সৌদি আরব প্রবাসীদের জন্য এক্সিট ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: সৌদি আরবে কর্মরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করতে চালু হয়েছে স্পেশাল এক্সিট প্রোগ্রাম। এখন থেকে দূতাবাসে সশরীরে না গিয়েও অনলাইনে এক্সিট ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। বিশেষত, যাদের ইকামার মেয়াদ শেষ অথবা স্পন্সর হুরুব (পলাতক রিপোর্ট) দিয়েছে, তাদের জন্য এই উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।
স্পেশাল এক্সিট প্রোগ্রাম: কারা আবেদন করতে পারবেন?
এই বিশেষ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন:
যাদের স্পন্সর বা কফিলের প্রতিষ্ঠান সৌদি আরবের রিয়াদ, আল কাসিম, হায়েল, আল জৌফ, নর্দান বর্ডার ও পূর্বাঞ্চল প্রদেশের আওতাধীন।
যাদের ইকামার মেয়াদ শেষ হয়েছে।
যারা সৌদি আসার পর ইকামা পাননি।
যাদের বিরুদ্ধে হুরুব (পলাতক রিপোর্ট) রয়েছে।
যাদের পেশা সায়েক খাস বা আমেল মানজিলি, এবং ইকামার মেয়াদ শেষ।
যারা আবেদন করতে পারবেন না
যাদের বিরুদ্ধে আইনগত মামলা রয়েছে।
যারা ওয়ান্টেড (মাতলুব) তালিকাভুক্ত।
যারা আগে এক্সিট ভিসা নিয়ে নির্ধারিত সময়ে দেশে ফেরেননি।
নারী গৃহকর্মীরা।
এক্সিট ভিসা পাওয়ার ধাপসমূহ
ইকামার মেয়াদ শেষ হওয়া কর্মীদের জন্য:
রিয়াদ অঞ্চলের কর্মীদের ক্ষেত্রে:
আবেদন জমা দিলে দূতাবাস রিয়াদ মাকতাব আমলে পাঠাবে।
মাকতাব আমল প্রক্রিয়া শেষে দূতাবাসকে এক্সিট ভিসার ক্লিয়ারেন্স পাঠাবে।
ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পর মূল ইকামা ও পাসপোর্টের কপি জমা দিতে হবে।
জাওয়াযাত কর্তৃপক্ষ এক্সিট ভিসা প্রদান করলে, তা আবেদনকারীকে সরবরাহ করা হবে।
প্রক্রিয়ার হালনাগাদ তথ্য দূতাবাসের ওয়েবসাইটের ‘Search by Iqama No.’ অপশনে গিয়ে দেখা যাবে।
অন্যান্য অঞ্চলের কর্মীদের জন্য:
দূতাবাস থেকে সুপারিশপত্র গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট মাকতাব আমলে জমা দিতে হবে।
মাকতাব আমল থেকে এক্সিট ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পর জাওয়াযাতে গিয়ে সশরীরে এক্সিট ভিসা সংগ্রহ করতে হবে।
হুরুবপ্রাপ্তদের এক্সিট ভিসার প্রক্রিয়া:
রিয়াদ অঞ্চলের জন্য:
আবেদন করলে দূতাবাস থেকে নির্ধারিত দিনে এপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হবে।
নির্ধারিত দিনে দূতাবাসে গিয়ে মূল ইকামা ও পাসপোর্ট কপি জমা দিতে হবে।
দূতাবাস থেকে জাওয়াযাতে পাঠানোর পর এক্সিট ভিসা প্রদান করা হলে, তা সরবরাহ করা হবে।
অন্যান্য অঞ্চলের জন্য:
আবেদনকারীকে দূতাবাসের সুপারিশপত্র প্রদান করা হবে।
সুপারিশপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট জাওয়াযাতে গিয়ে এক্সিট ভিসা সংগ্রহ করতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা
যাদের নামে মামলা চলছে, তারা অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হাজির হয়ে মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে।
নতুন আবেদন করতে বা আবেদনের অবস্থা জানতে দূতাবাসে আসার প্রয়োজন নেই।
দূতাবাসের ওয়েবসাইটে ইকামা নম্বর দিয়ে সার্চ করে আবেদন ও এপয়েন্টমেন্টের তথ্য জানা যাবে।
আবেদনের শর্তাবলী
প্রত্যেক আবেদনকারী স্বেচ্ছায় আবেদন করবেন এবং প্রদত্ত তথ্য সঠিক বলে স্বীকার করবেন। ভুল বা মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে সম্পূর্ণ দায় আবেদনকারীর উপর বর্তাবে।
আবেদন করতে নিচের ‘Special Exit Programme (SEP) Application Form’ বাটনে ক্লিক করুন।
- ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা : পাকিস্তানকে যে ঘোষণা দিলো চীন
- পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ , ৫৪ জনের মৃত্যু
- আজ হঠাৎ পাল্টে গেলো ডিমের দাম
- ভারতের জন্য নতুন দু:সংবাদ : বাংলাদেশে চালু হচ্ছে আরও ৭টি
- ব্যাপক হারে কমলো ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম
- কয়েক মিনিটের কালবৈশাখীতে লন্ডভন্ড পুরো জেলা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে
- বিসিবির ২৫০ কোটি টাকার গোপন চাল! কোথায় গেল এত টাকা, জানলে চমকে যাবেন
- প্রবাসীদের ভিসার জরিমানা ৫০ হাজার রিয়াল, সাথে ৬ মাসের জেলও
- বড় সুখবর দেশি পেঁয়াজের দাম নিয়ে
- ভারতীয় বিমানবাহিনীর হাস্যকর কান্ড, নিজেরাই ধংস করলো নিজের এলাকা
- মেয়েদের ইচ্ছা সপ্তাহের কোন দিনে সবচেয়ে তীব্র হয়, জেনে নিন চমকপ্রদ তথ্য
- এবার বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফেরার সময় সর্বোচ্চ যতটি স্মার্টফোন আনতে পারবেন প্রবাসীরা
- তবে কী ৫ লাখ ছাড়াবে স্বর্ণের দাম, যে ভবিষ্যদ্বাণী
- পাসপোর্ট ইস্যুতে আসছে বড় পরিবর্তন, মিলবে সুখবর
- ভারতের ঘুম হারাম করে ছাড়লো ড. ইউনূস