যে কারণে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রামে নেওয়া হলো সাবেক এমপি ফজলে করিমকে
সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরীকে সম্প্রতি চট্টগ্রামে হেলিকপ্টারে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আটক অবস্থায় ছিলেন, কারণ তাকে বিজিবি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করতে গিয়ে গ্রেপ্তার করেছিল। এরপর তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলাও দায়ের হয়। চট্টগ্রামে স্থানান্তর করার পর, নিরাপত্তার কারণে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়নি, যদিও আদালত প্রাঙ্গণে অনেক লোকজন অপেক্ষা করছিল।
এমপি ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলার কারণে তার এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যা নিয়ে এলাকায়ও আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইনস মাঠে এসে পৌঁছায়। পরে কড়া র্যাব-পুলিশ পাহারায় ফজলে করিমকে সড়কপথে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়াম থেকে রওনা দেয়।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. ইব্রাহীম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগার থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে। বর্তমানে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
আওয়ামী লীগ নেতা ফজলে করিম চৌধুরী চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হয়। এরপর গত ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তের আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে ফজলে করিমসহ তিনজনকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ফজলে করিম আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
ঘটনার পর বিজিবি জানায়, আটক বাকি দুজন হলেন আখাউড়ার নূরপুর এলাকার সাবেক মেম্বার মো. হান্নান মোল্লা এবং আখাউড়ার স্থানীয় বাসিন্দা মো. নাঈম চৌধুরী। পরে তিনজনের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা হয়। সেই মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে ছিলেন ফজলে করিম।