| ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এই মসজিদে ৭০ জন নবী নামাজ আদায় করেছেন

২০২০ ফেব্রুয়ারি ২৪ ০০:৩৭:১৬
এই মসজিদে ৭০ জন নবী নামাজ আদায় করেছেন

হজের আনুষ্ঠানিকতার অন্যতম অংশ হলো- শয়’তানের প্রতীকী স্তম্ভে কঙ্কর নি’ক্ষেপ করা। এই কঙ্কর নিক্ষে’পের স্থানের খুব কাছে ঐতিহাসিক ‘মসজিদে খায়েফ’ অবস্থিত। এই মসজিদে ৭০ জন নবী নামাজ আদায় করেছেন।মসজিদের সামনে স্থাপিত সাইনবোডে বেশ ৭টি ভাষায় লেখা রয়েছে মসজিদের নাম।

সেখানে বাংলাতেও লেখা আছে- আল খায়েফ মসজিদ।সওর পাহাড়ের বিপরীত দিকের পাহাড়ের অদূরে প্রতিষ্ঠিত এই মসজিদের আলোচনা বেশ গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে। বিশাল মসজিদটি কঙ্কর নিক্ষেপ করতে আসা হাজিদের মনে করিয়ে দেয় ইতিহাসের অনেক ঘটনাকে।

বৃহদাকার মসজিদের উচুঁ মিনারগুলো বেশ দূর থেকে পাহাড়ের চূড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বর্ণিত আছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এই মসজিদে নামাজ আদায় করছেন এবং বলেছেন, এখানে সত্তরজন নবী সমাহিত হয়েছেন।নবী করিম (সা.) বিদায় হজে মসজিদে খায়েফে নামাজ পড়েছেন।

এই মসজিদের অনেক ফজিলত হাদিস ও ইতিহাসের গ্রন্থসমূহে উল্লেখ আছে।পাহাড়ের চেয়ে নিচু এবং সমূদ্রপৃষ্ঠ থেকে উঁচু স্থানকে আরবি পরিভাষায় খায়েফ বলা হয়। আবার দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী উপত্যকাসম ভূমিকেও খায়েফ বলে আরবরা। অপরদিকে, খায়েফ মসজিদ হচ্ছে মক্কার কাফেরদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের বিজয়ের এক স্মৃতিচিহ্ন।

ইতিহাসে এসেছে, পঞ্চম হিজরিতে ইহুদিদের প্ররোচনায় মক্কার কাফেররা মদিনায় হামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ লক্ষ্যে তারা কিছু আরব গোত্রের সঙ্গে সন্ধি চুক্তি করে।এই সন্ধি চুক্তি করার জন্য মক্কার কাফেররা যে স্থানটি বেছে নেয় পরে সেখানেই খায়েফ মসজিদ নির্মিত হয়।

মূলত মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাফের গোত্রগুলোর ঐক্যের ব্যর্থতার নিদর্শন হিসেবে মসজিদটি দাঁড়িয়ে প্রতিনিয়ত ঘোষণা করছে, ইসলামের বিজয়গাঁথা ইতিহাসকে।হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) খায়েফ মসজিদের যে জায়গায় দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেছিলেন ওসমানিয় শাসনামলে সেখানে একটি বড় গম্বুজ ও মেহরাব তৈরি করা হয়।

এখন অবশ্য সেটি আর নেই। ঐতিহাসিক বর্ণনায় এসেছে, ২৪০ হিজরিতে এক প্রলয়ঙ্করী বন্যায় খায়েফ মসজিদ ধসে পড়ে।তবে বন্যা শেষ হওয়ার পরপরই মসজিদটি আবার নির্মাণ করা হয় এবং এর চারপাশে বন্যা প্রতিরোধ ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হয়।

সে সময় এই মসজিদের দৈর্ঘ্য ছিল ১২০ মিটার এবং প্রস্ত ছিল ৫৫ মিটার। সে হিসাবে এটি ছিল ওই সময় আরব অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মসজিদ। এমনকি তখন মসজিদে হারামের চেয়েও বড় ছিল এই মসজিদের আয়তন।

খায়েফ মসজিদে এখন ৩০ হাজার মুসল্লি একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের চারকোণায় অবস্থিত চারটি সুউচ্চ মিনার মসজিদটিকে দান করেছে অপার সৌন্দর্য।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আল খায়েফ মসজিদে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ক্রিকেট

আজ লখনৌর বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ম্যাচে দুই পরিবর্তন নিয়ে একাদশ ঘোষণা করল চেন্নাই

আজ লখনৌর বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ম্যাচে দুই পরিবর্তন নিয়ে একাদশ ঘোষণা করল চেন্নাই

চলমান আইপিএলে দারুন ফর্মে রয়েছে মুস্তাফিজের চেন্নাই দল। গত ম্যাচে ঘরের মাঠে মুম্বাইকে হারানোর পর ...

এই মাত্র শেষ হল চেন্নাই বনাম লখনউর ম্যাচ, দেখে নিন ফলাফল

এই মাত্র শেষ হল চেন্নাই বনাম লখনউর ম্যাচ, দেখে নিন ফলাফল

আজ শুক্রবার চলমান আইপিএলের ৩৪ তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস এবং লখনউ সুপার ...

ফুটবল

অবশেষে নিজের অবসরের সময় জানিয়ে দিলেন মেসি

অবশেষে নিজের অবসরের সময় জানিয়ে দিলেন মেসি

লিওনেল মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার। তার বয়স এখন প্রায় ৩৭ বছর। অনেকেই তার অবসরের কথা ...

ব্রেকিং নিউজ ; বাংলাদেশে আসছেন মেসি

ব্রেকিং নিউজ ; বাংলাদেশে আসছেন মেসি

লিওনেল মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের একজন। বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের বাংলাদেশে আগমনের সম্ভাবনা দেখছেন বাংলাদেশের যুব ও ...



রে