প্রতিকার চাইতে দূতাবাসের সামনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা

নতুন করে এই ৩৫ জন দূতাবাসের স্মরণাপন্ন হয়েছেন। আগে থেকে সেখানে আছেন আরও ২৭ বাংলাদেশি। এ নিয়ে মোট ৬২ বাংলাদেশি এখন পর্যন্ত দূতাবাসে প্রতিকার চেয়ে তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন।
ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন ভুক্তভোগীদের একজন ফরিদুল ইসলাম জানান, ভিয়েতনামের গুনতাও এলাকায় দীর্ঘ সাত মাস তাদের ঠিকমতো কাজ না দিয়ে, বেতন না দিয়ে ঘুরাতে থাকে দালালরা। বেতন চাইতে গেলে তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন করা হত। প্রতিকারের আশায় দুই হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সোমবার ভোর ৫টায় হানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে এসেছেন এই ১৭ জন।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে নরসংদীর জাহাঙ্গীর আলম, ফেনীর আবু সায়েম, নোয়াখালীর নুর হোসেন, ময়মনসিংহের আব্দুল হক, শহিদুল ইসলাম ও মিলন মিয়া জানান, তারা ১৭ জন ভুক্তভোগী ভোর ৫টায় দূতাবাসের সামনে যান। দূতাবাস সকালে বন্ধ থাকার কারণে নিরুপায় হয়ে দূতাবাসের সামনের ফুটপাতে অবস্থান নেন। পরে দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো খাবার বা থাকার ব্যবস্থা করা হয়নি তাদের। ফলে ফুটপাতেই আছেন সবাই।
এর আগে একই পরিস্থিতির শিকার হয়ে ৩ জুলাই ২৭ জন, ১২ জুলাই ৬ জন এবং গতকাল ১৯ জুলাই ১২ বাংলাদেশিসহ মোট ৬২ ভুক্তভোগী ক্যাম্প থেকে পালিয়ে দূতাবাসে আশ্রয়ের জন্য আসেন। এসব ভুক্তভোগীরা ভিয়েতনাম সরকারের সহায়তায় দূতাবাসের পাশে একটি হোটেলে অবস্থান করছেন।
অভিবাসন আইনের ধারা: ২৯ এর উপ-ধারা (১)-এ বলা হয়েছে, ‘কোন অভিবাসী কর্মীর, বিশেষত বিদেশে আটককৃত কিংবা আটকেপড়া বা বিপদগ্রস্ত কর্মীর দেশে ফিরিয়া আসিবার এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন বা দূতাবাসের নিকট হইতে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাইবার অধিকার থাকিবে।’ তবে আইন থাকলেও এখনো কোনো সহায়তা পাননি এ প্রবাসীরা।
ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, ‘জুলাই মাসের শুরুতে ভিয়েতনাম থেকে ১১ বাংলাদেশি ঢাকায় ফেরত আসার পরেই আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি আরও অনেকেই একই পরিণতির শিকার। গুনতাওসহ ভিয়েতনামের বিভিন্ন ক্যাম্পে শতাধিক বাংলাদেশি আছেন। এখন তো ৬২ বাংলাদেশি সহায়তার আশায় দূতাবাসে গিয়েছেন। সরকারের উচিত বিষয়টা যথাযথভাবে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। যাতে এমন ঘটনা না ঘটে। একই সঙ্গে তাদের ফিরিয়ে আনতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
ভুক্তভোগীরা বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে তাদের কোনো সহযোগিতা করা হচ্ছে না। তাদের অভিযোগ, ভিয়েতনামে বাংলাদেশি কর্মীরা প্রতারণা, নির্যাতন ও মানবপাচারের শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অথচ সরকারি সব নিয়মকানুন মেনে জনশক্তি ব্যুরোর ছাড়পত্র নিয়ে তারা ভিয়েতনামে এসেছিলেন। কিন্তু কাজ না দিয়ে তাদের সাপ্লাই এজেন্টের কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়। প্রশ্ন উঠেছে, ভিয়েতনামে কর্মী প্রেরণের ডিমান্ডলেটারে দূতাবাসের অ্যাটাস্টেশন ছাড়াই কী করে বিএমইটি এই কর্মীদের বিদেশে যাওয়ার ছাড়পত্র দিল।
- যে কারনে ট্রেন থেকে ঝোলানো হলো অটোরিকশা চালককে, ভাইরাল হলো ভিডিও
- কঠোর হুঁশিয়ারি দিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
- পুরো সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপিয়ে দিলো ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের এই ভিডিও
- একে একে ১০টি বড় বাধা! ইশরাকের শপথ নিয়ে যে তথ্য দিলেন উপদেষ্টা আসিফ
- মারা গেছে পরীমনি, বেরিয়ে এলো আসল ঘটনা
- টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে মুস্তাফিজের বিশ্বরেকর্ড
- আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, আঘাত হানবে যে সকল এলাকায়
- ইশরাককে নিয়ে সারজিস আলমের আবেগঘন স্ট্যাটাস
- স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড! ২২ ক্যারেটের দাম বেড়েছে ১,৩৬৪ টাকা
- বাংলাদেশ-আরব আমিরাত সিরিজের ম্যাচ সংখ্যা বাড়াল বিসিবি
- এই ধরণের নারীর প্রতি ছেলেদের আগ্রহ কখনোই কমে না
- নুসরাত ফারিয়াকে নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত জানালো আদালত
- প্রবাসীর বাসায় পাঁচ বছর ধরে বন্দি থাকা গৃহকর্মী উদ্ধার
- বেড়েছে সিঙ্গাপুরের ডলার রেট, জেনেনিন আজকের রেট
- অর্থ উপদেষ্টার অফিসে কর্মচারীদের অবস্থান, স্লোগানে তোলপাড়