামনে রোববার সকাল থেকে জড়ো হন প্রবাসী শ্রমিকরা। এই শ্রমিকদের অধিকাংশেরই জিজ্ঞাসা, আকামা ও ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সেটি নবায়ন করা হবে কীভাবে।

গত বুধবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন সৌদি আরব থেকে ছুটি কাটাতে আসা বাংলাদেশিদের ভিসা এবং আকামার মেয়াদ বাড়ানোর কথা আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে জানিয়েছিল সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। সেসময় তিনি জানিয়েছিলেন রোববার থেকে ভিসা ও আকামার মেয়াদ বাড়ানোর কার্যক্রম শুরু করবে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে ঠিক কীভাবে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রোববার সকালে সৌদি দূতাবাসের সামনে জড়ো হওয়া শ্রমিকদের কাছে অনুমোদিত এজেন্সিগুলোর একটি তালিকা দেয়া হয় এবং সেখানে জড়ো হওয়ার শ্রমিকদের ওই এজেন্সিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়।

সেরকম একটি অনুমোদিত এজেন্সি মিডল ইস্ট কনসাল্টেন্সির ম্যানেজার এম এ বারি জানান ভিসা নবায়নের বিষয়ে সৌদি দূতাবাস থেকে তাদের কাছে ‘নতুন’ কোনো নির্দেশনা আসেনি।

তিনি বলেন, দূতাবাসের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি, নতুন কোনো নিয়মের বিষয়ে এখন পর্যন্ত তারা আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। করোনাভাইরাসের কারণে কোনো বিষয়ে ছাড় দেয়া হবে কি না, নাকি আগের পদ্ধতিতেই ভিসা নবায়ন করা হবে, সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু জানায়নি তারা।

পুরনো পদ্ধতিতে ছুটি কাটানোর পর সৌদি আরবে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিন ধরণের নথিপত্র জমা দেয়ার প্রয়োজন হতো বলে জানান এম এ বারি। তিনি বলেন, কফিল বা সৌদি আরবে নিয়োগকর্তার আনুষ্ঠানিক চিঠির মূল কপি যেটি চেম্বার ও সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত, যাওয়াযাতের (সৌদি আরবের পাসপোর্ট অফিস) অনুমতিপত্রের কপি এবং আকামার ফটোকপি প্রয়োজন হত পুরনো নিয়মে।

জানা যায়, কারো ছুটির মেয়াদ যদি ৭ মাস পার হয়ে যায়, তাহলে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রিএন্ট্রি এক্সটেনশন ভিসা নম্বর আনতে পারলে আবারো ভিসা নবায়ন সম্ভব হয়। এই ক্ষেত্রে প্রবাসী শ্রমিককে অনলাইনে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করতে হয় এবং তার কফিলের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়।

কফিল যদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে বলেন যে তার কোনো শ্রমিক ভিসার মেয়াদ বাড়াতে চাইছে এবং তিনি ওই শ্রমিককে সুযোগ দিতে চান, তাহলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাধারণত আবেদন গ্রহণ করে থাকে।