মি‘ন্নির জামিন শুনানির আবেদন
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআরও মো. হান্নান বলেন, মি‘ন্নির জামিন আবেদনটি গ্রহণ করে শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আজ বেলা ১১টার দিকে এ মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে মি‘ন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, মি‘ন্নির জামিন শুনানির জন্য আমরা আবেদন করেছি। আমার মি‘ন্নির জামিনের জন্য আদালতে যুক্তি তুলে ধরব। এদিকে মি‘ন্নির জামিন শুনানির কথা শুনে আদালতে উপস্থিত হয়েছেন নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ ও মি‘ন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর।
গত ১৬ জুলাই মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বরগুনার মাইঠা এলাকার বাবার বাসা থেকে বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরসহ মি‘ন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার বক্তব্য রেকর্ড করতে বরগুনা পুলিশ লাইন্সে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ৯টায় মি‘ন্নিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরপর বুধবার বিকেল ৩টার দিকে বরগুনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মি‘ন্নিকে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে মি‘ন্নির পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী।
পরদিন বৃহস্পতিবার বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন জানান, মঙ্গলবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ ও বুধবার রিমান্ড মঞ্জুরের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মি‘ন্নি তার স্বামী রিফাত শরীফ হ‘ত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ হ‘ত্যার পরিকল্পনার সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন।
এরপর শুক্রবার বিকেলে মি‘ন্নি একই আদালতে তার স্বামী রিফাত শরীফ হ‘ত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আলোচিত রিফাত শরীফ হ‘ত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে মি‘ন্নিসহ ১৪ জন অভিযুক্ত রিফাত হ‘ত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া এ মামলার তিন নম্বর আসামি রিশান ফরাজী রিমান্ডে রয়েছেন। আর এ মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।