‘আমুর পরামর্শে কারফিউ, কামরুলের নির্দেশে গু*লি-গ*ণ*হ*ত্যা চলে’

আওয়ামী লীগ নেতা, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কারফিউ জারি ও ছাত্রদের দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউশন টিম।
প্রসিকিউশন টিম জানান, ১৯ জুলাই গণভবনে বৈঠক করে আন্দোলনকারীদের দমনের সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। ওই বৈঠকের পর কারফিউ জারি ও ছাত্রদের দেখামাত্র গুলি করার কথা বলেন আমু।
এছাড়া সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলামের নির্দেশে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন গুলি বর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যা চালায়। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগের তদন্ত চলমান।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় আমির হোসেন আমু ও কামরুল ইসলামকে। এরপর তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন ও শুনানির জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন ঠিক করেন আদালত।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এদিন ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ ও গাজী মনোয়ার হোসেন (এম এইচ) তামিম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর তারেক আব্দুল্লাহ ও শাইখ মাহদী।
‘আমুর পরামর্শে কারফিউ, কামরুলের নির্দেশে গুলি-গণহত্যা চলে’
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম বলেন, আমির হোসেন আমু ১৯ জুলাই গণভবনে মিটিংয়ে উপস্থিত থেকে আন্দোলনকারীদের দমনের সিদ্ধান্ত নেন। ওই মিটিংয়ে পর তিনি কারফিউ জারি এবং দেখামাত্র গুলি করার কথা বলেন। পরের দিন তাই হয়। পুলিশের গুলিতে প্রায় দুই হাজার ছাত্র-জনতা শহীদ হন। আহত হন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। তাদের নির্দেশে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যা চালানো হয়। আমির হোসেন আমু রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল পদে থাকা অবস্থায় গণহত্যা নিবারণে প্রচেষ্টা চালাননি।
অন্যদিকে প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ বলেন, সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামের প্রত্যক্ষ নির্দেশে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, পুলিশ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন গুলি বর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যা চালায়। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে।
জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় গত ১৮ নভেম্বর সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান, সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব জাহাঙ্গীর আলমকে ট্রাইব্যুনালে তোলা হয়।
- বুক ধড়ফড়: হৃদয়ের অস্বস্তি নাকি বিপদের সংকেত জেনেনিন কারণ, লক্ষণ ও মুক্তির উপায়
- প্রবাসীদের জন্য নতুন সুখবর ঘোষণা করলো সরকার
- কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি কেন বাড়ে,জেনেনিন রক্ষা পাবেন যেভাবে
- মেয়েদেরকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে পুরুষের যে গুণটি
- বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২৬০ জনের,জানা গেলো আসল কারন
- দাঁড়ালে মাথা ঘুরে ও চোখে ঝাপসা দেখেন, তাহলে সাবধান
- পোলার্ড ও পুরানের ব্যাটিং দেখলো ক্রিকেটবিশ্ব
- জামায়াত আমির স্ট্যাটাসে জানালেন ‘ভাষা হারিয়ে ফেলেছি’
- দাঁতের ব্যথায় ওষুধ ছাড়াই মিলবে স্বস্তি—জেনে নিন সহজ ১০টি উপায়
- কুয়েত প্রবাসীদের জন্য বিশাল সুখবর
- দিনের শুরুতেই খালি পেটে পানি পান, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
- শক্তি বাড়িয়ে আবারও রাজত্বে ফিরছে ব্রাজিল
- শাহজালালে বিমান বন্দরে নতুন আতঙ্ক, বিমানে শেষ হলো তল্লাশি
- বড় সুখবর গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য
- ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে আর্চারের বাজিমাত