মসজিদে হামলার পর এবার সবচেয়ে বড় রেলস্টেশনে বোমা
এদিকে, ডানেডিনে সন্ত্রাসীরা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে শহরটিও ঘিরে রেখেছে পুলিশ। এছাড়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ক্রইস্টচার্চে সকল ধরণের বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, অকল্যান্ডের ব্রিটমোর্ট ট্রান্সপোর্ট সেন্টার রেলস্টেশনে দুইটি পরিত্যক্ত ব্যাগ পাওয়া যায়। পুলিশ ও বোমা নিস্ক্রিয়কারী দল দ্রুতই ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরবর্তীতে ‘নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ’ ঘটিয়ে বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয় বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এছাড়া নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রাইস্টচার্চ শহর কর্তৃপক্ষ। এর আগে, ডানেডিন-ক্রাইস্টচার্চ বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ডানেডিনে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা রয়েছে এমন খবরের ভিত্তিতে সেখানে নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ।
কথা ছিল, সংবাদ সম্মেলনটা শেষ করে জুমা আদায় করতে ঠিক দেড়টা নাগাদ পার্শ্ববর্তী আল নুর মসজিদে যাবেন বাংলাদেশী ক্রিকেটাররা। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনটা দীর্ঘায়িত হয়েছিল বেলা ১টা ৪০ পর্যন্ত। হয়তো সেটাই রক্ষা করেছে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলকে।
সংবাদ সম্মেলন শেষ করেই জুমা ধরতে বাসে উঠেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বাসটি পৌঁছে গিয়েছিল যথাসময়েই। টিম টাইগারের সদস্যরা তখন মসজিদের সামনে পৌঁছেও গিয়েছিলেন। মসজিদে প্রবেশ করবেন, ঠিক সেই মুহূর্তে মসজিদের ভিতর থেকে মধ্য বয়সের এক নারী রক্তাক্ত অবস্থায় টলোমলো পায়ে বেরিয়ে এসে রাস্তায় হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান। তামিমরা তখনো বুঝতে পারেননি, আসলে কী ঘটছে ভিতরে। এরপরই ভেসে আসে সতর্কবাণী। একজন চিৎকার করে বলে ওঠেন, মসজিদের ভিতর গুলি চলছে।
অবস্থা দেখে তামিম, তাইজুল, মিরাজরা দ্রুত হেঁটে এসে বাসে উঠে পড়েন। এ সময় পুলিশ ওই রাস্তা বন্ধ করে দেয়। ফলে বেশ কিছুক্ষণ বাসেই বসে থাকতে হয় তামিম, মুশফিকদের। তবে গুলির শব্দ ও আতঙ্কে তারা অনেকটা সময় বাসের ভেতর মাথা নিচু করে বসে ছিলেন। এ ভাবে বেশ কিছুক্ষণ থাকার পর নিরাপদে মাঠে ফিরে আসেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলন অনেক ক্রিকেটারের কাছেই একটি অস্বস্তিকর একটি বিষয়। বিশেষ করে দল হারতে থাকলে অস্বস্তি আরো বাড়িয়ে তোলে এসব অনুষ্ঠান। ফলে অনেকে এসব সংবাদ সম্মেলন এড়িয়ে যেতে পারলে বা তাড়াতাড়ি তা শেষ করে দিয়ে আসতে পারলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। কিন্তু শুক্রবার এ ঘটনার পর তামিমদের কাছে ওই সংবাদ সম্মেলনটি অনেক নিশ্চয়ই অনেক মধুর বলে মনে হচ্ছে। কারণ ওই সংবাদ সম্মেলন না থাকলে হয়তো তারা আরো আগেই মসজিদে পৌঁছে যেতেন। এমনকি ঠিক সময়মতো শেষ হলেও হয়তো হামলার মুখে পড়তে হতো বাংলাদেশ টিমকে।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শুক্রবার সকালে লিটন দাস ও নাঈম হাসান ছাড়া দলের সবাই ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলে ওভাল মাঠে অনুশীলনে করেন। সেখান থেকেই আল নুর মসজিদে যাচ্ছিলেন জুমার নামাজে যোগ দিতে। এ দিনের হামলার পরই টুইট করেন তামিম ইকবাল। এ ঘটনাকে ‘ভয়ের অভিজ্ঞতা’ বলে উল্লেখ করে তিনি লেখেন, পুরো দলই বন্দুকধারীর হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছে। সবাই আমাদের জন্য প্রার্থনা করবেন।
চোখের সামনে এমন ঘটনা দেখে কেঁদে ফেলেন দলের অন্যতম সদস্য মুশফিকুর রহিম। মাঠে ফিরেও আতঙ্ক কাটছিল না তাঁর। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মুখপাত্র জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, দলের বেশির ভাগ সদস্য মসজিদে যাওয়ার জন্য বাসে ছিলেন। মসজিদে ঢোকার মুহূর্তে হামলার ঘটনাটি ঘটে। আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটুনি দিয়ে থানায় সোপর্দ করল ছাত্রদল
- হঠাৎ পাল্টে গেলো পেঁয়াজের বাজার
- কমলো সয়াবিন তেলের দাম, যা তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- যাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব, জানুন ইসলামী বিধান অনুযায়ী
- নুসরাত-অপু-নিপুণ-জায়েদ—হত্যাচেষ্টা মামলায় যুক্ত ১৭ শোবিজ তারকা
- সৌদি সরকারের জরুরি নির্দেশনা
- চিকিৎসা শেষে দেশে আসছেন খালেদা জিয়া, রাজনীতি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
- সৌদি থেকে নিঃস্ব হয়ে ফিরেছেন শতাধিক প্রবাসী
- অভিষেকে বাজিমাত, মাসাকেসার ঘূর্ণিতে কাঁপলো টাইগাররা
- ৮ অঞ্চলে আজ সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
- সহজ শর্তে সর্বোচ্চ যত টাকা ঋণ পাওয়ার সুযোগ প্রবাসীদের
- পাকিস্তানের এক সিদ্ধান্তেই চরম ক্ষতির মুখে ভারত
- বেড়েছে সিঙ্গাপুরের ডলার রেট, জেনেনিন আজকের রেট
- মিরাজের ব্যাটে জ্বলছে টাইগাররা, লিড ১২৬
- বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের সূচি ঘোষণা পাকিস্তানের