ইতিপূর্বে সৌদি আরবের বাংলাদেশ এমব্যাসি এর পরিচালনায় বিমান বাংলাদেশ এর বিশেষ ফ্লাইটের টিকিট বিক্রির জন্য রেজিস্ট্রেশন করা হতো এবং টিকিট বিক্রি মনিটরিং করতো বাংলাদেশ এমব্যাসি। তবে, কিছুদিন আগে থেকে টিকিটের জন্য রেজিস্ট্রেশোন এবং টিকিট বিক্রির ব্যাপারটি পরিচালনা করছে বিমান বাংলাদেশ নিজেই, এবং তারপর থেকেই এই প্রক্রিয়াতে দুর্নীতি এবং সিন্ডিকেট এর জড়িত থাকার সন্দেহ করেছেন অনেকেই।

প্রবাসীরা অভিযোগ করছেন, এসকল বিশেষ ফ্লাইটের টিকিটের রেজিস্ট্রেশন শুরুভবার আগে কোনপ্রকার ঘোষণা দেয়া হয় না, এবং রেজিস্ট্রেশন শুরু হবার সাথে সাথেই স্বল্প সময়ের মধ্যেই রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়ে যায় এবং সকল টিকিট বুকড হয়ে যায়। প্রবাসী বাংলাদেশীদের অভিযোগ, যে বিমান কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বেশিদামে টিকিট বিক্রি করার জন্য ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে বুক করে টিকিট দিয়ে দেয়া হচ্ছে, ফলে সঠিক মূল্যে টিকিট কেনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারন মানুষ। এই অভিযোগের পেছনে বড় ভূমিকা পালন করেছে বিগত ২১ তারিখের রিয়াদ-বাংলাদেশ বিশেষ ফ্লাইটের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া, যা কোন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই রাত ১২টায় চালু করা হয় এবং অল্প সময় পরেই রেজিস্ট্রেশন সংখ্যা পূর্ণ হয়ে গিয়েছে বলে রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দেয়া হয়। একইরকম ঘটনা দেখা গিয়েছে আগামী ২৮ আগস্টের জেদ্দা-ঢাকা ফ্লাইটের টিকিট রেজিস্ট্রেশনে এবং আগামী ২৯ আগস্ট এর রিয়াদ-ঢাকা বিশেষ ফ্লাইটের টিকিট রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে, এমনকি আজ বুধবার, ২৬ আগস্ট দুপুরে রিয়াদ-ঢাকা বিশেষ ফ্লাইটের টিকিট এর জন্য রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়

এবং দুপুর ০৪ঃ৩০ এর পূর্বেই রেজিস্ট্রেশন পূর্ন হয়ে গেছে দাবী করে রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দেয়া হয়। সকল ক্ষেত্রেই পূর্বের কোন ঘোষণা ছাড়াই মধ্যরাত্রি বা এরকম কোন সময়ে টিকিটের রেজিস্ট্রেশন চালু করে বিমান কর্তৃপক্ষ, এবং খুবই দ্রুত এই রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়ে গেছে দাবী করে রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এমনকি আজ বুধবার, ২৬ আগস্ট দুপুরে রিয়াদ-ঢাকা বিশেষ ফ্লাইটের টিকিট এর জন্য রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়, এবং দুপুর ০৪ঃ৩০ এর পূর্বেই রেজিস্ট্রেশন পূর্ন হয়ে গেছে দাবী করে রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দেয়া হয়।

রিয়াদ-ঢাকা এর বিমানের টিকিটের ইকোনমি ক্লাসের স্বাভাবিক মূল্য ২১৫০ রিয়াল হলেও প্রবাসী অসহায়, অসুস্থ ও পঙ্গু যাত্রীরা বিমান বাংলাদেশ থেকে এই দামে টিকিট কিনতে পাচ্ছেন না, এবং এই টিকিট বাইরে ট্রাভেল এজেন্টদের থেকে ২৬০০-২৭০০ রিয়ালে কিনতে হচ্ছে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক যাত্রীদের।

সকল প্রবাসী বাংলাদেশীরা বিমান বাংলাদেশ এর উপ ক্ষুদ্ধ, এবং বিভিন্ন প্রবাসী সংগঠন ও সাধারন মানুষ বিমান বাংলাদেশ বয়কট এর ডাক দিচ্ছেন, এবং রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এর এই দুর্নীতির ফলাফল আরো বেশি খারাপ ফল নিয়ে আসবে বলে ধারণা করছেন প্রবাসী যাত্রীরা।