পবিত্র রমজানের প্রথম সপ্তাহ পার হতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। বিশেষ করে সয়াবিন তেলের দাম কমে আসায় ভোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে, যা বাজারে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনে দিয়েছে।

সয়াবিন তেলের নতুন দাম

খোলা সয়াবিন তেল: লিটারে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা (আগে ছিল ১৯০-২০০ টাকা)

পাম অয়েল: লিটারে ১৪৭ থেকে ১৫৪ টাকা (সপ্তাহের ব্যবধানে ৩ টাকা কমেছে)

বোতলজাত সয়াবিন তেল: লিটারে ১৭৫ থেকে ১৭৮ টাকা

বাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, রমজানের প্রথমদিকে তেলের চাহিদা বেশি থাকলেও বর্তমানে তা কমে গেছে, পাশাপাশি সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দামও কমছে।

অন্য নিত্যপণ্যের দামেও পরিবর্তন

বাজার পরিদর্শনে দেখা গেছে, শুধুমাত্র সয়াবিন তেল নয়, অন্যান্য কিছু নিত্যপণ্যের দামেও ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।

চিনি: প্রতি কেজিতে ২ টাকা কমে ১১৮-১২৫ টাকাপেঁয়াজ: প্রতি কেজিতে ৫ টাকা কমে ৩৫-৪০ টাকা

প্যাকেট আটা: প্রতি কেজিতে ২ টাকা কমে ৪৮-৫৫ টাকা

ব্রয়লার মুরগি: প্রতি কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৯০-২১০ টাকা

তবে গরুর মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে, প্রতি কেজি ৭৮০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শাকসবজির দাম নাগালের মধ্যেএবার রমজানে শাকসবজির দামও তুলনামূলকভাবে সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। বাজারে লেবুর দাম কমেছে, যা রমজানের শুরুতে অনেক বেশি ছিল।

লেবু (হালি): ৪০-৮০ টাকা (আগে ছিল ৬০-১০০ টাকা)

বেগুন: ৫০-৭০ টাকা

টমেটো: ২০-২৫ টাকা

গাজর: ৪০ টাকা

কাঁচামরিচ: ৬০ টাকা

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান জানিয়েছেন, বাজারে তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য তারা নিয়মিত নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছেন।

বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারের ভূমিকা জরুরিবিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ পেলেই বাজারে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। তাই বাজারে কঠোর নজরদারি বজায় রাখা প্রয়োজন, যাতে রমজানের বাকি সময়েও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় থাকে।