“খাওয়ার আগে-পরে যেসব অভ্যাস শরীর সুস্থ রাখে”

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যস্ত জীবনে আমরা প্রায়ই খাওয়ার অভ্যাসগুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে উপেক্ষা করি। অথচ খাওয়ার সময় এবং তার আগে-পরে অনুসরণ করা কিছু সাধারণ স্বাস্থ্য টিপসই আমাদের শরীরের সামগ্রিক সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা বারবার বলে আসছেন—খাওয়ার সময়ের শৃঙ্খলা, মনোযোগ ও আচরণ বদলেই জীবনের মান উন্নত করা সম্ভব।
খাবার খাওয়ার সময় সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো মনোযোগ। টিভি দেখা বা মোবাইল ফোনে চোখ রেখে খাওয়ার অভ্যাস না রেখে সম্পূর্ণ মনোযোগ খাবারের প্রতি দেওয়া উচিত। এতে আমাদের মস্তিষ্ক ঠিক সময়মতো পেট ভরার সংকেত পায়, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। পাশাপাশি খাবার ধীরে ধীরে চিবিয়ে খেলে হজম ভালো হয় এবং বদহজম, গ্যাস বা ফোলাভাবের মতো সমস্যাও কমে।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া খুবই জরুরি। এলোমেলো সময়ে খেলে শরীরের হজমপ্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যাও বেড়ে যায়। তাই সকালের নাস্তা সকাল ৮–৯টার মধ্যে, দুপুরের খাবার দুপুর ১টার মধ্যে এবং রাতের খাবার রাত ৮টার মধ্যে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। তাছাড়া খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে এবং পরে পানি পান করলে হজমে সহায়ক হয় ও শরীর হাইড্রেটেড থাকে।
খাওয়ার আগে হাত ধোয়া খুব সাধারণ কিন্তু অব্যর্থ একটি অভ্যাস। এটি জীবাণু সংক্রমণ রোধে কার্যকর। খাওয়ার আগে ৫–১০ মিনিট হালকা হাঁটাচলা করলে শরীর খাবার গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হয় এবং মনও সতেজ থাকে। সেইসঙ্গে খাওয়ার আগে কয়েক মুহূর্ত চুপচাপ বসে মানসিকভাবে স্থির হওয়াও উপকারী।
খাওয়ার পর যেসব অভ্যাস শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে তা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেমন—খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়া একেবারেই ঠিক নয়। এতে হজমে ব্যাঘাত ঘটে ও অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। খাওয়ার পর অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটাচলা বা বসে থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। আর দাঁড়িয়ে পানি খাওয়ার বদভ্যাস ত্যাগ করে বসে পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
খাবার পর মুখ পরিষ্কার করা শুধু সৌন্দর্যবোধ নয়, এটি স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও জরুরি। দাঁতের মধ্যে জমে থাকা খাদ্যকণা মুখে ব্যাকটেরিয়া জন্ম দিতে পারে, যা দাঁতের ক্ষয় ও মুখে দুর্গন্ধের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বর্তমান সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোও আমাদের খাদ্যাভ্যাসের ওপর নির্ভর করে। প্রতিদিন প্রচুর ফল ও শাকসবজি খাওয়া, পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ (যেমন ডাল, ডিম, মাছ), অতিরিক্ত চিনি, তেল ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা এবং পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এই নিয়মগুলো শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে এবং শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
সচেতন অভ্যাসের মাধ্যমে শরীর ও মন উভয়ই সুস্থ রাখা সম্ভব। খাওয়ার সময় মোবাইল বা টিভি এড়িয়ে একাগ্র হয়ে খাওয়ার অভ্যাস, নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া, যথাযথ বিশ্রাম ও পানি পান—এই সবকিছু মিলিয়েই একটি পূর্ণ স্বাস্থ্যবান জীবনের ভিত্তি তৈরি হয়। আজ থেকেই ছোট ছোট এই অভ্যাসগুলো আপনার দৈনন্দিন জীবনে অন্তর্ভুক্ত করুন এবং সুস্থ, আনন্দময় জীবন উপভোগ করুন।
- "গোপন প্রশিক্ষণ কেলেঙ্কারি: সেনা কর্মকর্তা মেজর সাদিকের পরিচয় ফাঁস
- এনসিপির কমিটি ভাঙনের পথে, গুরুত্বপূর্ণ দুই নেতার পদত্যাগ
- বেতন বাড়লো সর্বোচ্চ : জেনেনিন কত টাকা বাড়লো বেতন
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য,জরুরি নির্দেশনা যা করতে হবে ১০ দিনের মধ্যে
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশ একাদশে ১৪ জন প্রায় চূড়ান্ত
- টিভিতে আজকের খেলা (১ আগস্ট ২০২৫)
- আগামী ৩ বছর যে দলের হয়ে খেলতে চান মেসি
- মালয়েশিয়ান রিংগিতের সর্বশেষ রেট আজ ১/৮/২০২৫ তারিখ
- আজকের সিঙ্গাপুর ডলারের রেট, আজ ১/৮/২০২৫ তারিখ
- মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে ফিরল বাংলাদেশি কর্মীদের সুযোগ
- শাহবাগে টানা ২৮ ঘণ্টা জুলাই যোদ্ধাদের অবস্থান, নাকাল রাজধানীবাসী
- ত্রিদেশীয় সিরিজে হোঁচট খেলো বাংলাদেশ
- পাকিস্তান-আফগানিস্তান-আমিরাত ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ
- ভারতকে দু:সংবাদ দিলেও বাংলাদেশ ও পাকিস্থানকে সুখবর দিলো যুক্তরাষ্ট্র
- ৬ বলে ৩ উইকেট নিলেন মোহাম্মদ নবাজ, এগিয়ে গেলো পাকিস্থান