চার গুলিতে দুই দিন কোমায়ঃ জামাল ভূঁইয়া

কিশোর বয়সে এএফসি কোপেনহেগেনের যুবদলের হয়ে গোল আছে তার, বিখ্যাত সেই ক্লাবের মূল দলে খেলারও হাতছানি ছিল। কিন্তু একটা দুর্ঘটনা বদলে দেয় জামালের কক্ষপথ। কোপেনহেগেনে গোলমালের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে কোমাতেও চলে গিয়েছিলেন। জীবণ মৃত্যুর সেই সন্ধিক্ষণ পেরিয়ে জামাল এখন দিচ্ছেন বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন জীবন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক নিজের গল্প শুনিয়েছেন গণমাধ্যমকে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে-পরে ভারতের কিছু লোক বোঝাতে চাইল আপনি বাংলাদেশি নন, কারণ আপনার বাংলা উচ্চারণ স্পষ্ট নয়, এগুলো কী পীড়া দেয়?
এমন প্রশ্নের জবাবে জামাল ভুঁইয়া বলেন, ‘আমার বাবা-মা দুজনই বাঙালি। বিষয়টা যেমন মেসুত ওজিল, সামি খেদিরা, থিয়াগো আলকানতারার মতো। আমি মোটামুটি পাঁচ ভাষায় কথা বলতে পারি-সুইডিশ, ড্যানিশ, নরওয়ে, ইংলিশ এবং বাংলা। বাবা-মা বাড়িতে বাংলায় কথা বলত। কিন্তু আমি এখানে এসে বেশি বাংলা শিখেছি। যদিও ভাঙা ভাঙা বাংলায় বলি; কিন্তু যোগাযোগে কোনো সমস্যা হয় না।’
এ সময় জানতে চাওয়া হয়, এফসি কোপেনহেগেনের যুব দলে খেলার সময় তো বাজে একটা ঘটনা ঘটে আপনার জীবনে। সেই গুলির ঘটনা খুলে বলুন।
জবাবে জামাল বলেন, ‘২০০৭ সালে যখন আমার বয়স ১৬/১৭, তখন আমি স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। যে এলাকাটায় আমি বেড়ে উঠেছি, সেটা খুব ভালো ছিল না, কিন্তু যেহেতু আমি সেখানে বেড়ে উঠেছি, নিরাপদ অনুভব করতাম। ওই দিন একজন বলল, দ্রুত বাড়ি ফিরে যাও, কিন্তু আমি বিপদটা উপলব্ধি করতে পারিনি। কয়েক মিনিট পর চারটি গুলি খেলাম। একটা লাগল কনুইয়ে, একটা পেটের নিচের দিকে, দুই শরীরের দুই পাশে। কোমায় ছিলাম দুই দিন। হাসপাতালে ছিলাম তিন/চার মাস।’
তারপর? আবারও ফুটবল খেলার কথা ভেবেছিলেন কি? জামাল বলেন, ‘না। ভেবেছিলাম ফুটবল ছেড়ে দিব। ডেনমার্কের ফুটবল খুব উঁচু পর্যায়ের। মনে হয়েছিল আমাকে দিয়ে আর হবে না, ভেবেছিলাম লেখাপড়াটা ভালোভাবে চালাব। বিষয়টি নিয়ে আমার যুব দলের কোচ জনি লারসনের সঙ্গে কথা বললাম। তিনি পরামর্শ দিলেন চেষ্টা (ফুটবল) করার। আবার খেলা শুরু করলাম। দুর্ঘটনার সাত মাস পর। ১৪ কেজি ওজন ঝরালাম ওই সময়ে।’
সেই স্মৃতি কি এখনও তাড়া করে ফিরে? জামাল: বলেন, ‘সবসময় এটা আমার জন্য দুঃখের স্মুতি। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার সবকিছুর জন্যই আলাদা পরিকল্পনা আছে। হয়তো ওই দুর্ঘটনা ছিল আমার দুর্ভাগ্য। অবশ্যই সেই স্মৃতি অনেকবারই আমার দুঃস্বপ্নে ধরা দিয়েছে। ভাবতাম, যদি সেদিন আমি ওখানে না থাকতাম, না যেতাম। ওই ঘটনা আমার ফুটবলের ওপর ভীষণ প্রভাব ফেলেছিল। ওই সময় কোপেনহেগেনের যুব দলে আমি সেরা খেলোয়াড় ছিলাম। ক্লাব আমাকে সিনিয়র টিমে চাচ্ছিল, অন্য দলও আগ্রহ দেখাচ্ছিল। শুরুতে আমি অনেক কাঁদতাম, কিন্তু বিষয়টা আমাকে মেনে নিতে হয়েছিল।’
আপনার বাংলাদেশে চলে আসা নিয়ে বাবা-মার প্রতিক্রিয়া কি ছিল? জামাল বলেন্ন, ‘বাবা বলতেন, তোমার বাংলাদেশে যাওয়া উচিত এবং নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করো। ফুটবল ক্যারিয়ার শেষের আগে বাংলাদেশের জন্য যা কিছু করেছে তার জন্য সন্তুষ্ট হও। কিন্তু মা খুব চিন্তিত থাকতেন। বললেন, কেন তুমি ডেনমার্কে থাকছ না, পড়াশোনা চালাচ্ছো না।।
এখন তো অনে নাম ছড়িয়েছে। সময়টা কতটা উপভোগ করছেন? জামাল বলেন, ‘জানি না। সত্যি বলতে আমি টিভি দেখি না। পত্রিকা পড়ি না। জানি না বিষয়টা কিভাবে বলব। শুধু বলতে পারি, আমি খুশি যে আমার পারফরম্যান্স মানুষের ভালো লাগছে।’
- দেশে একলাফে কমলো স্বর্ণের দাম, জেনেনিন নতুন দাম
- সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর, যে প্রজ্ঞাপন জারি করল অর্থ মন্ত্রণালয়
- হঠাৎ পাল্টে গেলো পেঁয়াজের বাজার
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটুনি দিয়ে থানায় সোপর্দ করল ছাত্রদল
- আপনার যেসব বদঅভ্যাসের কারণেই কমে যাচ্ছে শারীরিক মিলনের চাহিদা
- পাকিস্তানে শক্তিশালী বো.মা বি.স্ফো.র.ণে নিহত.....
- এবার যে ভবিষ্যদ্বাণী স্বর্ণের দাম নিয়ে
- কমলো সয়াবিন তেলের দাম, যা তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- হাসানত আব্দুল্লাহর চমকপ্রদ ঘোষণা: জানালেন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর নাম
- স্বর্ণের দাম কমলো, রেকর্ড উচ্চতা থেকে হঠাৎ পতন
- রোমান্সের দৃশ্য ভরপুর, মুহুর্তেই ভাইরাল ভিডিও
- চার ছক্কার ঝড় তুলে শেষ হলো বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ,জেনেনিন ফলাফল
- রাতের মধ্যে যেসব জেলায় সর্বোচ্চ ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের শঙ্কা
- আরও কমলো ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম
- অবৈধ প্রবাসীদের জন্য দারুন সুখবর : খুলে গেলো ভাগ্য