আরব আমিরাতে গমনইচ্ছু বাংলাদেশীদের জন্য দারুন সুখবর
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের নবেম্বরে বিনিয়োগকারীদের দশ বছরের আবাসন ভিসা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির মন্ত্রিসভা। ওই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতেই বিনিয়োগকারীসহ চিকিৎসা, বিজ্ঞান, গবেষণা ও কারিগরি ক্ষেত্রে বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন এবং শিল্প-সংস্কৃতির প্রতিভাবান ব্যক্তিদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ভিসার অনুমোদন দিয়েছে। শুধু বিশেষভাবে প্রতিভাবান ওইসব ব্যক্তি নয় তাদের পরিবারও দীর্ঘমেয়াদী এ ভিসার আওতাভুক্ত হবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুকূল ব্যবসায়িক, প্রাতিষ্ঠানিক ও বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনী পরিবশে তৈরি করতেই দেশটির কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিছু কিছু ভিসাও তারা দিচ্ছে বলে খবর মিলেছে।
সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘমেয়াদী ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। সরকারের দেয়া সে সব শর্ত পূরণ করতে পারলেই বিনিয়োগকারী, চিকিৎসা, বিজ্ঞান, গবেষণা ও কারিগরি ক্ষেত্রে বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন এবং শিল্প-সংস্কৃতির প্রতিভাবান ব্যক্তিরা দেশটির দীর্ঘমেয়াদী ভিসা সুবিধা পাবেন। বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে মূলধন ৫ মিলিয়ন দিরহাম বিনিয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে ওই বিনিয়োগকারীর পরিবারের সদস্যসহ পাঁচ বছরের ভিসা পাবেন। এছাড়া যেসব বিনিয়োগকারীর মূলধন ১০ মিলিয়ন দিরহাম বা ততোধিক তারা পরিবারসহ ১০ বছরের ভিসা সুবিধা পাবেন। বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন মেধাবী চিকিৎসক, গবেষক, বিজ্ঞানী কিংবা উদ্ভাবকদের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের বেঁধে দেয়া নয়টি শর্তের মধ্যে যে কোন দু’টি অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
এছাড়া শিল্প ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের শর্তসাপেক্ষে ১০ বছর পর্যন্ত ভিসা দেবে। দেশটিতে শতভাগ মালিকানাধীন বিদেশী কোম্পানি, বিনিয়োগকারী, বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও উদ্যোক্তাদের জন্য ১০ বছরের ভিসা দেয়ার বিষয়টিও ইতিবাচক বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়াও উচ্চশিক্ষার জন্য আগ্রহীদের জন্যেও এই ভিসা দেয়া হতে পারে। যদিও ২০১২ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার। দীর্ঘদিন পরে আরব আমিরাত এমন সিদ্ধান্ত নেয়ায় সাধারণ কর্মীদের মধ্যেও আশা জেগেছে। তারাও মনে করছেন আমিরাতের বাজারটি ধীরে ধীরে খুলবে। দেশটিতে অবস্থানকারীরা বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করছেন। আবর আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশী মোঃ শাহীন টেলিফোনে জানিয়েছেন, পাঁচ থেকে দশ বছরের ভিসা দেয়ার মাধ্যমে দেশটিতে বসবাসের সহজ সুযোগ যারা পাবেন তাদের দ্বারা আরব আমিরাতই বেশি লাভবান হবে।
২০১৮ সালের নবেম্বর মাসে পাস হওয়া এই ভিসা সংক্রান্ত আইনে প্রথমে ব্যবসায়ীদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এসব ব্যক্তি দেশটির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্যে ভূমিকা রাখবেন। এদের মধ্যে ব্যবসায় শতভাগ বিনিয়োগ করা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পাঁচ থেকে দশ বছরের ভিসা প্রদানের নিয়ম করা হয়। প্রচলিত ধারায় আরব আমিরাতে ক্ষুদ্র বা মাঝারি ধরনের ব্যবসাতে কোন প্রবাসী শতভাগ বিনিয়োগ রাখতে পারেন না। এদের কোন না কোনভাবে স্থানীয় ব্যক্তি বা স্পন্সরদের মাধ্যমে ব্যবসার লাইসেন্স নিতে হবে। কেবল ‘দুবাই ফ্রি জোনে’ এককভাবে ব্যবসায় বিনিয়োগ করা যাবে।
অন্যদিকে, আমিরাতে অধ্যয়নে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের পাঁচ থেকে দশ বছরের ভিসার আওতায় রাখার খবরও প্রবাসীদের আলোচনায় স্থান পাচ্ছে। এই ভিসার আওতায় সাধারণ শিক্ষার্থী নয় বরং আমিরাতে উচ্চশিক্ষার জন্যে আসা শিক্ষার্থীরাই সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে যেসব শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদী কোর্স রয়েছে তারাই বেশি সুবিধা পাবেন।
- সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর, যে প্রজ্ঞাপন জারি করল অর্থ মন্ত্রণালয়
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটুনি দিয়ে থানায় সোপর্দ করল ছাত্রদল
- হঠাৎ পাল্টে গেলো পেঁয়াজের বাজার
- এবার যে ভবিষ্যদ্বাণী স্বর্ণের দাম নিয়ে
- কমলো সয়াবিন তেলের দাম, যা তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- যাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব, জানুন ইসলামী বিধান অনুযায়ী
- আরও কমলো ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম
- শিক্ষকদের বেতন স্কেল নিয়ে সুখবর
- নুসরাত-অপু-নিপুণ-জায়েদ—হত্যাচেষ্টা মামলায় যুক্ত ১৭ শোবিজ তারকা
- সৌদি সরকারের জরুরি নির্দেশনা
- চিকিৎসা শেষে দেশে আসছেন খালেদা জিয়া, রাজনীতি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
- সৌদি থেকে নিঃস্ব হয়ে ফিরেছেন শতাধিক প্রবাসী
- শক্তিশালী কালবৈশাখীতে কয়েকটি উপজেলার বাড়িঘর-ফসল তছনছ
- অভিষেকে বাজিমাত, মাসাকেসার ঘূর্ণিতে কাঁপলো টাইগাররা
- দেশের ৯ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা