লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে গেলো পেয়াজের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের বৃহত্তর ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম গত দুই সপ্তাহের মধ্যে কেজিপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও, যেখানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। ব্যবসায়ীরা সরবরাহ কম থাকার কারণ দেখিয়ে দামের বাড়ানোর যৌক্তিকতা দেখাচ্ছেন, যদিও বাস্তবে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই।
খাতুনগঞ্জ হামিদ উল্লাহ মিঞা মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টির কারণে মোকাম থেকে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আসতে পারেনি এবং আমদানিও বন্ধ থাকায় সরবরাহ কম। এই পরিস্থিতিতে দাম বেড়েছে। তিনি বলেন, “মোকামের ওপর নির্ভর করে দেশি পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা নেই।”
নগরীর বিভিন্ন স্টোর ও মুদি দোকানে পেঁয়াজের দাম নিম্নরূপ:
অবস্থান | পেঁয়াজের ধরণ | দাম (প্রতিকেজি) |
---|---|---|
মোমিন রোড (শরীফ স্টোর) | বড় পেঁয়াজ | ৮৫ - ৯০ টাকা |
মোমিন রোড (সড়কে ভ্যানগাড়ি) | ছোট পেঁয়াজ | ৭৫ - ৮৫ টাকা |
আসকারদিঘীর পাড় | ছোট-বড় পেঁয়াজ | ৮০ - ৯৫ টাকা |
আসকারদিঘীর আলী স্টোরের মালিক আশরাফ আলী জানিয়েছেন, তাদের কাছে ভারতীয় পেঁয়াজ নেই, শুধুমাত্র দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, যার দাম বর্তমানে ৮৫ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। তিনি আশা প্রকাশ করেন আড়তে দাম বাড়লে বাজারেও দাম দ্রুত বেড়ে যাবে, যা ১১০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, বৃষ্টি হলে আড়তদাররা সরবরাহ কমিয়ে দেয়, যা বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। ব্যবসায়ীরা মনে করেন প্রশাসনের তদারকি না থাকায় এই অসুবিধা হচ্ছে।
অন্যদিকে আড়তদাররা বলছেন, বর্ষণ ও মৌসুমের শেষের কারণে সরবরাহ কমে গেছে, পাশাপাশি বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বাড়ছে। পরিবহন খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দামের ওপর প্রভাব ফেলে।
বৃহত্তর চাক্তাই আড়তদার মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফোরকান জানান, দেশের পেঁয়াজ দিয়ে পুরো চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। ভারতের মহারাষ্ট্র ও কেরালার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় দেশি পেঁয়াজের ওপর নির্ভরতা বেড়েছে এবং দাম কমানোর জন্য এলসি (ঋণপত্র) খোলার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, “কৃষি মন্ত্রণালয় এলসি খোলার বিষয়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে, যা দাম বাড়ার কারণ।”
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান বলেন, কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য আমদানিতে বিরত রয়েছে সরকার। নতুন পেঁয়াজ অক্টোবর মাসে বাজারে আসার পর দাম স্বাভাবিক হওয়ার আশা রয়েছে। প্রয়োজন হলে এলসি খোলার সুযোগ দেওয়া হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. মোক্তার হোসেন নিশ্চিত করেন, সরকার যে কোনো সময় এলসি খুলে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করতে পারে।
বিষয় | তথ্য |
---|---|
বর্তমান পাইকারি দাম | ৮০ - ৮৫ টাকা/কেজি |
খুচরা দাম | ৯৫ - ১০০ টাকা/কেজি |
মূল কারণ | বর্ষণ, আমদানির এলসি না থাকা, সরবরাহ কম |
সম্ভাব্য সমাধান | এলসি খোলা ও অক্টোবর থেকে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসা |
প্রশাসনের ভূমিকা | মনিটরিং ও প্রয়োজন অনুযায়ী এলসি খোলা |
- হিরো আলমের ‘জানাজা’ আগামীকাল ৫ টায়
- হঠাৎ যে কারনে ঢাকায় আসছেন সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান
- বাংলাদেশকে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলো ভারত
- হিরো আলমের ‘জানাজা’ আজ বিকাল ৫ টায়
- মালয়েশিয়ার ৮ হাজার প্রবাসীর জন্য সুখবর,থাকছে নতুন সুযোগ ও সুবিধা
- ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম পাকিস্তান, তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ লাইভ স্কোর এবং ম্যাচ পর্যালোচনা
- হঠাৎ এমন কঠিন সিদ্ধান্তের কারণ জানালেন আসিফ মাহমুদ
- ২৫ লক্ষ টাকার বাটন ফোন: প্রযুক্তি নয়, আভিজাত্যই যার মূল আকর্ষণ
- প্রবাসীদের ১২ দফা দাবি: দেখেনিন দাবি গুলো কি কি
- ২৩ রানে অলআউটের লজ্জা, মাত্র ৫ বলেই জয়
- স্বর্ণের দাম কমলো প্রতি ভরিতে ১,৫৭৪ টাকা, জেনেনিন আজকের স্বর্ণ-রুপার দাম
- ৩৪ বছর পর এমন রেকর্ড গড়লো ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
- আইপিএল ২০২৬ : যে দলের হয়ে খেলতে পারেন মুস্তাফিজ
- বারবার বমি হচ্ছে, হতে পারে এটি ‘সাইক্লিক ভমিটিং সিনড্রোম’ রোগের লক্ষণ